ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

আত্মতৃপ্তিতে ভুগতে চান না সুজি

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০২৭ ঘণ্টা, মার্চ ২৬, ২০১৪
আত্মতৃপ্তিতে ভুগতে চান না সুজি

সিলেট থেকে: অস্ট্রেলিয়ার পর আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৪২ রানে মেয়েদের ওয়ার্ল্ড টি-টোয়েন্টির টানা দ্বিতীয় জয় পেল নিউজিল্যান্ড। এই জয় বিস্ময়কর নয় বটে, কিন্তু আইরিশদের লড়াকু মনোভাবের প্রশংসাও করলেন ব্ল্যাক ক্যাপস অধিনায়ক সুজি বেটস।



দল প্রায় সেমিফাইনালের দ্বারপ্রান্তে। তাই বলে এখনই আত্মতৃপ্তিতে ভুগতে চান না তিনি,‘দুইয়ে দুই, ভালোই হলো। কিন্তু এই ধরনের দ্রুতগতির আউটফিল্ডে আমাদের বোলিং আরও শক্ত হওয়া উচিত ছিল। আমরা আমাদের থেকে আরও প্রত্যাশা করেছিলাম, আমাদের আরও সতর্ক হতে হবে। তাদের অনেক বেশি ফুটেজ আমাদের কাছে ছিল না এবং তারা যে আক্রমণাত্মক মনোভাবে শুরু করেছিল তাতে বিস্মিত হয়েছি। ’

আয়ারল্যান্ডের দুই জয়েস বোনকে নিয়েও চিন্তা ছিল কিউইদের,‘জয়েস বোনদের নিয়ে আমরা অনেক শুনেছি, তারা অনেক প্রতিভাবান। তারা যেভাবে ব্যাট করেছে তা প্রতিশ্রুতিপূর্ণ এবং আমি নিশ্চিত আগামী কয়েক বছরের মধ্যে শেষ চারের দরজায় কড়া নাড়বে আয়ারল্যান্ড। ’

ফ্রাঙ্কেস ম্যাককের সঙ্গে ১১৬ রানের জুটি গড়ে দলের ভিত্তি গড়ে দিয়েছিলেন সুজি। কিন্তু সারা ম্যাকগ্লাশানের ১৩ বলে ৩৪ রানের ঝড় শেষ আলপনা এঁকে দিয়েছিল। এনিয়ে অধিনায়ক বলেন,‘আমি মনে করেছিলাম মাঝে আমাদের রানের গতি কমে আসছে। কিন্তু সারা ম্যাকগ্লাশান এসে আমাদের ১৫০ পার করাল। প্রথম ছয় ওভার পর মনে করেছিলাম ১৬০ হবে, তাই ১৭১ ছিল বোনাস। কিছু জায়গা আছে আমরা আরও ভালো করতে পারতাম। কিন্তু সবকিছু মিলিয়ে ভালো স্কোর পাওয়ার পর জয় পাওয়ায় খুশি। ’

দুই ম্যাচ হাতে রেখে নিউজিল্যান্ড এখন গ্রুপের শীর্ষে। আর একটি জয়ই তাদের সেমিফাইনালের জন্য যথেষ্ট। সুজির স্বীকারোক্তি অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম জয়ই তাদের এগিয়ে রেখেছে,‘প্রথম ম্যাচটি ছিল আমাদের জন্য বিশাল। আমার মনে হয় ওই ম্যাচের জন্য আমরা এখন ভালো অবস্থানে আছি। পরের ম্যাচে পাকিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকা। আমাদের এখনই হালকা হওয়া যাবে না। সম্ভবত দ্বিতীয় ইনিংসে আজ আমরা একটু আত্মতৃপ্তিতে ছিলাম, সেটা হতে দেওয়া চলবে না। ’

২০০৮ সালে অ্যাথেন্স অলিম্পিকে নিউজিল্যান্ডের প্রতিনিধিত্ব করা সুজি এখন আধুনিক ক্রিকেটেও দুর্দান্ত। এ কথা মনে করিয়ে দিতেই হাসি ধরে রাখতে পারলেন না। জানালেণ,‘অনেক দিন আগের কথা, আমার মনে হয় না আমি ওরকম অ্যাথলেট ছিলাম, আমার গোঁড়ালি শক্তিশালী ছিল না। বাস্কেটবলে শারীরিক ফিটনেস থাকতে হয়, আর ক্রিকেটে মানসিক ফিটনেস থাকতে হয়। আপনি যদি শারীরিকভাবে ফিট না হন, তাহলে বাস্কেটবল থেকে দ্রুত ছিটকে পড়বেন। ’

‘ওটাই আমাকে ক্রিকেটে টিকে থাকতে সহায়তা করেছে। সব মিলিয়ে মানসিক চাপের মধ্যেও নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারাটা বড় চ্যালেঞ্জ এখানে। ’, সব শেষে বললেন নিউজিল্যান্ডের সেরা ওয়ানডে ক্রিকেটার।

বাংলাদেশ সময়: ০০৩০ ঘণ্টা, ২৬ মার্চ ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।