দুর্দান্ত বোলিংয়ে ঢাকা ডমিনেটর্সকে শুরু থেকেই চেপে ধরে রংপুর রাইডার্স। তা অব্যাহত রাখে ইনিংসের শেষ বল পর্যন্ত।
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে এর আগে টস জিতে ঢাকাকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় রংপুর। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই রংপুরকে ব্রেক থ্রু এনে দেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই। দলীয় ১১ রানে দুর্দান্ত এক ইনসুইং ডেলভারীতে মিজানুর রহমানকে বোল্ড করেন তিনি। আরেক ওপেনার সৌম্য সরকারকেও স্বীকার করেন এই আফগান পেসার।
ফ্লিক করতে গিয়ে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে থাকা শামীম হোসেনের হাতে ক্যাচ দেন সৌম্য। আগের ম্যাচে ফিফটি করে বাঁহাতি এই ব্যাটার সাজঘরে ফেরেন মাত্র ১১ রানেই। দলীয় ২৮ রানে আরও এক ব্যাটারকে হারায় ঢাকা। এবার অ্যালেক্স ব্লেকের (৪) স্টাম্প উপড়ে ফেলেন মেহেদী হাসান।
পাওয়ার প্লেতেই বড় ধাক্কা খাওয়ার পর সেভাবে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি ঢাকা। মোহাম্মদ মিঠুনকে নিয়ে সেই চাপ সামাল দেওয়ার কাজ করেন উসমান গণি। থিতু হয়েও কেবল ১৪ রানে রাকিবুল হাসানের শিকার হয়ে ফেরেন মিঠুন। ইনফর্ম নাসির হোসেন ক্রিজে আসলে ঢাকার রানের গতি কিছুটা বাড়ে। গণির সঙ্গে ৪৫ রানের জুটি গড়েন ঢাকার অধিনায়ক। রান-আউটে বিদায় নেওয়ার আগে ২২ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় ২৯ রান করেন তিনি।
অন্যদিকে একপ্রান্ত ঠিকই আগলে রাখেন গণি। যার ফলে ৫ উইকেট হারিয়ে ঢাকার সংগ্রহ পৌঁছায় ১৪৪ রানে। ৫৫ বলে ৭ চার ও ৩ ছক্কায় ৭৩ রানে অপরাজিত থাকেন ডানহাতি এই ব্যাটার। রংপুরের হয়ে ওমরজাই দুটি এবং মেহেদী ও রাকিবুল নেন একটি করে উইকেট।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০২৩
এএইচএস