সিলেট থেকে: শেষ ওভারে দরকার ছিল ১৮ রান। এক ওভার আগে সমীকরণ ছিল আরও কঠিন, জয় থেকে ফরচুন বরিশাল ৩৭ রান দূরে ছিল তখন।
এক বল পর স্ট্রাইক পেয়ে বাকি কাজটুকু সারেন শোয়েব মালিক। এমন ম্যাচে স্বাভাবিকভাবেই উত্তেজনা ছড়ায় বেশ। এবারের বিপিএলে খুলনা টাইগার্সকে প্রথমবারের মতো হারানোর মঞ্চে দোটানা ছিল বরিশালের ড্রেসিংরুমেও। এমনটি জানিয়েছেন বরিশালের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসা তাইজুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘এরকম কথা তো স্বাভাকিভাবে হয়েই থাকে (তিন বলে তিন ছক্কা)। দেখা যায় যখন এরকম পরিস্থিতি আসে তখন আমরা চিন্তা করি এক ওভারে তিনটা ছক্কা দরকার...তখন চিন্তা করি যে হয়তো প্রথম বলে যদি একটা ছক্কা আসে তো আমাদের জন্য সুবিধা হবে আর ব্যাটারের জন্যও আত্মবিশ্বাস আসে। ’
‘ক্রিকেটে এমন পরিস্থিতি অনেক আসবে। ডাগআউটের কথা বললে বলতে হয় আমরা ৭০ ভাগ ব্যাকফুটে ছিলাম এই ম্যাচে, ১২-১৩ ওভার থেকে যদি দেখেন। তো সে জায়গা থেকে এরকম কামব্যাক, মিরাজ-মালিক ভাইয়ের দুর্দান্ত ইনিংস। টেনশনও কাজ করছিল, বলবো না যে টেনশন ছিল না। প্রত্যেকের একটা চিন্তা ছিল যে জিতব কি, জিতব না— এরকম একটা মুহূর্ত ছিল। ’
১০১ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে একটা সময় পর্যন্ত ধুঁকছিল ফরচুন বরিশাল। সেখান থেকে ম্যাচের গতিপথ বদলে দেওয়ার শুরুটা করেন মেহেদী হাসান মিরাজ। শেষ অবধি ৩ ছক্কা ও ১ চারে ১৫ বলে ৩১ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। তার প্রশংসা ছিল তাইজুলের কণ্ঠে।
তিনি বলেন, ‘খেয়াল করবেন যে, মিরাজকে আজই এমন ইনিংস খেলেছে তা না। বিগত দিনগুলোতেও করেছে। এটা দলের জন্য ভালো। আমার কাছে মনে হয় ও ওই রকম পরিস্থিতিতে এরকম ইনিংস খেলা অবশ্যই এটা বড় ক্রিকেটারের লক্ষ্য। ’
বাংলাদেশ সময় : ১৮৫৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২৪
এমএইচবি/এএইচএস