ক্রিকেটে ফিটনেস এখন অপরিহার্য অংশ। তাই ব্যাটিং, বোলিং ও ফিল্ডিংয়ে স্কিল বাড়ানোর পাশাপাশি জিমেও সময় কাটান ক্রিকেটাররা।
বাবা মঈন খানের সময়ে ফিটনেস এতোটা মাইনে রাখতো না। পাকিস্তানের ইতিহাসে অন্যতম সেরা উইকেটরক্ষক হওয়ার পাশাপাশি দ্রুত রান তোলায় বেশ খ্যাতি ছিল তার। বিশ্বকাপ জেতায় নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে খুব একটা আক্ষেপ করেন না তিনি। টিভিতে বাবার খেলা দেখেই ক্রিকেটার স্বপ্ন দেখেছেন আজম খান। অন্য কোনো পথে ক্যারিয়ার বেঁছে নেওয়ার চিন্তাও করেননি।
বাবার মতো তিনিও উইকেটরক্ষক। রান তোলায় বেশ পটু, উড়িয়ে ছক্কা মারার কাজটা তার কাছে বেশ সহজ। আজম খান বলেন, ‘আমি আমার বাবাকে দেখেই ক্রিকেট খেলা শুরু করি। তাকে মাঠে দেখা এবং টিভিতে তার খেলা দেখা আমার জন্য অনু্প্রেরণাদায়ক ছিল। এজন্য ক্রিকেটকে বেছে নেওয়া। আমার পড়াশোনার কোনো পরিকল্পনা ছিল না। আমার শুরুর পরিকল্পনাই ছিল ক্রিকেট খেলা। আমি এখন বিশ্বজুড়ে খেলছি। উঠা-নামার মধ্য দিয়ে ভালো সময় যাচ্ছে আমার। ’
চলমান বিপিএলে খুলনা টাইগার্সের হয়ে খেলেছেন আজম খান। এখন যদিও দেশে ফিরে গেছেন তিনি। ৯ ম্যাচে ২২৬ রান করে বাংলাদেশে রেখে গেছেন নিজের ছাপ। আসরের প্রথম সেঞ্চুরিটি আসে তার ব্যাট থেকেই। অবশ্য সেটি শুধু বিপিএল নয়, আজমের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারেরই প্রথম সেঞ্চুরি। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে খেলেছিলেন ৫৮ বলে ৯ চার ও ৮ ছক্কায় ১০৯ রানের ইনিংস। সেই মুহূর্তটি নিয়ে আজম খান বলেন, ‘আমি যখন সেঞ্চুরিটা পেলাম...আমার প্রাথমিক পরিকল্পনা ছিল শেষ পর্যন্ত উইকেটে থাকা। আমি বল খুব সুন্দর টাইমিং করছিলাম তাই জানতাম আমার পক্ষে সেঞ্চুরি করা সম্ভব। এটা হয়েছে এবং এজন্য আমি খুব খুশি। ’
মাঠের খেলা শুরুর আগে চারিদিক থেকে সমালোচনা ধাওয়া করে বিপিএলকে। এর রেশ এখনো আছে। তবে আজম খানের কাছে বিপিএল দারুণ একটি টুর্নামেন্ট। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, এটা দারুণ একটা টুর্নামেন্ট। বিশেষ করে বাংলাদেশি তরুণ ক্রিকেটারদের জন্য একটা বড় একটি টুর্নামেন্ট। এ ধরনের প্রতিযোগিতায় খেলে তারা অনেক কিছু শিখবে। নিশ্চয়ই জানেন এখানকার উইকেট কঠিন। উপমহাদেশে যখন খেলবেন তখন কঠিন উইকেটই পাবেন। ’
আধুনিক যুগে প্রায় সবার জীবনেই মুঠোফোন নিত্যদিনের সঙ্গী। তাতে মনোযোগটা বেশিই দিতেন আজম খান। একটা সময় এর নেতিবাচকতা বুঝতে পেরে ঝোঁক দিলেন সংগীতে। তাই সময় পেলেই গিটার নিয়ে বসে যান ডানহাতি এই ব্যাটার।
গিটার বাজানো শেখার গল্প নিয়ে ২৪ বছর বয়সি আজম বলেন, ‘সংগীতে আমি সম্পৃক্ত হয়েছি কারণ, আমার কাছে মনে হতো আমি মোবাইল বেশি ব্যবহার করছি। কিছু কিছু সময় যা আমাকে ক্লান্তও করে দিত। এজন্য নিজ থেকে উপলব্ধি করি সংগীতে মনোযোগ দেই যা আমাকে মোবাইল থেকে দূরে রাখতে সহায়তা করে। সেখান থেকেই আমি হাতে গিটার তুলে নেই। আমি নিজ নিজে গিটার বাজানো শিখি। কোনো ট্রেনার ছিল না। ইউটিউব থেকেই শিখেছি। ’
‘আমি যখন কোনো ম্যাচ নিয়ে নার্ভাস হই তখন গিটার হাতে নেই এবং কয়েকটি গান গাই। এই তো...’
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০২৩
এএইচএস