প্যাডটা তখনও খোলেননি। সেটি পরেই জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের আরেক মাথায় সংবাদ সম্মেলনে চলে এলেন লিটন দাস।
এই পথে অবশ্য সতীর্থদের সমর্থনও পাননি খুব একটা। শেষ দুই ওভারে দরকার ছিল ৩৭ রান। প্রথম বলে ক্যাচ তুলে দিয়েও বেঁচে যান লিটন। এরপর ওই ওভারে আর স্ট্রাইকই পাননি লিটন। একটি ছক্কা ও চার হাঁকালেও ওই ওভারে তিনটি ডট দেন ক্যারিবীয় অলরাউন্ডার আন্দ্রে রাসেল।
ওই সময় কেন রান নেননি এর ব্যাখ্যায় লিটন সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমার বিশ্বাস ছিল রাসেল ওই ওভারে ম্যাচ কাভার করে দেবে। হয় নাই। সব কিছু কী আপনি চাইলেই পাবেন নাকি। আমি যদি আউট হয়ে যেতাম, হতেও তো পারত। অধিনায়ক হিসেবে আমি বিশ্বাস করেছিলাম যে আমার খেলোয়াড় আমাকে ম্যাচ জেতাবে। পারেনি। পরের ম্যাচ জেতাবে। ’
ব্যাট হাতে ৫৮ বলে ৮৫ রানের ইনিংস খেলেন লিটন দাস। এটি তার ক্যারিয়ার সেরা রানও। এবারের বিপিএলে বেশ উত্থান-পতনের ভেতর দিয়ে গিয়েছেন লিটন। এখন রান করতে পেরে কেমন লাগছে?
তার জবাব, ‘ভালো লাগে রান পেলে। খারাপ লাগছে না, ভালোই লাগছে। ম্যাচ জিতলে আরও ভালো লাগতো। আমার কাছে মনে হয় উইকেটটা একটু কঠিন ছিল। এতটা সহজ উইকেট ছিল না। ডাবল পেস ছিল। তবু আমরা খুব ভালো ব্যাটিং করেছি। ’
‘যদি ১৬ থকে ২০ ওভার পর্যন্ত আরও দুটি ছয় মারতে পারতাম, যে ধরনের খেলোয়াড়রা আমাদের হাতে আছে, তারা মারার জন্য যথেষ্ট সামর্থ্য রাখে। হয়নি। এটাই ক্রিকেট। এটাও মাথায় রাখতে হবে যে আপনি প্রতিদিন আসবেন আর জিতবেন, এটাও হবে না। একদিন না একদিন আপনাকে হারতে হবে। আজ আমাদের দিন ছিল। তবে এখনো সুযোগ আছে। আশা করি ঘুরে দাঁড়াতে পারব। ’
সেঞ্চুরি না পাওয়ার আক্ষেপ আছে কি না জানতে চাইলে লিটন বলেন, ‘না কোনো আক্ষেপ নেই। বললাম তো, ম্যাচ জিততে পারলে আক্ষেপ হতো না। এরকম একটা বড় রান তাড়ায় যদি ৫০ রান করেও জেতানো যায়, সেটা অনেক খুশির ব্যাপার। তবে আপনি ৯০ রানের কাছাকাছি বা ৮০ রান, যা-ই করেন, দিন শেষে তো হেরে গেছি। দুই পয়েন্ট হারিয়েছি। এদিক থেকে একটু হতাশ। ’
এবারের বিপিএলে প্রথমবারের মতো কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের অধিনায়কত্ব করছেন লিটন দাস। ধীরে ধীরে আসতে শুরু করেছেন আন্দ্রে রাসেল, মঈন আলি, সুনীল নারিনের মতো ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট তারকারা। তাদের নেতৃত্ব দিতে পেরে কেমন লাগছে লিটনের?
তার উত্তর, ‘আমাদের যে ক্রিকেটারগুলো খেলছে, রাসেল-সুনিল... ৩-৪ বছর ধরে কুমিল্লায়ই খেলছে। আমিও একই দলে খেলি। তো তারা অনেকটা পরিবারের মতো। বিশ্বজুড়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ খেলে বেড়ায়। তাদের হ্যান্ডেল করা খুব সহজ। তারা নিজেদের ভূমিকা জানে। তাই কোনো সমস্যা নেই। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২৪
এমএইচবি/এমএইচএম