ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

বিপিএল-৩

ফিক্সিং রোধে লোকাল আকসু

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০১৫
ফিক্সিং রোধে লোকাল আকসু

ঢাকা: ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল বা আইসিসি'র দুর্নীতি বিরোধী সংস্থা হচ্ছে আকসু। পুরো নাম অ্যান্টি করাপশন অ্যান্ড সিকিউরিটি ইউনিট।

২০১৩ সালে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দ্বিতীয় আসরে ফিক্সিংয়ের ঘটনাটি আইসিসি’র এ ইউনিটটিই প্রকাশ করে।

পরে এটি প্রমাণ হওয়ায় বাংলাদেশের তারকা ক্রিকেটার মোহাম্মদ আশরাফুলসহ ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরস-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক শিহাব চৌধুরী, নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেটার লু ভিনসেন্ট ও শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটার কৌশল্যা লোকুয়ারাচ্চিকে শাস্তি প্রদান করে ট্র্যাইবুনাল। আইসিসি’র এ ইউনিটটি সফলভাবে দায়িত্ব সম্পন্ন করলেও বিপিএলের এবারের আসরে আনা হচ্ছে না তাদের।

বিসিবি’র এন্টি করাপশন এন্ড সিকিউরিটি ইউনিটই দেখভাল করবে এবারের আসরটি। তবে আইসিসি’র গাইডলাইন অনুসারে কাজ করবে তারা। প্রয়োজনে আইসিসি থেকে কর্মকর্তারা বাংলাদেশে এসে তাদের গাইডলাইন দিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন, বিপিএলের  গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক।
 
বুধবার (১৪ অক্টোবর) মিরপুরে শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে বিপিএল আয়োজন সংক্রান্ত সংবাদ সম্মেলনে মল্লিক সাংবাদিকদের এ ব্যাপারে বলেন, ‘আমি একটু পেছনে যেতে চাই। মাননীয় বোর্ড প্রেসিডেন্ট যখন আইসিসি মিটিংয়ে অংশ নেয় তখন ওখান থেকে বলা হয় বিপিএলে কিন্তু ফিক্সিংয়ের শঙ্কা আছে। তখন আকসুকে নিয়োগ দেয়া হয়। বিপিএলে তাদের আনা অনেক ব্যায়বহুল ছিল। তারপরও কিন্ত আমরা পিছপা হইনি। তার ফলাফলও কিন্তু আমরা পেয়েছি। এবার ক্লোজ মনিটরিং তো থাকবেই। যেহুতু আমাদের নিজস্ব আকসু আছে, আইসিসিরও একটা গাইডলাইন আছে। ফিক্সিং যাতে  বিপিএলে না হয়, শুধু বিপিএল না অন্যান্য টুর্নামেন্টে যেন না হয় সে জন্য ক্লোজ মনিটরিং থাকবে। ’

ফিক্সিং রোধে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের প্রয়াস নিয়ে তিনি আরও বলেন, পৃথিবীর এত দেশে টি-টোয়েন্টি হচ্ছে। সবদেশেই কিন্ত অভিযোগ আছে ফিক্সিং নিয়ে। কিন্ত কোনো বিচার করতে পারেনি। এই ব্যাপারে কিন্তু আইসিসি থেকে আমাদের যথেষ্ট প্রশংসা করা হয়েছে এবং উৎসাহ দেওয়া হয়েছে। আইপিএলে ১১২ জন খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল। তারপর কিন্ত বিচার হয় নাই। আমাদেরই কিন্ত একমাত্র দেশ, একমাত্র বোর্ড যারা বিচার করে শাস্তি দিয়েছে। যে জন্য আমরা এক বছর টুর্নামেন্ট বন্ধ রেখেছি। যাতে বিচার প্রক্রিয়াটা শেষ হয়। যার ফলে আমরা আইসিসিতে প্রশংসিত হয়েছি।

মোহাম্মদ আমিরসহ ফিক্সিংয়ের অভিযোগ আছে এমন অনেক ক্রিকেটারই বিদেশি খেলোয়াড়ের তালিকায় আছে এবারের বিপিএলে। এদের অন্তর্ভূক্তির বিষয়ে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের ভাবণা প্রসঙ্গে মল্লিক বলেন, ‘যাদের শাস্তি হয়েছিল তাদের কিন্ত আইসিসি’র ক্লিয়ারেন্স পাওয়ার পরই এখানে সংযোজন করা হয়েছে। আইসিসি ‘র ক্লিয়ারেন্স পাওয়ার পরই তাদের আমরা বিবেচনায় এনেছি। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৮ ঘণ্টা, ১৪ অক্টোবর, ২০১৫
এসকে/এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।