সিলেটের ব্যাটিংয়ের শুরুটা হলো না খুব ভালো। কিন্তু শেষদিকে ঝোড়ো ব্যাটিং করলেন বেনি হাওয়েল।
সোমবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বিপিএলের ম্যাচে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে ১২ রানে হারিয়েছে সিলেট স্ট্রাইকার্স। এই জয়ে সিলেটের খুব বেশি লাভ না হলেও কুমিল্লার অনেকটাই ক্ষতি হয়েছে। জিতলেই প্লে-অফ নিশ্চিত হওয়ার সুযোগ ছিল তাদের সামনে। কিন্তু হেরে যাওয়ায় এখন অপেক্ষায় থাকতে হবে চারবারের চ্যাম্পিয়নদের।
শুরুতে ব্যাট করে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৭৭ রান করে সিলেট। রান তাড়ায় নেমে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬৫ রান করে কুমিল্লা। পাঁচ ম্যাচ পর এসে এটি প্রথম হার দলটির। তবে ১০ ম্যাচে ৭ জয় নিয়ে এখনও পয়েন্ট টেবিলের দুইয়ে আছে কুমিল্লা। ১১ ম্যাচে ৪ জয়ে ৮ পয়েন্ট সিলেটের। তারা আছে নিচের দিক থেকে দ্বিতীয় স্থানে।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালোই হয়েছিল সিলেট স্ট্রাইকার্সের। তাদের ৪০ রানের উদ্বোধনী জুটিটি ভাঙেন সুনীল নারিন। বিপিএলের এবারের আসরে প্রথম ম্যাচ খেলা এই স্পিনারের বলে তার হাতেই ক্যাচ দেন ১৭ বলে ১৮ রান করা জাকির। আরেক ওপেনার কেনার লুইসও প্রথমবার বিপিএল খেলতে নামেন। দুই চার ও সমান ছক্কায় ২৫ বলে ৩৩ রান করেন তিনি। তাকে আউট করেন মোস্তাফিজুর রহমানের বদলি হয়ে নামা মুশফিক হাসান।
এরপর এক রানের ব্যবধানে দুই উইকেট হারায় সিলেট। প্রথমে ১৮ বলে ১২ রান করা নাজমুল হোসেন শান্তকে বোল্ড করেন রিশাদ। এদিকে ৫ বলে ২ রান করার পর রিশাদের বলে লিটন দাসের হাতে ক্যাচ দেন ইয়াসির আলীও। ৭৪ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলার পর দলের হাল ধরেন মোহাম্মদ মিঠুন ও বেনি হাওয়েল।
৪২ বলে ৭৭ রানের জুটি গড়েন তারা। ১ চার ও ২ ছক্কায় ২০ বলে ২৮ রান করে এলবিডব্লিউ আউট হয়ে যান মিঠুন। তবে শেষ অবধি ৩১ বলে ৬২ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন হাওয়েল। কুমিল্লার হয়ে ৪ ওভারে স্রেফ ১৬ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন নারিন। ৩ ওভারে ২৭ রান দিয়ে দুই উইকেট নেন রিশাদও।
রান তাড়ায় নেমে ২৯ রানে ২ উইকেট হারায় কুমিল্লা। ৫ বলে ৩ রান করে প্রথম ব্যাটার হিসেবে সামিত প্যাটেলের বলে কেনার লুইসের হাতে ক্যাচ দেন ইমরুল কায়েস। এরপর ১৫ বলে ১৭ রান করা তাওহীদ হৃদয়কে ফেরান তানজিম হাসান সাকিব। সেখান থেকে জনসন চার্লসকে নিয়ে বড় জুটি গড়েন লিটন দাস। যদিও ৫৬ বলে ৭৯ রানের ওই জুটিতে চার্লসের অবদান ২১ বলে ১২ রান। শফিকুল ইসলামের বলে তিনি ক্যাচ দেন উইকেটরক্ষকের হাতে।
পরে ৫ বল খেলে কোনো রান করার আগেই বেনি হাওয়েলের বলে আউট হয়ে যান মঈন আলি। আরেক প্রান্ত আগলে থাকেন লিটন দাস। হাফ সেঞ্চুরি করেও চালিয়ে খেলছিলেন তিনি। শেষদিকে এসে জমে যায় ম্যাচ। শেষ ৩ ওভারে ৪৯ রান দরকার ছিল কুমিল্লার।
কিন্তু সেটি শেষ অবধি করতে পারেননি লিটন দাস-আন্দ্রে রাসেলরা। শেষ ওভারের প্রথম বলে এসে আউট হওয়ার আগে ৭ চার ও ৩ ছক্কায় ৫৮ বলে ৮৫ রান করেন লিটন। এছাড়া ১৪ বলে ২৩ রান করেও দলকে জেতাতে পারেননি রাসেল।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২৪
এমএইচবি/এমএইচএম