বল হাতে ফর্মে ফিরলেন অজি ফাস্ট বোলার মিচেল স্টার্ক। নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে অবদান রাখলেন সুনীল নারিনও।
বাংলা বছরের প্রথম দিন তথা পহেলা বৈশাখে কলকাতার ঘরের মাঠ ইডেন গার্ডেনস ধরা দিল মোহময়ী রূপে। সঙ্গে ছিল বলিউডের কিং খান শাহরুখ খানের দ্যুতিও। উৎসব পূর্ণতা পেল কলকাতার ৮ উইকেটের জয়ে। নববর্ষের সন্ধ্যায় নিজেদের খাতায় ২ পয়েন্ট যোগ করল নাইটরা।
অবাক করা ব্যাপার হচ্ছে, এর আগে কখনোই লক্ষ্ণৌকে হারাতে পারেনি কলকাতা। গত মৌসুমের প্লে অফে উঠার ম্যাচে ১ রানে হেরে যায় তারা। এবার অবশ্য লক্ষ্ণৌ পাত্তা পেল না। টস জিতে প্রতিপক্ষকে আগে ব্যাটিংয়ে পাঠান কলকাতার অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ার। প্রথম থেকেই কলকাতার দারুণ বোলিং আক্রমণে দিশেহারা অবস্থা হয়ে যায় সফরকারীদের।
নাইটদের বোলিং তোপে শুরুতেই ফিরে যান লক্ষ্ণৌয়ের ওপেনার কুইন্টন ডি কক ও দীপক হুডা। আগের ম্যাচে ব্যাটিং ঝলক দেখানো আয়ুষ বাদোনিও (২৯) পারেননি টিকে থাকতে। তবে কিছুটা লড়াই করেন দলটির অধিনায়ক লোকেশ রাহুল। তবে রানের গতি বাড়াতে পারেননি তিনি। ২৭ বলে ৩৯ রান করেছেন তিনি। শেষদিকে নিকোলাস পুরান ৩২ বলে ৪৫ রানের ইনিংস খেলে দলের সংগ্রহকে মোটামুটি একটা পর্যায়ে নিয়ে যান। ৭ উইকেটে ১৬১ রানের সংগ্রহ পায় লক্ষ্ণৌ।
বল হাতে আজ ভিন্ন মেজাজে দেখা মেলে স্টার্কের। এই অজি ফাস্ট বোলারের অফ-ফর্ম কলকাতার জন্য বড় দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তবে আজ তাকে খেলতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে প্রতিপক্ষ ব্যাটারদের। ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা পুরানকে তিনিই বিদায় করেন। সবমিলিয়ে ৪ ওভারে ২৮ রান খরচে স্টার্ক তুলে নিয়েছেন ৩ উইকেট। এছাড়া ৪ ওভারে মাত্র ১৭ রান খরচে ১ উইকেট নেন নারিন।
জবাবে কলকাতার শুরুটা হলো ঝড়ের গতিতে। ক্যারিবীয় পেসার সামার জোসেফের প্রথম ওভারেই উঠলো ২২ রান। যদিও তার বলেই দুইবার ক্যাচ পড়লো। দুইবারই প্রাণ ফিরে পেলেন সল্ট। যিনি পরে খেললেন ৪৭ বলে ৮৯ রানের ম্যাচ জেতানো ইনিংস। নারিন (৬) ও অঙ্গকৃষ রঘুবংশী (৭) ব্যর্থ হলেও খুব একটা প্রভাব পড়েনি। ৩৮ বলে ৩৮ রান করে সল্টের সঙ্গে ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন আইয়ার।
৫ ম্যাচে ৪ জয়ে ৮ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়েই রইলো কলকাতা। ৬ ম্যাচে ৩ জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচে আছে লক্ষ্ণৌ। আর শীর্ষে থাকা রাজস্থানের সংগ্রহ ৬ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট।
বাংলাদেশ সময়: ২০০২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৪, ২০২৪
এমএইচএম