ঢাকা: এ কথা বললে ভুল হবে না ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে সবচেয়ে বিপদে আছেন আম্পায়াররা। কারণ মাঠে আম্পায়ারদের সিদ্ধান্ত খেলোয়াড়দের মনের মতো না হলে সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয়ে যায় গালাগালি এমনকি ম্যাচ খেলতেও অস্বীকৃতি জানায় সংক্ষুব্ধ দল।
উদহারণ হিসেবে বলা যায়, সম্প্রতি আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের মালিক লুৎফর রহমান বাদল বিসিবি সভাপতি ও বিসিবির পরিচালকদের বাজে ভাষায় ব্যক্তিগত আক্রমণ করেছিলেন। ফলে তাকে বিসিবি তাকে আজীবনের জন্যে বহিষ্কার করে।
সোমবার আবারো বিকেএসপিতেও রেলিগেশন পর্বের শেষ ম্যাচেও পারর্টেক্স স্পোর্টিং ক্লাব আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে অসন্তুষ্ট হয়ে ম্যাচ খেলতে অস্বীকৃতি জানায় এবং শেষ পর্যন্ত প্রথম বিভাগে নেমে যায়।
পারর্টেক্স স্পোর্টিং ক্লাবের কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান তপু বাংলানিউজের কাছে দাবি করেন , ‘আমাদের ম্যাচে ইচ্ছা করেই হারানো হয়েছে। ইচ্ছা করেই বাজে আম্পায়ার দেওয়া হয়েছে ম্যাচ পরিচালনার জন্যে। ’ এই অভিযোগের পেছনে তার যুক্তি হলো এখন কোনো আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট নেই, জাতীয় লিগের খেলাও চলছে না তবুও আমাদের ম্যাচে এমন দুজন নিম্নমানের আম্পায়ার দেওয়া হয়েছে।
তবে এ অভিযোগ শুনে বেজায় চটেছেন আম্পায়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান নাজমুল করিম টিংকু। নাজমুলের দাবি ‘পারর্টেক্স আগে থেকেই পরিকল্পনা করে এসেছে ম্যাচ বয়কটের, না হলে পুরো ম্যাচ না খেলে কেন চলে গেল। ‘
ক্লাবগুলোর মানসিকতা পরিবর্তন প্রয়োজন বলে মনে করেন আম্পায়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান। সংক্ষুব্ধ ক্লাবগুলোর প্রতি তার প্রশ্ন, ‘একটি ম্যাচ জিতলে আম্পায়ারিং ঠিক আছে কিন্তু হারলেই আম্পায়ারদের বিরুদ্ধে কথা এটা ক্রিকেটের স্পিরিটের সঙ্গে যায় না। ’
নাজমুল করিম টিংকু বলেন, ‘এভাবে আম্পায়ারদের নিয়ে প্রশ্ন তুললে আইসিসির এলিট প্যানেলে আমাদের আম্পায়াদের জায়গা পাওয়া কঠিন হয়ে যাবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ২১২৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০১৪