চট্টগ্রাম থেকে: শুরুটা ভালো হলো না। কিন্তু একজন সাকিব আল হাসান নিজেকে চেনালেন আরও একবার, আগের বহুবারের মতো।
মঙ্গলবার বিপিএলের ম্যাচে খুলনা টাইগার্সকে ৭৮ রানে হারিয়েছে রংপুর রাইডার্স। শুরুতে ব্যাট করে ৫ উইকেট হারিয়ে ২১৯ রান করে তারা। জবাব দিতে নেমে ১৪১ রানে অলআউট হয়ে যায় খুলনা। ৯ ম্যাচের সাতটিতে জিতে পয়েন্ট টেবিলে সবার উপরেই থাকছে রংপুর। এ ম্যাচ জয়ের পর প্লে অফ অনেকটাই নিশ্চিত হয়েছে তাদের। ৮ ম্যাচে ৫ জয় পাওয়া খুলনা আছে পাঁচে।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি রংপুর রাইডার্সের। ২৪ রানে দুই উইকেট হারায় দলটি। শুরুটা হয় রনি তালুকদারকে দিয়ে। লুক উডের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ৭ বলে ৫ রান করেন তিনি। একই বোলারের পরের ওভারে বোল্ড হন রেজা হেনরিকসও, ৭ বলে ৫ রান করেন তিনি।
উইকেটে আসার পর থেকেই অবশ্য আক্রমণাত্মক ছিলেন সাকিব আল হাসান। নাসুম আহমেদের করা পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে ২৬ রান নেন এই অলরাউন্ডার। অথচ চোখের সমস্যায় টুর্নামেন্টের শুরু দিকে ব্যাটিংয়েই নামতে পারছিলেন না তিনি।
সাকিবের সঙ্গী হয়ে শুরুতে কিছুটা দেখে খেললেও সময়ের সঙ্গে আক্রমণাত্মক হন মাহেদী হাসানও। ব্যাটিং অর্ডারে উন্নতি হওয়া মাহেদী সাকিবের সঙ্গে গড়েন ৪৮ বলে ১০৯ রানের দুর্দান্ত এক জুটি। দুজনই তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরি, এর মধ্যে সাকিবের ২০ বলেরটি ছিল এবারের আসরের দ্রুততম।
৬ চার ও সমান ছক্কায় ৩১ বলে ৬৯ রান করে লুক উডের বলে এভিন লুইসের হাতে ক্যাচ দেন সাকিব। ৬ চার ও ৪ ছক্কায় ৩৬ বলে ৬০ রান করে একই ফিল্ডারের হাতে নাসুম আহমেদের বলে ক্যাচ দেন মাহেদী। রংপুরের রান এক সময় দুইশ ছাড়াবে কি না এমন সংশয় তৈরি হয়।
তবে ১৩ বলে ৩২ রানের অপরাজিত ইনিংসে সেটি দূর করেন অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। ১৫ বলে ১৩ রান আসে নিশামের ব্যাটে, ১২ বলে ১৭ রান করেন ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস। বড় রানের ইনিংসেও ৪ ওভারে স্রেফ ১৯ রান দিয়ে তিন উইকেট নেন উড, ১ উইকেট পাওয়া নাসুম তিন ওভারে দেন ৫৫ রান।
রান তাড়ায় নেমে অনেক্ষণ লড়াই চালালেও সেটি শেষ অবধি টেনে নিতে পারেন খুলনা। দলটির হয়ে সবচেয়ে বেশি ৩৩ বলে ৬০ রান আসে অ্যালেক্স হেলসের ব্যাট থেকে। এছাড়া শেষদিকে ১৪ বলে ২০ রান করেন উড। রংপুরের পক্ষে ৫ উইকেট নেন ইমরান তাহির। সাকিব দুটি ও মাহেদী, জিমি নিশাম, হাসান মাহমুদ একটি করে উইকেট পান।
বাংলাদেশ সময় : ২১৫৮ ঘণ্টা, ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
এমএইচবি