নাসের হুসেইনের সেই ধারাভাষ্য এখনও নিশ্চয়ই কানে বাজে অনেকের। ‘বাংলাদেশ টাইগার্স হ্যাভ নকড দ্য ইংল্যান্ড লায়ন্স আউট অব দ্য ওয়ার্ল্ড কাপ’ কথাটি অন্তত বাংলাদেশের সমর্থকদের জন্য বারবার শোনার মতোই।
সেটি যে আছেও, ধর্মশালার প্রেসবক্সে এক ইংলিশ সাংবাদিকের সঙ্গে আলাপে জানা হয়েছিল। তার ভাষায় ২০১৫ বিশ্বকাপের সেই ম্যাচটি ইংল্যান্ডেও ভীষণ ‘ফেমাস’। পরে তো সেই হার খোলনলচেই বদলে দিয়েছিল ইংল্যান্ডের ক্রিকেটের।
ফলও নিশ্চয়ই আপনাদের অজানা নয়- এমনই তেতে ছিল ইংল্যান্ড যে পরের বিশ্বকাপটাই তাদের ঘরে তুলে নেয়। প্রকাশ্যেই বাংলাদেশের কাছে সেই হারের ধাক্কা কাজে লেগেছিল বলে স্বীকার করেছেন অনেকে। পরিসংখানেও সেই ঝাঁজ আছে।
এমনিতে ওয়ানডেতে কেবল ২৪ ম্যাচের পাঁচটিতে জিতলেও বিশ্বকাপে দু দলের পাল্লাটা সমান-সমান। ২০১১ আর ‘১৫ বিশ্বকাপে জিতেছিল বাংলাদেশ, হারতে হয়েছে অবশ্য ২০১৯ বিশ্বকাপে। আরও একটি এমন ম্যাচ যখন সামনে, তখন প্রশ্নটা আসেই- ইংল্যান্ড কি বিশ্বকাপের বাংলাদেশ নিয়ে চিন্তিত?
ধর্মশালার সংবাদ সম্মেলন কক্ষে বসে ম্যাচের আগের দিন জস বাটলার বলছিলেন, ‘না, একদমই না। তাদের বিপক্ষে দারুণ কিছু ম্যাচ ছিল আমাদের। তারা অনেক ভালো দল। আমরা সব প্রতিপক্ষকেই সম্মান করি যাদের বিপক্ষে খেলি। বিশ্বকাপের ম্যাচে আপনি কঠিন প্রতিপক্ষ ও সূচিই প্রত্যাশা করবেন। ’
এবারের বিশ্বকাপে অবশ্য বাংলাদেশের শুরুটা ইংল্যান্ডের চেয়ে ভালো হয়েছে। প্রথম ম্যাচে ৬ উইকেটের জয় পেয়ে মানসিকভাবে চাঙা আছে তারা। আরেকদিকে ইংল্যান্ড ৯ উইকেটে হেরেছে নিউজিল্যান্ডের কাছে। পরিস্থিতিটা নিশ্চয়ই আদর্শ নয়?
বাটলারের জবাব, ‘দুই দলই কেবল একটি করে ম্যাচ খেলেছে। দল হিসেবে আমরা আত্মবিশ্বাসী। আমরা জানি গত ম্যাচের চেয়ে ভালো খেলতে পারবো। আগামীকাল ভালো পারফরম্যান্স করার প্রত্যাশায় আছি। কয়েকদিন ভালো প্রস্তুতি হয়েছে। সবাই মরিয়া হয়ে আছে ভালো পারফরম্যান্স করতে। দলের মধ্যে বেশ ক্ষুধাও আছে। মাঠে ফিরতে তারা রোমাঞ্চিত। ’
বাংলাদেশ সময় : ১৪০২ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৯, ২০২৩
এমএইচবি/এএইচএস