ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

লর্ডসের মাঠে দশ বছরের বিস্ময় বালক

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪২ ঘণ্টা, জুলাই ২৮, ২০১৫
লর্ডসের মাঠে দশ বছরের বিস্ময় বালক ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: আইপিএলের সর্বকনিষ্ঠ ক্রিকেটার হিসেবে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর হয়ে আসর মাতানো ১৭ বছরের সরফরাজ খানের ছোট ভাই মুশির খান ইংল্যান্ড সফরে যাচ্ছে। মাত্র ১০ বছর বয়সে ইংলিশ কন্ডিশনে লর্ডসের মাঠে খেলার সুযোগ পেয়ে এ বিস্ময় বালক ক্রিকেট বিশ্বে সাড়া ফেলে দিয়েছে।



দুবাইয়ের ব্যবসায়ী সিয়াম ভাটিয়ার ‘ক্রিকেট ফর কেয়ার’ নামক একটি প্রতিষ্ঠানের হয়ে মুশির খান ইংল্যান্ডে যাচ্ছে। সেখানে লেভেল-তিন এর কোচের অধীনে থাকবে দশ বছরের এ বালক। ১৫ দিনের সফরে লর্ডসের মাঠে খেলবে সে। আগস্টের ৩ তারিখ ইংল্যান্ডে উড়াল দেবে সরফরাজের ভাই।

২০০৯ সালে এভাবেই সিয়াম ভাটিয়া ইংল্যান্ড যাবার সুযোগ করে দিয়েছিলেন সরফরাজকে। আর সে সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ভারতের উঠতি তারকা হয়ে উঠছেন আইপিএলের গত মৌসুমে দারুণ পারফর্ম করা সরফরাজ খান।

এবারই প্রথম বিশ্ব ক্রিকেটকে তাক লাগিয়ে দেননি মুশির খান। এর আগে একটি হ্যাটট্রিকসহ মাত্র ৯ রান দিয়ে ৯ উইকেট নিয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিল সরফরাজ খানের ছোট ভাই।

বাঁহাতি এ স্পিন জাদুকর মুম্বাই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের গ্রীষ্মকালীন অনূর্ধ্ব-১৪’র একটি ম্যাচে আজাদ ময়দানে দাদর ইউনিয়নের হয়ে বিরারের বিপক্ষে দুই দিনের ম্যাচে ১২ উইকেট নেয় মুশির। এর মধ্যে এক ইনিংসে ১৪ ওভার হাত ঘুরিয়ে নয়টি মেডেনসহ ৯ রান দিয়ে ৯টি উইকেট নেয় দশ বছরের এ বিস্ময় বালক। শুধু বল হাতে নয়, ব্যাট হাতেও ৪৮ রানের ইনিংস খেলে মুশির।

গত বছর মুম্বাইয়ের কাঙ্গা লিগ টুর্নামেন্টে সর্বকনিষ্ট ক্রিকেটার (৮ বছর বয়সে) হিসেবে নাম লেখানো মুশির খান তার অভিষেক ম্যাচে পাঁচ উইকেট নিয়ে আলোচনায় এসেছিল। সর্বকনিষ্ট ক্রিকেটার হিসেবে এ লিগের ৬৫ বছরের ইতিহাসে যা ছিল প্রথম কোনো ঘটনা। এছাড়া, ভারতের ব্যাটিং তারকা যুবরাজ সিংকে একটি প্রীতি ম্যাচে বোল্ড করে সবাইকে অবাক করে দিয়েছিল মুশির।

নিজের ইংল্যান্ড সফরে যাওয়া প্রসঙ্গে মুশির বলেন, আমি কখনো সেখানে যাইনি। ভাইয়ের (সরফরাজ খান) কাছে শুনেছি ওখানে বেশ ঠান্ডা পড়ে। আমি অ্যাশেজ সিরিজের ম্যাচগুলো টেলিভিশনের পর্দায় দেখি। সেখানে গেলে লন্ডন ব্রিজটি দেখে আসবো। আর ভাইয়ের কাছে আরও শুনেছি, ইংল্যান্ডে বল দারুণভাবে সুইং করে। সেখানে স্পিনাররাও ম্যাচ ঘুরিয়ে দিতে পারে। তাই আমি ঠিক করে রেখেছি সঠিক জায়গায় বল ফেলবো।

বাংলাদেশ সময়: ১২৩৭ ঘণ্টা, ২৮ জুলাই ২০১৫
এমআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।