ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

টানা পাঁচ-এ টাইগারদের ২০তম সিরিজ

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৩৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০১৫
টানা পাঁচ-এ টাইগারদের ২০তম সিরিজ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: ২০১৪ সালে বাংলাদেশ ছিল পরাজয়ের বৃত্তে বন্দি। তবে, গত বিশ্বকাপের আগে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শেষ প্রস্তুতি হিসেবে নিজেদের মাটিতে নেমেছিল মাশরাফি বাহিনী।

গত বছরের নভেম্বরে শুরু হয় টাইগারদের নতুন চ্যালেঞ্জ। টানা পাঁচটি সিরিজ জিততে পরের নভেম্বরে সেই জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে জয়ের বৃত্তপূরণ করে টাইগাররা। এর মাঝে পাকিস্তান, ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজ জিতেছে বিশ্ব ক্রিকেটকে চমকে দেওয়া বাংলাদেশ।

গতবার বাংলাদেশ সফরে টাইগারদের বিপক্ষে সব আন্তর্জাতিক ম্যাচ হেরেছিল জিম্বাবুয়ে। এমনকি প্রস্তুতি ম্যাচেও জিততে পারেনি তারা। একটি ম্যাচ ড্র করেছিল অতিথিরা; হেরেছিল অন্যটিতে। সর্বশেষ সাক্ষাতে গত বছর বাংলাদেশের মাটিতে ওয়ানডেতে ৫-০, টেস্টে ৩-০ ব্যবধানে হেরে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা নিয়ে ফেরে জিম্বাবুয়ে। আর দেশের মাটিতে ২০০৪ সালের পর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে কোনো সিরিজ হারেনি বাংলাদেশ।

সোমবার (০৯ নভেম্বর) জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচটি জিতে সিরিজ নিজেদের কাছে রেখে দিয়েছে মাশরাফি-তামিম-মুশফিকরা। প্রথম ওয়ানডেতে সফরকারীদের ১৪৫ রানে আর দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৫৮ রানে হারিয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখে ২০তম সিরিজ জিতে নেয় টাইগাররা।

২০০৫ সালে জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো ওয়ানডে সিরিজ জেতে বাংলাদেশ। পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজটি টাইগাররা ৩-২ ব্যবধানে জিতে নেয়। দেশের মাটিতেও সেটি বাংলাদেশের প্রথম সিরিজ জয়। পরের বছর মার্চে চার ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলতে সফরে আসে কেনিয়া। ৪-০ ব্যবধানে অতিথিদের হারিয়ে দ্বিতীয় সিরিজ জয়ের স্বাদ নেয় টাইগাররা। একই বছর আগস্টে কেনিয়া সফরে যায় বাংলাদেশ। সেখানে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের সবক’টি ম্যাচ জিতে দেশের বাইরে প্রথমবারের মতো সিরিজ জেতে টাইগাররা।

২০০৬-০৭ এ জিম্বাবুয়ে খেলতে আসে বাংলাদেশে। সেবার অতিথিদের ৫ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করে স্বাগতিকরা। পরের সিরিজে স্কটল্যান্ডকেও দুই ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে ২-০তে হারায় বাংলাদেশ। ফিরতি সফরে চার ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে জিম্বাবুয়েতে গিয়ে ৩-১ এ জেতে বাংলাদেশ। একই বছর ওয়েস্ট ইন্ডিজে বিশ্বকাপের আগে বারমুডা ও কানাডার বিপক্ষে খেলে লাল-সবুজরা।

২০০৭-০৮ এ বাংলাদেশে আসে আয়ারল্যান্ড। তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে আইরিশদের হোয়াইটওয়াশ করে বাংলাদেশ। পরের বছর তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে জিম্বাবুয়েকে ২-১, ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৩-০ (৩ ম্যাচ), ৫ ম্যাচ সিরিজে জিম্বাবুইয়ানদের দুইবার ৪-১ এ হারায় টাইগাররা।

২০১০-১১ তে বাংলাদেশ সফরে আসে নিউজিল্যান্ড। সেবার ৫ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে ৪-০ এ জয় পায় স্বাগতিকরা। পরের সিরিজে জিম্বাবুয়েকে ৩-১ (৫ ম্যাচ) এ হারায় লাল-সবুজের দলটি। ২০১২-১৩ তে আরেকবার ৩-২ ব্যবধানে ক্যারিবীয়দের হারিয়ে দেয় টাইগাররা। ২০১৩-১৪ তে নিউজিল্যান্ডকে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করে বাংলাদেশ।

গত বছরের নভেম্বরে জিম্বাবুয়েকে ৫-০ ব্যবধানে হারানোর পর টাইগাররা বিশ্বমঞ্চে খেলতে যায়। ফিরে এসে দেশের মাটিতে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে পাকিস্তানকে ৩-০, ভারতকে ২-১ আর দক্ষিণ আফ্রিকাকে ২-১ ব্যবধানে হারানোর পর চলমান তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের এক ম্যাচ হাতে রেখেই ২-০তে লিড নিয়ে সিরিজ জিতেছে টাইগাররা।

বাংলাদেশ সময়: ১২৩০ ঘণ্টা, ১০ নভেম্বর ২০১৫
এমআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।