বল তখন নিজেই করছিলেন। রশিদ খান বলটা খেললেন সোজা ব্যাটে লং অফের দিকে।
তবুও প্রতিটি রানের জন্যই সাকিব ক্ষুদার্থ। আগেও আছে এমন গল্প। শুরুতে যখন উইকেট মিলছিল না, নিজেই বোলিংয়ে চলে এসেছিলেন বোলিংয়ে। ফিল্ডারদের বদলাতেও থেকেছেন তৎপর। তার আলোয় থেকে আফগানিস্তানকে বাংলাদেশ অলআউট করেছে ১৫৬ রানে।
অথচ শুরুটা ছিল ভীষণ হতাশার। আফগানিস্তানের দুই উদ্বোধনী ব্যাটার রান করছিলেন। বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের শরীরি ভাষাও ছিল কেমন যেন। সবকিছুই বদলে যায় সাকিবের এনে দেওয়া প্রথম উইকেটের পর, ইব্রাহিম জাদরানকে আউট করেন তিনি। ২৫ বলে ২২ রান করে তানজিদ হাসান তামিমের হাতে ক্যাচ দেন তিনি।
পরের উইকেটটা কার? সাকিব আল হাসানেরই। এবার রহমত শাহ সিলি মিড অফে দাঁড়ানো লিটন দাসের হাতে ক্যাচ দেন ২৫ বলে ১৮ রান করে। শুরু থেকে ধুঁকতে থাকা আফগান অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহীদিকে ফেরান মেহেদী হাসান মিরাজ। ১৮ রান করতে তিনি খেলেন ৩৮ বল।
এরপর কেবল আসা-যাওয়ার মধ্যেই ছিল আফগানিস্তান। এক প্রান্ত আগলে রাখা রহমানউল্লাহ গুরবাজও খুব বেশি দূর এগোতে পারেননি। ব্যক্তিগত ৪৭ রানে তাকে শিকার করেন মোস্তাফিজুর রহমান। ব্যাটিং ধসের সেই শুরু। যে কারণে ৩ উইকেটে ১১২ রান থেকে আর মাত্র ৪৪ রানই যোগ করতে পারে আফগানরা। বাংলাদেশের হয়ে সাকিব ও মিরাজ দুজনেই ঝুলিতে পুড়েন তিন উইকেট। এছাড়া শরিফুল দুটি, তাসকিন ও মোস্তাফিজ নেন একটি করে উইকেট।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ৭, ২০২৩
এএইচএস