ঢাকা: লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের সভাপতি লুৎফর রহমান বাদলকে দেখা মাত্রই গ্রেফতার করবে পুলিশ। এমনটাই জানিয়েছেন মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি/তদন্ত)।
৮ ডিসেম্বর (সোমবার) বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা মেজর (অব.) হোসেন ইমাম বাদী হয়ে রূপগঞ্জের চেয়ারম্যান লুৎফর রহমানের নামে মিরপুর মডেল থানায় হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেন। এরপর থেকেই তাকে গ্রেফতারে পুলিশ তৎপরতা শুরু করেছে।
মিরপুর মডেল থানার পুলিশ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্ত (ওসি/তদন্ত) মঈনুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, এটা দ্রুত বিচার আইনের মামলা হয়েছে। তাকে দেখা মাত্রই গ্রেফতার করা হবে। এরই মধ্যে পুলিশ কয়েকবার গ্রেফতারের উদ্দেশে বনানী ওল্ডডিওএইচএসে অবস্থিত লুৎফর রহমানের বাসায় গিয়ে তাকে পাননি।
মামলাটি দ্রুত বিচার আইনের অধীনে। তাই সাতদিনের মধ্যে মামলায় চার্জশিট দেখাতে হয় বলে জানান ওসি।
সূত্র জানায়, লুৎফর রহমান ব্যাংকের কাজে এখন নেপালে অবস্থান করছেন। আবার গুঞ্জন রয়েছে তিনি দেশেই রয়েছেন।
সোমবার দায়ের করা মামলার মামলায় আসামি করা হয়েছে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের কর্নধার লুৎফর রহমান, ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক তারিকুল ইসলাম ও কর্মকর্তা সাব্বির আহম্মেদকে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, লুৎফর রহমান বাদলসহ অন্যান্য অভিযুক্তদের উস্কানি ও নির্দেশে ৪০/৫০ জন সন্ত্রাসী ৮ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৭টার দিকে মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে ঢোকার চেষ্টা করেছে। তাদের উদ্দেশ্য ছিল, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী, বিসিবির দুই পরিচালক ইসমাইল হায়দার মল্লিক ও খালেদ মাহমুদ এবং সাবেক ক্রিকেটার আলীসহ বিসিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হত্যা করা।
এজাহারে আরো বলা হয়, নিরাপত্তাকর্মী ও আনসার সদস্যদের বাধার মুখে ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়ে সন্ত্রাসীরা এলাকায় ত্রাস ও ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করে।
মামলার আগে লুৎফর রহমানকে বাংলাদেশের সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ করে বিসিবির শৃঙ্খলা কমিটি।
বাংলাদেশ সময়: ০৬৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৪