বিপিএল নয়, ঢাকা প্রিমিয়ার লিগই বাংলাদেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় টুর্নামেন্ট। ক্রিকেটার, কোচ, কর্মকর্তাদের কণ্ঠে প্রায়ই শোনা যায় এমন সুর।
এর মধ্যে বাড়তি ব্যাপার হচ্ছে রমজান মাস। অনেক মুসলিম ক্রিকেটার ধর্মীয় রীতি মেনেই খেলছেন। এমনকি আম্পায়াররাও গরমে অসুস্থ হচ্ছেন বলে জানা গেছে। এ নিয়ে রোববার বিকেএসপিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন আবাহনীর কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন। সাবেক এই অধিনায়ক জানিয়েছেন ক্রিকেটারদের অভিযোগের কথাও।
তিনি বলেছেন, ‘কোনো সন্দেহ নেই যে, (গরমে খেলা) খুবই কঠিন। ছেলেদের ধন্যবাদ দেই। খেলোয়াড়, আম্পায়ারসহ যারা গরমে ম্যাচ পরিচালনা করেছেন তাদের সবাইকেই ধন্যবাদ। গরমে এটা সহজ না। ছেলেরা বারবার অভিযোগ দিচ্ছে, গরমে খেলা কঠিন। কিছু করার নাই, দিনশেষে গরমে খেলতে হয়। প্রিমিয়ার লিগ সূচি কেন জানি ক্যালেন্ডারের এই সময়েই। ’
‘প্রিমিয়ার লিগ বাংলাদেশের বড় টুর্নামেন্ট। বিপিএলের চেয়ে এগিয়ে রাখি। হয়তোবা টিভিতে দেখায় না, কিন্তু আপনি টিমগুলোর বাজেট দেখেন, বাজেটও বড় থাকে বড় দলগুলোর। খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা টুর্নামেন্ট। একটু আগে শুরু করে, গরমের আগে শেষ করতে পারি..তাছাড়া রমজান চলছিল। অনেকে রোজা রাখতে পারছে না। অনেকে রোজা রেখে খেলছে। সেটা সমস্যা হচ্ছিল। দিনশেষে অনেকে পেশাদার হিসেবে মেনে নিচ্ছে। ’
সবকিছু মাথায় রেখে সময় বদলানোর কথা বলছেন সুজন, ‘এখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ক্রিকেট হয়। ২০ ওভারের হলেও ব্যাপারটা মানা যেত। বড় ম্যাচ হয়, তারপর একদিন দুইদিন পর পর ম্যাচ খেলতে হয়। সহজ না। সপ্তাহে আপনি তিনটা ম্যাচ খেলছেন। ’
‘আমার মনে হয়, আমরা যদি চেষ্টা করি, ক্যালেন্ডারের অন্য সময় খেলা ফেলি, তাহলে ভালো হতো। এই টুর্নামেন্ট থেকে আমরা কিন্তু ওয়ানডে টিম সিলেক্ট করি। ছেলেদের পারফরম্যান্স জরুরি। সেটার দিকে নজর দিলে হয়তো ভালো হয়। বোর্ড ডিরেক্টর হিসেবে আমি জানি কতটা কঠিন, তারপরেও আমাদের পরিকল্পনা করতে হবে, প্রিমিয়ার লিগের কোনো জায়গা করতে পারি কি না। ’
বাংলাদেশ সময় : ২০৫১ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০২৩
এমএইচবি/এএইচএস