ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

মুস্তাফিজের প্রথম শিকার

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ৯, ২০১৫
মুস্তাফিজের প্রথম শিকার ছবি : শোয়েব মিথুন/বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

মিরপুর থেকে: অবশেষে চলমান সিরিজে উইকেটের দেখা পেলেন কাটার মাস্টার মুস্তাফিজুর রহমান। ইনিংসের নবম ওভারের শেষ বলে ইনফর্ম ব্যাটসম্যান শেন উইলিয়ামসকে নাসির হোসেনের কাছে ক্যাচ দিতে বাধ্য করান মুস্তাফিজ।

আউট হওয়ার আগে ১৪ রান করেন উইলিয়ামস।

এর আগে আরাফাত সানি আর মাশরাফির জোড়া আঘাতে দলীয় ২৩ রানের মাথায় জিম্বাবুয়ের দুই ওপেনার সাজঘরে ফিরেছেন।

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জিম্বাবুয়ে ৯ ওভারে তিন উইকেট হারিয়ে তুলেছে ৪৫ রান।

সিরিজে সমতায় ফিরতে মরিয়া জিম্বাবুয়ের হয়ে ব্যাটিং উদ্বোধন করতে নামেন রেগিস চাকাভা এবং জামু চিবাবা। টাইগারদের বোলিং আক্রমণ শুরু করেন কাটার মাস্টার মুস্তাফিজুর রহমান। প্রথম ওভার থেকে দুই ওপেনার মাত্র এক রান তুলতে সমর্থ হন।

বেশ সতর্ক থেকেই এগুতে থাকা সফরকারীরা ইনিংসের পঞ্চম ওভারে ওপেনিং ব্যাটসম্যান রেগিস চাকাভাকে হারায়। ইনিংসে প্রথমবারের মতো আক্রমণে এসে আরাফাত সানির বলে এলবির ফাঁদে পড়েন ১৯ বলে এক রান করা চাকাভা। পরের ওভারে আরেক ওপেনার চিবাবাকে (১৪) বোল্ড করেন মাশরাফি।

মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক এলটন চিগুম্বুরা ফিল্ডিং নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে বাংলাদেশ ৯ উইকেট হারিয়ে তোলে ২৪১ রান। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানোয় দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বড় সংগ্রহ গড়তে পারেনি বাংলাদেশ। বড় কোনো জুটিও হয়নি। তবে, টাইগারদের হয়ে ইমরুল কায়েস, নাসির হোসেন আর সাব্বির রহমান দারুণ ব্যাটিং করেন। সাকিব আল হাসানের জায়গায় সুযোগ পেয়ে ইমরুল কায়েস করেছেন ইনিংস সর্বোচ্চ রান।

টাইগারদের হয়ে ব্যাটিং উদ্বোধন করতে নামেন তামিম ইকবাল এবং ইমরুল কায়েস। ওপেনিংয়ে নেমে তামিম ব্যক্তিগত ১৯ রান করে বিদায় নেন। পানিয়াঙ্গারার বলে চিবাবার তালুবন্দি হওয়ার আগে ওপেনিং জুটিতে ইমরুলকে নিয়ে ৩২ রান তোলেন তামিম। তামিমের বিদায়ে ব্যাটিং ক্রিজে আসেন লিটন দাস। তবে, এদিনও বেশিক্ষণ ক্রিজে থিতু হতে পারেননি মারকুটে এই ব্যাটসম্যান। একটি ছক্কা হাঁকিয়ে ব্যক্তিগত ৭ রান করে পানিয়াঙ্গারার অফ স্টাম্পের বাইরের বল পুল করতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ধরা পড়েন তিনি।

দলীয় ৪৭ রানের মাথায় তামিম, লিটনের বিদায়ের পর ইনিংস মেরামতের দায়িত্ব পালন করছিলেন ইমরুল কায়েস-মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ জুটি। দলীয় ১৮তম ওভারে গ্রায়েম ক্রেমারের বলে উইকেটের পেছনে চাকাভার গ্লাভসবন্দি হয়ে বিদায় নেন ব্যক্তিগত ৪ রান করা মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ।

এরপর ম্যাচের ২৮তম ওভারের তৃতীয় বলে ক্রেমারের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন গত ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান মুশফিকুর রহিম। আউট হওয়ার আগে তিনি ২৮ বল মোকাবেলা করে তিনটি চারে করেন ২১ রান। মুশফিকের পর সাজঘরে ফেরেন গত বিশ্বকাপের পর প্রথমবারের মতো টাইগারদের রঙ্গিন জার্সি গায়ে খেলতে নামা উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ইমরুল কায়েস। শন উইলিয়ামসের বলে তুলে মারতে গিয়ে লংঅনে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন দায়িত্ব নিয়ে খেলা বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। ৮৯ বল মোকাবেলা করে ৬টি চার আর ৪টি ছক্কায় তার ব্যাট থেকে আসে ৭৬ রান। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের এগারোতম অর্ধশতক হাঁকান তিনি। ইমরুলের বিদায়ে ৫ উইকেট হারিয়ে কিছুটা ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ।

দলীয় ১৯৩ রানের মাথায় টপঅর্ডারের ষষ্ঠ ব্যাটসম্যানকে হারায় বাংলাদেশ। দলীয় ৪২তম ওভারে লুক জঙ্গোর বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন সাব্বির রহমান। আউট হওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৩৩ রান। চাকাভার গ্লাভসবন্দি হওয়ার আগে তিনি ৪০ বলে চারটি বাউন্ডারি হাঁকান। নাসিরের সঙ্গে স্কোরবোর্ডে আরও ৪২ রান যোগ করেন সাব্বির।

টাইগারদের দলপতি মাশরাফি হাত খুলে খেলার চেষ্টা করতে গিয়ে ইনিংসের ৪৭তম ওভারের শেষ বলে মুজারাবনিকে তুলে মারতে গিয়ে চিবাবার হাতে ধরা পড়েন। আউট হওয়ার আগে মাশরাফি ১৪ বলে করেন ১৩ রান। এরপর ওয়ানডেতে ৫৫তম ম্যাচ খেলতে নামা নাসির ৪১ রানে ছক্কা মারতে গিয়ে বাউন্ডারি সীমানায় আরভিনের তালুবন্দি হন। আউট হওয়ার আগে তিনি ৫৩ বল মোকাবেলা করে তিনটি চার মারেন। এরপর দ্রুত ফেরেন ৩ রান করা আরাফাত সানি। আল আমিন এবং মুস্তাফিজুর অপরাজিত থাকেন।

জিম্বাবুয়ের হয়ে ছয় বোলার বল করেন। ১০ ওভারে ৪১ রান খরচায় পানিয়াঙ্গারা সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট তুলে নেন। এছাড়া দুটি করে উইকেট পান মুজারাবানি এবং গ্রায়েম ক্রেমার। একটি করে উইকেট তুলে নেন লুক জঙ্গো এবং শেন উইলিয়ামস। এ ম্যাচেও বল করেননি জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক চিগুম্বুরা।

প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়েকে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ১৪৫ রানে হারিয়ে ১-০তে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে মাঠে নামে টাইগাররা। দলটির বিপক্ষে এর আগে ৬৫ বার মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। টাইগাররা জিতেছে ৩৭ টি ম্যাচে আর জিম্বাবুয়ে ২৮ টি ম্যাচে। গত বছর এই জিম্বাবুয়েকে ওয়ানডে সিরিজে ৫-০তে হোয়াইটওয়াশ করেছিল বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৩ ঘণ্টা, ০৯ নভেম্বর ২০১৫
এমআর

** সানি-মাশরাফির জোড়া আঘাত
** ফিল্ডিংয়ে নেমেছে মাশরাফি বাহিনী
** ২৪২ রানের টার্গেট দিল টাইগাররা
** ফিরলেন ম্যাশ-নাসির-সানি, বাংলাদেশ ২৩৬/৯
** বাংলাদেশের ষষ্ঠ উইকেটের পতন
** সাব্বির-নাসিরের জুটিতে বাংলাদেশ ১৮৮/৫
** ৩৬ ওভারে টাইগারদের ১৬৭/৫
** ইমরুলের বিদায়ে বিপর্যয়ে বাংলাদেশ
** মুশফিকের বিদায়ে বিপাকে বাংলাদেশ
** ইমরুলের অর্ধশতকে টাইগারদের শতক
** তামিমের পর ফিরলেন লিটন
** ফিরলেন তামিম, উইকেটে লিটন
** ব্যাটিংয়ে তামিম-ইমরুল
** সিরিজ জয়ের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নামবে বাংলাদেশ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।