চট্টগ্রাম থেকে: বিপিএলের নতুন ঠিকানা চট্টগ্রাম। স্থানীয় দলের ম্যাচও ছিল প্রথমদিনেই।
মঙ্গলবার জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বিপিএলের ম্যাচে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে ৭৪ রানে হারিয়েছে কুমিল্লা। শুরুতে ব্যাট করে ৩ উইকেট হারিয়ে ২৩৯ রান করে তারা। রান তাড়ায় নেমে ১৬৬ রানে অলআউট হয়ে গেছে চট্টগ্রাম। ১৭তম ওভারে হ্যাটট্রিকের মাধ্যমে ম্যাচের ইতি টানেন মঈন আলী।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বিপদে পড়তে পারতো কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। ইনিংসের তৃতীয় ওভারের প্রথম বলেই ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন উইল জ্যাকস। কিন্তু নিহাদুজ্জামানের বলে ক্যাচ ছেড়ে দেন উইকেটরক্ষক টম ব্রুস। ওই মাশুল পুরো ইনিংসজুড়েই গুনতে হয় চট্টগ্রামকে।
ঝড়ো উদ্বোধনী জুটি ভাঙে শহিদুল ইসলামের বলে লিটন দাসের দুর্দান্ত এক ইনিংসের ইতি ঘটলে। এই ওপেনার ৯ চার ও ৩ ছক্কায় ৩১ বলে ৬০ রান করেন। পরের বলেই আউট হয়ে যান আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান তাওহীদ হৃদয়। তিনি এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন।
ভালো করতে পারেননি ব্রুক গেস্টও। ১ চারে ১১ বলে ১০ রান করে আউট হন তিনি। ওপেনার হিসেবে খেলতে নামা উইল জ্যাকসকে আর শেষ অবধি ফেরাতেই পারেনি কুমিল্লা। ৫ চার ও ১০ ছক্কায় ৫৩ বলে ১০৮ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। হৃদয়ের পর এবারের বিপিএলে দ্বিতীয় সেঞ্চুরি পালন করেন তিনি।
দুবার জীবন পাওয়া মঈন আলী ২ চার ও ৫ ছক্কায় ২৪ বলে ৫৩ রান করেন। ২০১৯ সালে চিটাগাং ভাইকিংসের বিপক্ষে ২৩৯ রান করে বিপিএলের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহের রেকর্ড গড়ে রংপুর রাইডার্স। এবার সেটিকে ছুঁয়েছে কুমিল্লা।
বিশাল রান তাড়ায় নেমে শুরুটা ভালো হয় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। তাদের ব্যাটারদের ক্যাচও ছাড়েন কুমিল্লার ফিল্ডাররা। তানজিদ হাসানের ক্যাচ একসঙ্গে ধরতে গিয়ে মিস করেন লিটন ও ম্যাথু ফোর্ড। পরে এই ওপেনার আউট হন মোস্তাফিজুর রহমানের বলে। উদ্বোধনী জুটি ভাঙার কিছুক্ষণ পর ফেরেন আরেক ওপেনারও।
৩ চার ও ২ ছক্কায় ২৩ বলে ৩৬ রান আসে জশ ব্রাউনের ব্যাট থেকে। দুই উদ্বোধনী ব্যাটার নামার পর রীতিমতো ধ্বস নামে চট্টগ্রামের ব্যাটিংয়ে। মাঝে কেবল ১ চার ও ৫ ছক্কায় ১১ বলে ৩৬ রান করেন সৈকত আলী। কুমিল্লার পক্ষে ৪ ওভারে স্রেফ ২২ রান দিয়ে চার উইকেট নন রিশাদ হোসেন। হ্যাটট্রিক করা মঈনের শিকারও চারটি উইকেট।
৮ ম্যাচে ছয় জয় নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের দুইয়ে আছে কুমিল্লা, ৯ ম্যাচে ৫ জয় নিয়ে পরের অবস্থান চট্টগ্রামের।
বাংলাদেশ সময় : ১৬৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৪
এমএইচবি/এএইচএস