প্রথমবার কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের নেতৃত্ব নিয়ে মাঠে নেমেছিলেন লিটন দাস। কিন্তু নিজের ব্যাটের মতো তার দলও হতাশ করেছে।
এমনিতে প্রথম ম্যাচ হার অবশ্য কুমিল্লার জন্য নতুন কোনো ঘটনা নয়। গত আসরেও প্রথম তিন ম্যাচ হারে তারা। পরে টানা সবগুলো ম্যাচ জিতে চ্যাম্পিয়ন হয় তারা। তবে অধিনায়কত্বের প্রথম ম্যাচ হারায় বেশ ভালো কষ্টেই আছেন লিটন।
তিনি বলেন, ‘দেখেন, প্রত্যেকটা হারই তো কষ্টের। প্রথমবার অধিনায়কত্ব করছি, আমি তো চাইবো প্রথম ম্যাচ জিততে। এদিকে দিয়ে তো অবশ্যই খারাপ লাগবে যে, হেরে গেছি প্রথম অধিনায়কত্বের ম্যাচে। একই সঙ্গে মনের ভেতর এটাও থাকে যে কুমিল্লা সবসময়ই প্রথম ম্যাচ হারে। আমি স্যারের (সালাউদ্দিন) সঙ্গে সেদিনও কথা বলছিলাম, স্যার বলছিল আমরা প্রথম ম্যাচ এমনেই হেরে যাই। আর হারলেই নাকি স্যারের জন্য লাকি। ’
‘একটা জিনিস আমাদের ভালো হইছে যে, একটা মোটামুটি স্কোর করেও... আমাদের বোলাররা আমাদের দেখিয়েছে যে আমরাও পারি। আমরা পুরো দলটা দেখতে পারলাম, কোন জায়গায় ঘাটতি আছে, কোন জায়গায় শক্তিশালী। এখন আমরা বসে আলোচনা করে জিনিসটা তৈরি করতে পারবো। দ্বিতীয় ম্যাচ থেকে আশা করি ভালো কিছু হবে। ’
১ উইকেট হারিয়ে একসময় ১৩০ রান করেছিল কুমিল্লা। পরে তারা ৬ উইকেটে করে ১৪৩ রানের বেশি করতে পারেনি। শেষ ওভারে এসে হ্যাটট্রিক করেন ঢাকার শরিফুল। আরেকটু দ্রুত কিছু রান তুলতে না পারার আফসোস ছিল লিটন দাসের কণ্ঠে।
তিনি বলেন, ‘আমি যখন ব্যাটিং করছিলাম মনে হয়েছে, উইকেটটা ভালো। (সামলানো) পেস বোলারদের জন্য একটু চ্যালেঞ্জিং কিন্তু স্পিনারদের জন্য খুব একটা কঠিন ছিল না। একই সঙ্গে আমাদের টপ অর্ডার ব্যাটাররা লম্বা সময় ব্যাটিং করছে তারা যদি আরও ১০-২০টা রান দ্রুত তুলতে পারতো ভালো হতো। তবে সংগ্রহ খারাপ ছিল না, লড়াই করার মতো স্কোরই ছিল। ’
‘যারা উপর থেকে ব্যাটিং করেছে, তারা যদি আরও একটু ভালো ফিনিশটা দিয়ে আসতো,... হৃদয় বা কায়েস ভাইয়ের মধ্যে যদি কেউ ২০টা রান বাড়তি করে দিয়ে আসতো ১০ বল খেলে তাহলে দৃশ্যটা অন্যরকম থাকতো। তবে কায়েস ভাই অনেকদিন পর রান করছে এটা আমাদের জন্য ইতিবাচক ব্যাপার। ’
বাংলাদেশ সময় : ১৯১৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০২৪
এমএইচবি/এএইচএস