ইতিহাস গড়ে প্রথমবারের মত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠেছে আফগানিস্তান। সেমিফাইনালে ওঠার পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংবদন্তি ব্রায়ান লারাকে এর কৃতিত্ব দিয়েছেন আফগানিস্তানের অধিনায়ক রশিদ খান।
এক ম্যাচের ওপর ঝুলছিল তিন দলের সেমিফাইনাল ভাগ্য। শেষ চারের লক্ষ্যে আফগানদের বিপক্ষে বল হাতে শুরুটা ভালো করেছিলেন টাইগার বোলাররা। তাদের নৈপুণ্যে ১১৫ রানেই রশিদ খানদের আটকে রাখে বাংলাদেশ। সেমিতে যেতে আফগানিস্তানের দেওয়া ১১৬ রানের লক্ষ্য ১২.১ ওভারের মধ্যে তাড়া করতে হতো নাজমুল হোসেন শান্তদের। সেটা তো দূরের কথা, শেষ পর্যন্ত ম্যাচই জিততে পারেনি বাংলাদেশ। বৃষ্টি আইনে ৮ রানের জয়ে প্রথমবারের মতো সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে আফগানিস্তান। বাংলাদেশের হারে বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেছে অস্ট্রেলিয়ারও।
আইসিসি টুর্নামেন্টে প্রথম বার সেমিফাইনালে আফগানিস্তান। ক্যাপ্টেন রশিদ খান বলেন, ‘সত্যি বলতে, অনুভূতি প্রকাশের ভাষা নেই। তবে আমাদের সেমিফাইনালের কৃতিত্ব দিতে হবে ব্রায়ান লারাকে। তিনিই একমাত্র ব্য়ক্তি যিনি মনে করেছিলেন, আমরা সেমিফাইনালে যেতে পারি। তার এই বিশ্বাস টুর্নামেন্টের শুরুতে তাতিয়েছিল। আমরা যখন তার সঙ্গে একটা পার্টিতে দেখা করেছি তখন তাকে বলেছিলাম যে আমরা তাকে হতাশ করব না। তাকে বিশেষ ধন্যবাদ। ’
ম্যাচ প্রসঙ্গে রশিদ বলছেন, ‘১৩০-১৩৫ ভালো স্কোর হত। আমরা ১৫-২০ রান কম ছিলাম। জানতাম, ওরা বিধ্বংসী ব্যাটিং করবে। আমরা উইকেট সোজা বল করতে চেয়েছিলাম। বৃষ্টি, রেজাল্ট এসব নিয়ে ভাবছিলাম না। আমরা সর্বস্ব দিয়ে চেষ্টা করছি কিনা, সেটা বেশি জরুরি ছিল। সকলেই সেটা করেছে। ফজলহক-নবীন দুর্দান্ত শুরু করায় মিডল ওভারে স্পিনারদের সুবিধা হয়েছে। এত দিন আমাদের এটাই দুর্বলতা ছিল। ওদের বলে হয়তো প্রচুর গতি নেই, তবে দুর্দান্ত বোলিং করছে। সেটাই প্রয়োজন। আমাদের কাছে একটাই রাস্তা ছিল, ম্যাচ জিতে সেমিফাইনাল। ’
আফগানিস্তানের ঘরের সমর্থকদের নিয়ে রশিদ বলেন, ‘আমরা ঘরের লোকদের খুশি করতে চেয়েছি। সবাই এটার জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছে। আফগানিস্তানে এখন দারুণ উৎসব চলছে। আমাদের জন্যও এটা অনেক বড় অর্জন। আমরা অনূর্ধ্ব-১৯ পর্যায়ে এর আগে এখানে পৌঁছেছি, কিন্তু এটা বিশ্বকাপ। আমার বলার ভাষা নেই যে আফগানিস্তানে এখন কতবড় উৎসব চলছে। ’
বাংলাদেশ সময়:
এআর