ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

শ্বাসরুদ্ধকর লড়াইয়ে শেষ হাসি কিউইদের

ওয়ার্ল্ডকাপ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৫
শ্বাসরুদ্ধকর লড়াইয়ে শেষ হাসি কিউইদের ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: তাসমান সাগরের দুই তীরের দেশ অস্ট্রেলিয়া নিউজিল্যান্ডের ম্যাচটি একতরফা হলো না। শ্বাসরুদ্ধকর এক ম্যাচ উপহার দিয়েছে দুই আয়োজক দেশ।

লো স্কোরিং ম্যাচে আসলে জয় হয়েছে ক্রিকেটের, এ কথা বললে নিশ্চই ভুল বলা হবে না। আর মৃতপ্রায় এ ম্যাচে প্রাণ ফিরিয়ে এনেছিলেন অজি পেসার মাইকেল স্টার্ক।

অজিদের ইনিংসে বল হাতে কিউই পেসার ট্রেন্ট বোল্ট আগুন ঝরিয়েছিলেন। অজিদের হয়ে তার জবাব দিলেন স্টার্ক। শেষ পর্যন্ত ২৪তম ওভারের প্রথম বলে লং অনে উইলিয়ামসন কামিন্সের বলে ছক্কা মেরে এক উইকেটের জয় এনে দেন নিউজিল্যান্ডকে।

অকল্যান্ডে টসে জিতে অস্ট্রেলিয়া ব্যাট করতে নেমে ৩২.২ বলে ১৫১ রানে অল আউট হয়ে যায়। নিউজিল্যান্ড নয় উইকেট হারিয়ে ২৩.১ ওভারে লক্ষ্যে পৌঁছে যায়।

টসে জিতে অজিরা ব্যাটিং বেছে নেয়। অকল্যান্ডে অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস যখন ১৫১ রানে শেষ হয়ে যায় তখন অনেক দর্শকই টিভি সেটের সামনে বসেননি। ট্রেন্ট বোল্টের বিধ্বংসী এক স্পেলেই শেষ হয়ে যায় অজিদের ইনিংস। তবে দিনের শুরুটা ভালোই হয়েছিল অজিদের। অ্যারন ফিঞ্চের উইকেট হারিয়ে ১৩ ওভারে ৮০ রানে পৌঁছে যায় অজিদের ইনিংস।

কিন্তু অভিজ্ঞ বাহাতি স্পিনার ড্যানিয়েল ভেট্টরির শর্ট বল পুল করতে গিয়ে শেন ওয়াটসন মিড উইকেট বাউন্ডারিতে টিম সাউদির হাতে ধরা পড়লে দ্বিতীয় উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া।

অজি অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্কের ফিরে আসার আনন্দ মাটি করে কিউই পেসার ট্রেন্ট বোল্ট। বোল্টের আগুন ঝরা এক স্পেলে দুই উইকেটে ৯৫ রান থেকে অজিদের স্কোর দাঁড়ায় নয় উইকেটে ১০৫ রান।

বোল্ট মাইকেল ক্লার্ক, ম্যাক্সোওয়েল, শন মার্শ, মিশেল স্টার্ক এবং জনসনের উইকেট তুলে নেন। বোল্ট ২৭ রানে নেন পাঁচ উইকেট।

তবে ব্র্যাড হাডিনের ৪৩ রানের ইনিংসটি শেষ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়াকে ১৫১ রানে পৌঁছে দেয়।

১৫২ রান তাড়া করতে নেমে যথারীতি ব্র্যান্ডন  ম্যাককালামের ২৪ বলে ৫০ রানের ইনিংসটি তাড়াতাড়ি খেলা শেষ হওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছিল। কিন্ত অজি পেসার মাইকেল স্টার্ক রস টেইলর এবং গ্র্যান্ট এলিয়টকে পরপর দুই বলে বোল্ড করে খেলাটা জমিয়ে তোলে। তখন কিউইদের স্কোর দাঁড়ায় চার উইকেটে ৭৯ রান।

তবে উইলিয়ামসন এবং কোরি অ্যান্ডারসনের ৫২ রানের পার্টনারশিপ দুঃশ্চিন্তামুক্ত করেছিল কিউইদের।

কিন্তু স্টার্কের বিধ্বংসী স্পেলে এক পর্যায়ে নিউজিল্যান্ডের রান দাঁড়ায় নয় উইকেটে ১৪৬ রান। ২৮ রানে ছয় উইকেট নিয়েও এক উইকেটে হারের আফসোস নিয়ে মাঠ ছাড়তে হলো এ অজি পেসারকে।

তার ২৩তম ওভারে পরপর দুই বলে মিলনে এবং সাউদিকে বোল্ড করে ম্যাচ জমিয়ে তুলেছিলেন এ অজি পেসার। তবে কেইন উইলিয়ামসন শেষ পর্যন্ত মাথা ঠাণ্ডা রেখে জয়ের ঠিকানায় পৌঁছে দেন কিউইদেরকে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩২১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।