ম্যাচ-ফিক্সিংয়ে জড়িত থাকার কারণে গ্রেপ্তার হয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার লোনওয়াবো সোতসোবে, থামসাঙ্কা সোলকাইল ও এথি এমবালাতি। প্রথমে অবশ্য এমবালাতিকে গ্রেপ্তার করা হয় (১৮ নভেম্বর)।
একটি সংবাদ প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে ২০১৬ সালের অক্টোবরে তদন্ত শুরু করে ডিরেক্টরেট ফর প্রায়োরিটি ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন (ডিপিসিআই), যারা হকস নামেও পরিচিত। দীর্ঘ তদন্তের পর ২০১৫/১৬ টি-টোয়েন্টি রাম স্ল্যাম টুর্নামেন্টে দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে ম্যাচ ফিক্সিংয়ে জড়িত থাকার প্রমাণ পায় তারা।
এমবালাতির মামলা আগামী বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্থগিত রেখেছে প্রিটোরিয়ার স্পেশালাইজড কমার্শিয়াল ক্রাইমস কোর্ট। এছাড়া সোতসোবে ও সোলকাইলকেও আদালতে তোলা হয় আজ। তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি বিরোধী আইন অনুযায়ী, পাঁচটি অভিযোগ আনা হয়। তবে তাদের মামলাও আগামী বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্থগিত রাখা হয়েছে।
একই টুর্নামেন্টে ভারতীয় বুকমেকারদের সঙ্গে মিলে তিনটি ম্যাচে খেলোয়াড়দের দ্বারা ম্যাচ পাতানোর চেষ্টা করেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক খেলোয়াড় গুলাম বোদি। এনিয়ে সন্দেহ তৈরি হয় দক্ষিণ আফ্রিকার এক দুর্নীতি দমন কর্মকর্তার। ২০১৮ সালের জুলাইয়ে বোদিকে গ্রেপ্তার করে হকস। আটটি অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয় তাকে।
এই কেলেঙ্কারিতে জড়িত ছিলেন জিন সাইমস। তাকে চার বছরের সাজা দেওয়া হয়। একই ধরনের অভিযোগে ছয় বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয় পুমি মাতশিকেকে। তবে দুজনেরই সাজা পাঁচ বছরের জন্য স্থগিত রাখা হয়েছে।
সোতসোবে, সোলকাইল ও এমবালাতির মামলাটি নিয়ে ডিপিসিআইয়ের প্রধান লেফটন্যান্ট জেনারেল গডফ্রে লেবেয়া বলেন, ‘দুর্নীতি খেলার সততাকে ধ্বংস করে। সমাজের সবক্ষেত্রে ন্যায্যতা ও পেশাদারত্ব বজায় রাখতে হকস প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আমরা ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকাকে তাদের সহযোগিতা ও এই সমস্যা মোকাবিলায় প্রতিশ্রুতির জন্য ধন্যবাদ দিতে চাই। ’
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পাঁচ বছরের ক্যারিয়ারে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ৮৯ ম্যাচ খেলেছেন সোতসোবে। তিন ফরম্যাট মিলিয়ে ১২১ উইকেট শিকার করেছেন বাঁহাতি এই পেসার। সোলকাইল অবশ্য প্রোটিয়াদের হয়ে কেবল ৩ টেস্ট খেলার সুযোগ পান। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখতে না পারলেও ঘরোয়া ক্রিকেটে বেশ পরিচিত মুখ এমবালাতি।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০২৪
এএইচএস