সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় সেরা পাঁচেও নেই বেন স্টোকস। বোলিংয়ে সেরা পাঁচ তো দূরের কথা সেরা দশেও খুঁজে পাওয়া যাবে না তাকে।
বিখ্যাত ব্রিটিশ ক্রিকেট লেখক নেভিল কার্ডাস বলেছিলেন, ‘স্কোরবোর্ড হলো গাধা। ’ তাই তো স্টোকসকে সেরা হিসেবে বেছে নেওয়ার পেছনে পরিসংখ্যানের পাশাপাশি খেলায় তার কতটুকু ইমপ্যাক্ট (প্রভাব) ছিল সেটাকেও গুরুত্ব দিয়েছে আইসিসি। কেননা ২০২২ সালে সাদা পোশাক খেলায় আমূল পরিবর্তন এনে দিয়েছেন তিনি ও তার দল। তাই ক্রিকেটের সবকিছু যে পরিসংখ্যানে সীমাবদ্ধ নয়, সেটাই আবার মনে করিয়ে দিল আইসিসি।
বেন স্টোকস অধিনায়ক হওয়ার আগে টেস্টে রীতিমত ধুঁকছিল ইংল্যান্ড। জিততেই ভুলে গিয়েছিল তারা। সবকিছু ভেঙে নতুন করে নিজেদের গড়তে শুরু করে। অধিনায়কত্বে জো রুটকে সরিয়ে আনা হয় স্টোকসকে ও হেড কোচের ভার দেওয়া হয় সাবেক কিউই ব্যাটার ব্রেন্ডন ম্যাককালামকে। দুজনে মিলে টেস্ট ক্রিকেটের পরিভাষাটাই বদলে দেন। তাদের আগ্রাসী মন্ত্রের কাছে পাত্তাই পাচ্ছে না কোনো দল। হোক সেটা ঘরে কিংবা ঘরের বাইরে। স্টোকসের অধিনায়কত্বে ১০ টেস্টের মধ্যে ৯টিই জিতেছে ইংল্যান্ড।
তাই তো উসমান খাজা, কাগিসো রাবাদা এমনকি সতীর্থ জনি বেয়ারস্টোকে ছাপিয়ে বর্ষসেরা টেস্ট ক্রিকেটার নির্বাচিত হয়েছেন স্টোকস। গত বছর ১৫ টেস্ট খেলে দুই সেঞ্চুরিসহ ৩৬.২৫ গড়ে ৮৭০ রান করেন তিনি। এছাড়া বল হাতে নিয়েছেন ২৬ উইকেট।
এদিকে টানা দ্বিতীয়বারের মতো বর্ষসেরা পুরুষ ওয়ানডে ক্রিকেটার হয়েছেন পাকিস্তানের বাবর আজম। মাত্র ৯ ম্যাচে ৩ সেঞ্চুরিসহ ৮৪.৮৭ গড়ে ৬৭৯ রান করেন এই ব্যাটার। বর্ষসেরা নারী ক্রিকেটারের পুরস্কার জিতেছেন ইংল্যান্ডের ন্যাট স্কাইভার। গত বছর ৩৩টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে ১ হাজার ৩৪৬ রান ও ২২টি উইকেট নিয়েছেন তিনি। এছাড়া বর্ষসেরা নারী ওয়ানডে ক্রিকেটারের পুরস্কারও উঠেছে তার হাতে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০২৩
এএইচএস