সিলেট থেকে : ‘মিস্টার ফিনিশার’ নাসির হোসেনকে একসময় এমনটাই বলা হতো। জাতীয় দলে এই ভূমিকায় সফল ছিলেন, দলেও তার ছিল ভীষণ গুরুত্ব।
৮ ম্যাচে ৫৮.২০ গড় ও ১২৫.৯৭ স্ট্রাইক রেটে ২৯১ রান করে টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক নাসির। যদিও তার দল পাচ্ছে না সাফল্য। বিপিএলে কেবল দুই ম্যাচে জিতেছে তারা। শনিবার সংবাদ সম্মেলনে আসার পর নাসিরের কাছে জানতে চাওয়া হয়, ফিনিশারের ভূমিকা পালনে কেমন মানসিকতার প্রয়োজন হয়?
জবাবে তিনি বলেছেন, ‘আমার কাছে মনে হয় যারা ওই জায়গাতেই ব্যাটিং করে এটা হচ্ছে তাদের জন্মগত। ছোটবেলা থেকেই ওই পরিস্থিতিতে যদি আপনি খেলেন তাহলে আপনার জন্য সহজ হবে। আপনি এখন একটা ওপেনার বা মিডল অর্ডারে লোয়ার অর্ডার বানিয়ে দিলে তার জন্য কঠিন হবে। আমি ছোটবেলা থেকে যখনই খেলেছি, হয়তো সেরকম রোল ছিল বা নিচে ব্যাট করতাম। ’
‘হয়তো এ কারণে সেই জায়গাতে সফল হয়েছি। এখন যারা আছে.. আমার কাছে মনে হয় টপ-অর্ডার এসে লোয়ার অর্ডারে ভালো খেলতে পারবে না। হয়তো এক ম্যাচ ভালো করবে, তিনটা খারাপ করবে। ওই জায়গায় যারা খেলে সেরকম চাপ, ম্যাচের পরিস্থিতি অনুযায়ী যারা সেরকম জায়গায় ব্যাট করে অভ্যস্ত হবে, তাদের জন্য সহজ হবে। ’
বিপিএলের সিলেট পর্বে দর্শকদের মধ্যে উন্মাদনা দেখা যাচ্ছে বেশ। টিকিট নিয়ে চারদিকে হাহাকার। গ্যালারিভর্তি দেখা যাচ্ছে দর্শক। এসব সামনে থেকে দেখে নাসির বলছেন, বিপিএল যেন ছড়িয়ে দেওয়া হয়।
তিনি বলেছেন, ‘কালকে কথায় কথায় বলছিলাম, এখন মনে হচ্ছে যে বিপিএল হচ্ছে। কারণ মাঠ ভর্তি দর্শক। এ জিনিসটা যদি হোম-অ্যাওয়ে ভিত্তিতে ম্যাচ হতো। খুলনায়, রাজশাহীতে, বগুড়ায়...তাহলে দর্শক আরও বেশি হতো। তখন বিপিএলের...ভালো থাকতো। ঢাকায় হয়তো শুক্রবারে একটু বেশি দর্শক হয়..কারণ সবাই যার যার জীবন নিয়ে ব্যস্ত থাকে। ঢাকার বাইরে যেমন সিলেটে খেলা হচ্ছে, চট্টগ্রামে দর্শক হয়েছে। এরকম যদি অন্য জায়গাগুলোতে হয় তাহলে আরেকটু বেশি দর্শক হবে। ’
বাংলাদেশ সময় : ১৪৫১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০২৩
এমএইচবি/এএইচএস