ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

টি-টোয়েন্টিতে শেষ ম্যাচ

মুখিয়ে আছেন মাহেলা-সাঙ্গাকারা

নুরুজ্জামান ফারাবি, স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৫৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ৬, ২০১৪
মুখিয়ে আছেন মাহেলা-সাঙ্গাকারা মাহেলা জয়াবর্ধন ও কুমার সাঙ্গাকারা

ঢাকা: কথায় আছে ‘শেষ ভাল যার, সব ভাল তার’। তাই ক্রিকেট বিশ্বকে দীর্ঘদিন ব্যাট হাতে শাসন কর‍া শ্রীলঙ্কান দুই কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান মাহেলা জয়াবর্ধনে ও সাঙ্গাকারা তাদের শেষটা ভাল করতে মুখিয়ে আছেন।



মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে রোববার সন্ধ্যা ৭টায় শুরু হতে যাওয়া ফাইনাল ম্যাচ দিয়েই তাদের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ার শেষ হবে।

২০১৪ বিশ্বকাপের পর আর টি-টোয়েন্টিতে নামবেন না বলে আগেই ঘোষণা দিয়ে সবাইকে অবাক করে দিয়েছিলেন শ্রীলষ্কান ক্রিকেটের এই দুই কিংবদন্তি। ঘোষণা অনুযায়ী, ভারতের সঙ্গে ফাইনাল ম্যাচ দিয়েই শেষ হচ্ছে তাদের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ার।

৩৬ বছর বয়সী কুমার সাঙ্গাকারা ২০০০ সালের ৫ জুন শ্রীলঙ্কার জার্সি গায়ে চড়ান। এরপর দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে লঙ্কান দলে উইকেটরক্ষক ও ব্যাটসম্যানের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। দীর্ঘদিন দলকে নেতৃত্বও দেন।

২০০৬ সালে ১৫ জুন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টি খেলেন তিনি। প্রথম ম্যাচে ২১ রান করেন। ২০০৬-১৪ পর্যন্ত টানা ৫৫ টি-টোয়েন্টিতে ১৩৩০ রান করেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। কোন শতক না করলেও সাতটি অর্ধশতক রয়েছে তার। টি-টোয়েন্টিতে তার সর্বোচ্চ রান ৭৮। তবে এ আসরে শেষ তিন ম্যাচে তিনি মাত্র পাঁচ রান করেন।

মাহেলা জয়াবর্ধনে ১৯৯৭ সালে ২ আগস্ট ভারতের বিপক্ষে প্রথম জাতীয় দলের হয়ে খেলেন। প্রথম ইংল্যান্ডের বিপক্ষে শূন্য রানে ফেরেন এই ব্যাটসম্যান।

২০১৪ টি-টোয়েন্টির সেমিফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে হতে পারতো লঙ্কানদের শেষ ম্যাচ। কিন্তু বৃষ্টির আইনের কাছে ডার্কওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে ২৭ রানে জিতে মালিঙ্গা বাহিনী। শেষ সেমিতেও শূন্য রান করেছেন ৩৬ বছর বয়সী এই ডানহাতি  ব্যাটসম্যান।

এক সময়ের দক্ষ টেস্ট খেলোয়াড় দক্ষ টি-টোয়েন্টিতে রূপ নিতে সময় নেননি। একটি শতকসহ নয়টি অর্ধশতক করেছেন তিনি।

এখন দেখার অপেক্ষা ক্যারিয়ারের শেষ টি-টোয়েন্টিতে কি করেন দুই লঙ্কান অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান।

২ এপ্রিল ২০১১ সালের আইসিসি ওয়ার্ল্ড বিশ্বকাপের পর আবারও মুখোমুখি এশিয়ার দুই ক্রিকেট জায়ান্ট ভারত-শ্রীলঙ্কা। পার্থক্য কেবল ওয়ানডের পরিবর্তে এবার সীমিত পরিসরের জনপ্রিয় ফরম্যাট টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট। আবারো ফাইনালে ভারত-শ্রীলঙ্কা।

ফাইনালে অতীত রেকর্ড ভালো নয় লঙ্কানদের। ২০০৯ সালে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে বিশ্বকাপে ফাইনালে ওঠে তারা। সেবার পাকিস্তানের কাছে হেরে যায়। এরপর ২০১২ সালে আবারো ফাইনালে ওঠে সাঙ্গাকারা, মাহেলারা। সেবারো স্বপ্নভঙ্গ হয়। ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হেরে যায় তারা। এর ঠিক আগের বছর আইসিসি ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালেও ভারতের কাছে পরাজিত হয় শ্রীলঙ্কা।

তবে এবারের বিশ্বকাপ জিতে বিদায়কে অবশ্যই স্মরণীয় করে রাখতে চাইবেন শ্রীলষ্কার দুই কিংবদন্তি ক্রিকেটার মাহেলা জয়াবর্ধনে ও কুমার সাঙ্গাকারা।    

বাংলাদেশ সময়: ১১৫৯ ঘণ্টা, ৬ এপ্রিল ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।