প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ অলআউট হয়ে গিয়েছিল স্রেফ ১৪৯ রানে। পড়েছিল ফলো অনেও।
চেন্নাইয়ের এম চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও ভারত। প্রথম ইনিংসে ৩৭৬ রানে অলআউট হয় ভারত। পরে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ১৪৯ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেটে ২৮৭ রান করে ইনিংস ঘোষণা করে ভারত। ৫১৫ রান তাড়ায় নেমে ১৩ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৫৬ রান করেছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের চেয়ে ৩০৮ রানে এগিয়ে থেকে শুরু করে ভারত। সময় যত গড়িয়েছে, ততই বেড়েছে তাদের লিড। তাতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন শুভমান গিল ও ঋষভ পন্থ।
৩৩ রানে অপরাজিত থাকা গিল তৃতীয় দিন সকালে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন। একটি মাইলফলকও ছুঁয়েছেন পন্থও। ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনা থেকে প্রায় দুই বছর পর টেস্ট ক্রিকেটে ফেরা এই উইকেটরক্ষকের প্রথম হাফ সেঞ্চুরি এটি।
গিলের সঙ্গে পন্থের জুটিটি একশ ছাড়িয়ে যায়। একটু পর চারশ হয়ে যায় ভারতের লিড। এরপরই ক্যাচ ছেড়ে দেন শান্ত। ৪৯তম ওভারে সাকিবের বলে মিড উইকেট দিয়ে উড়িয়ে মারতে গিয়ে টাইমিংয়ে গড়বড় করে ফেলেন পন্থ। কিন্তু আকাশে উঠা বল সময় পেয়েও ধরতে পারেননি শান্ত।
মারমুখী ছিলেন পান্ত ও গিল দুজনেই। আর তাতে প্রথম সেশনে ২৮ ওভারে ১২৪ রান করেছে ভারত। পরেরটিতে ফিরেই সেঞ্চুরি তুলে নেন ২৯ মাস পর টেস্টে ফেরা পন্থ। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে সড়ক দুর্ঘটনায় মারাত্মকভাবে আহত হয়েছিলেন তিনি।
এরপর কঠিন পথ পাড়ি দিয়ে ক্রিকেটে ফিরেছেন। টেস্ট ক্যারিয়ারে এটি তার ষষ্ঠ সেঞ্চুরি। এরপর অবশ্য বেশিক্ষণ উইকেটে থাকতে পারেননি। ১২৭ বলে ১০৯ রান করে মিরাজের বলে তার হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়ে যান।
পন্থের বিদায়ের পর সেঞ্চুরি তুলে নেন গিলও। প্রথম ইনিংসে শূন্য রানে আউট হওয়া ব্যাটারের এটি টানা দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচে শতক। এ বছর সবমিলিয়ে তৃতীয় সেঞ্চুরি গিলের।
৪ উইকেটে ২৮৭ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে ভারত। বাংলাদেশের সামনে দাঁড়ায় ১১৫ রানের বড় লক্ষ্য। ইনিংস ঘোষণার সময় গিল ১১৯ রানে ও লোকেশ রাহুল ২২ রানে অপরাজিত ছিলেন।
বিশাল রান তাড়ায় নেমে ইতিবাচক আছেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার। চা বিরতির আগে ১৩ ওভার খেলে ৫৬ রান করেছেন তারা। ৪০ বলে ২১ রানে সাদমান ও ৩৮ বলে ৩২ রানে অপরাজিত আছেন জাকির হাসান।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৪
এমএইচবি/এমএইচএম