আফগানিস্তানের দেওয়া চ্যালেঞ্জিং স্কোর তাড়া করতে নেমে ওপেনিংয়ে একাই লড়ে যান রোহিত শর্মা। বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে গড়েন বেশ কয়েকটি রেকর্ড।
ওয়ানডে বিশ্বকাপের নবম ম্যাচে দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে আফগানিস্তান সংগ্রহ করে ২৭২ রান। জবাব দিতে নেমে ২ উইকেট হারিয়ে ৩৫ ওভারেই জয় নিশ্চিত করে ভারত। সর্বমোট ৫৪৫ রানের এই ম্যাচটিই ওয়ানডেতে এখন ভারত-আফগানদের মধ্যে সর্বোচ্চ স্কোর।
আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা নড়বড়ে হয়েছিল আফগানিস্তানের। টপ অর্ডার থেকে কাঙ্ক্ষিত রানের দেখা পায়নি তারা। ওপেনার রহমানুল্লাহ গুরবাজ ২১, ইব্রাহীম জাদরান ২২ এবং রহমত শাহ করেছেন ১৬ রান। দলীয় ৬৩ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় আফগানরা। এরপর হাশমতুল্লাহ ও ওমরজাই মিলে ১২১ রান যোগ করেন। দুজনেই পান ফিফটির দেখা।
৬৯ বলে ৬২ রান করে ভারতের অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়ার বলে বোল্ড হয়ে বিদায় নেন ওমরজাই। এরপর মোহাম্মদ নবিকে নিয়ে আরও ৪১ রান যোগ করেন হাশমতুল্লাহ। আফগান অধিনায়ক ছুটছিলেন সেঞ্চুরির দিকেও। কিন্তু ব্যক্তিগত ৮০ রানে তিনি বিদায় নেন কুলদিপ যাদবের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে। এরপর নবি (১৯), রশিদ খান (১৬) ও মুজিব উর রহমানের (১০) ছোট ছোট ইনিংসে ভর করে ভালো সংগ্রহ পায় আফগানিস্তান।
বল হাতে ভারতের জসপ্রিত বুমরাহ ১০ ওভারে মাত্র ৩৯ রানে তুলে নিয়েছেন ৪ উইকেট। এছাড়া ২ উইকেট গেছে হার্দিক পান্ডিয়ার ঝুলিতে। আর ১টি করে উইকেট নিয়েছেন শার্দূল ঠাকুর ও কুলদিপ।
রান তাড়ায় ব্যাট করতে নেমে দারুণ শুরু করেন রোহিত শর্মা ও ইশান কিশান। ১১২ বলে ১৫৬ রানের জুটি গড়েন এই দুই ব্যাটার। ৪৭ রান করে রশিদ খানের বলে কিশান বিদায় নিলে ভাঙে এই জুটি। এর আগে ঝড়ো ব্যাট চালাতে থাকা রোহিত ফিফটি পূর্ণ করেন ৩০ বলে। আর শতক পূর্ণ করেন ৬৩ বলে। শচিন টেন্ডুলকারের ৬ সেঞ্চুরিকে চাপিয়ে ৭ সেঞ্চুরি নিয়ে বিশ্বকাপে এখন সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির মালিক তিনি।
এদিকে ৬৩ বলের এই সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে রোহিত এখন ভারতীয় ব্যাটারদের মধ্যে বিশ্বকাপে দ্রুততম সেঞ্চুরিয়ান। তার পরে থাকা কপিল দেব ৭২ বলে শতক ছুঁয়েছিলেন; ১৯৮৩ সালে। একই ম্যাচে ৫টি ছক্কা হাঁকিয়ে তিনি ছাড়িয়ে গেলেন ক্রিস গেইলকে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যার ছক্কার পরিমান ৫৫৩টি। একই ইনিংসে তিনি ছুঁয়ে ফেললেন বিশ্বকাপে দ্রুততম হাজার রানের রেকর্ডও। বৈশ্বিক এই টুর্নামেন্টে ১ হাজার থেকে ২২ রান দূরে থেকে ম্যাচটি শুরু করেন রোহিত। পঞ্চম ওভারে ফাজাল হাক ফারুকির বলে ছক্কা মেরে হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন ৩৬ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান।
বেশ কয়েকটি রেকর্ড গড়ে শেষদিকে বিদায় নেন রশিদের বলে বোল্ড হয়ে। এর আগে ভারতীয় অধিনায়ক নিজের ৮৪ বলে ১৩১ রানের ইনিংসটি সাজান ১৬ চার ও ৫ ছক্কায়। এরপর তিনে নামা বিরাট কোহলির সঙ্গে ৬৮ রানের জুটি গড়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন শ্রেয়াস আইয়ার। ৫৫ বলে ফিফটি স্পর্শ করা কোহলি অপরাজিত থাকেন ৫৫ রানে। শ্রেয়াস করেন ২৩ বলে ২৫ রান।
বাংলাদেশ সময়: ২২১৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০২৩
আরইউ