ঢাকা: ক্রিকেটের বিশ্বমঞ্চ দেখেছে বিশ্বসেরা ব্যাটসম্যানরা মহাকাব্যিক বহু ইনিংস। কোনো কোনো ব্যাটসম্যান অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন তার ব্যাটের জাদুতে।

১৯৮৩ বিশ্বকাপে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে কপিল দেব যখন ব্যাটিংয়ে নামেন তখন ভারতের স্কোর চার উইকেটে মাত্র ৯ রান। দলীয় ১৭ রানে ভারত হারায় পঞ্চম উইকেট। তবে কপিল দেব বুক চিতিয়ে লড়াই করে লড়াই করার মতো পুঁজি এনে দেন ভারতকে। কপিল দেবের সেদিনের ১৭৫ রানের ইনিংসের কল্যাণে ভারত স্কোর বোর্ডে জমা করে ৮ উইকেটে ২৬৬ রান। ভারতের ইনিংসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান ছিলো মাত্র ২৪। ওই ম্যাচে ৩১ রানে জয় পায় ভারত।

২০০৩ বিশ্বকাপে অন্যতম সেরা ইনিংস ছিল কানাডার ওপেনিং ব্যাটসম্যান জন ডেভিসন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৭৬ বলে ১১১ রানের সময়োপযোগী ইনিংস খেলে বিশ্ববাসীকে চমকে দেন ডেভিসন।
স্কট স্টাইরিসের ১৪১ রান

২০০৩ বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২৭২ রান তাড়া করতে নেমে ১৫ রানের মধ্যে তিন উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে যায় নিউজিল্যান্ড। ওই ম্যাচে স্রোতের বিপরীতে লড়াই করেন স্কট স্টাইরিস। ১২৫ বলে ১৪১ রানের ইনিংস খেলেন স্টাইরিস। ওই ম্যাচে কিউইরা ৪৬ রানে হারলে বিফলে যায় তার ইনিংসটি। নিউজিল্যান্ডের ইনিংসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান ছিলো মাত্র ৩২।

১৯৯২ বিশ্বকাপে বাঁচা-মরার লড়াইয়ে নিউজিল্যান্ডের দেওয়া ১৬৭ রানের টার্গেট তাড়া করতে নামে পাকিস্তান। ম্যাচটি সাত উইকেটে জিতে নেয় পাকিস্তান। কিন্তু ১৬৭ রানের মধ্যেই ১১৯ রান করেন ওপেনার রমিজ রাজা। সেদিন পাকিস্তানের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩০ রানের ইনিংস খেলেছিলেন জাভেদ মিয়ান্দাদ।

২০০৭ সালের ওয়েস্ট ইন্ডিজ বিশ্বকাপে পাকিস্তানকে গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় করে দিয়ে অঘটন ঘটিয়েছিল আয়ারল্যান্ড। ওই ম্যাচে ১৩৩ রান তাড়া করতে নামে আইরিশরা। তার মধ্যে নেইল ও’ব্রায়ান খেলেন ৭২ রানের ইনিংস। ম্যাচটিতে আইরিশদের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৬ রান করেন নেইল ও‘ব্রায়ানের ভাই কেভিন ও’ব্রায়ান।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০১৫
** ব্যাটে-বলে বাংলানিউজ: সেরা টিম, সেরা আয়োজন