সিলেট থেকে: সংবাদ সম্মেলনে আসার পথে মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের মুখভার। কথা বলার পুরোটা সময়েও তার কণ্ঠে অতৃপ্তির ছাপ।
এমনিতে অনেকদিন ধরে ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত রান করছেন তিনি। গত ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের হয়ে ১৫ ইনিংসে ৪ হাফ সেঞ্চুরি ও এক সেঞ্চুরিতে ৫৭৪ রান করেন তিনি। সবশেষ জাতীয় ক্রিকেট লিগেও ৭ ইনিংসে আছে দুই সেঞ্চুরি।
কিন্তু ঘরোয়া ক্রিকেটের নিয়মিত এই পারফরমার বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে বেশির ভাগ সময়ই কাটান বেঞ্চে বসে। গত তিন বছর ধরে তিনি খেলছেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে। সুযোগ পেলেও বাদ পড়ার শঙ্কা কি পারফরম্যান্সেও প্রভাব ফেলে?
অঙ্কন বলেন, ‘আমি এনিয়ে তৃতীয়বার কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সে খেলছি। আমি মনে করি, যে দল চারবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ওই দলে খেলতে হলে অবশ্যই মানসিকভাবে শক্ত হতে হবে। এই সব বড় তারকার ভিড়ে আমিও ভালো খেলতে পারবো বিশ্বাস করি, এজন্য প্রস্তুত রাখি নিজেকে। ’
‘অবশ্যই একজন খেলোয়াড় হিসেবে খারাপ লাগা থাকে। কিন্তু এটা পার্ট অব গেম। সবসময় চেষ্টা করি আমার কাছে যেটা আছে, সেটা নিয়ে কাজ করার। ’
রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে ম্যাচে হাফ সেঞ্চুরি করলেও তার ইনিংস ছিল কিছুটা ধীরগতির। ৪ চার ও ৩ ছক্কার ইনিংসে ৫৫ বলে ৬৩ রান করেন তিনি। পরে অঙ্কনের দল ম্যাচ হারে ৮ রানে। আরেকটু কম ডট বল না খেলতে পারার আফসোস ছিল অঙ্কনের।
তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি যে, আমার ইনিংসে আরও কিছু শট খেলতে পারতাম। একটু কম ডট হলেও ভালো হতো। কিন্তু দিনশেষে ম্যাচ জিততে পারলে খুব ভালো লাগতো। ম্যাচটা আসলে আমরা পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলতে পারতেছিলাম। আমি মনে করি, আমার ইনিংসে যদি আরও ১০ রান বেশি হত, তাহলে আমরা সহজে জিততে পারতাম। ’
বাংলাদেশ সময় : ১৯৪১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০২৪
এমএইচবি/এএইচএস