ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

স্টেডিয়ামে প্রথমবার: অনুভূতি ‘রোমাঞ্চকর’

সাজ্জাদ খান,স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০১৫
স্টেডিয়ামে প্রথমবার: অনুভূতি  ‘রোমাঞ্চকর’ ছবি : বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

মিরপুর থেকে: স্টেডিয়ামে সামনের গেট দিয়ে ঢুকে বার বার ওদিক ওদিক চাহনি। গ্যালারিতে ঢোকার গেট কোন দিকে বুঝতে ঢের সময় লাগলো রফিকুল সাহেবের।

সঙ্গে স্ত্রী ও মেয়ে। তিনজনেরই স্টেডিয়ামে আসার প্রথম অভিজ্ঞতা এটি।

উত্তর গ্যালারির সামনের অধিকাংশ আসন তখনও ফাঁকা। ওই অংশে না বসে পেছনে ভীড়ের মাঝেই বসলেন তারা। দেখেই বোঝা যাচ্ছিল একেবারেই আনাড়ি দর্শক। খেলা দেখার অনুভূতি জানতে চাইতেই রফিকুল ইসলাম বললেন, ‘আগে একটু খেলা দেখে নেই। ’

মাঠে দর্শকের উল্লাস, উচ্চ বিটে সাউন্ড সিস্টেমে বাজছে গান। উত্তেজনায় বুদ হয়ে পড়লেন বসতে বসতেই। পুরো স্টেডিয়ামটা একবার চোখ বুলিয়ে দেখে নিলেন। চোখেমুখে তৃপ্তির হাসি। আরেকটা ওভার শেষ হতে নিজ থেকেই ডাকলেন। জানালেন অনুভূতি, ‘খুব ভালো লাগছে মাঠে এসে। এককথায় রোমাঞ্চকর অনুভূতি। আমার ছেলে অ্যাডভোকেট, সে টিকিট সংগ্রহ করেছ। বললো আব্বু খেলা দেখে যান। আমার স্ত্রী ও মেয়ে সঙ্গে এসেছে।

স্ত্রী আয়েশা বেগমের মাঠ থেকে চোখ সরছে না। ২২ গজে যা হচ্ছে তার চেয়ে আগ্রহ মাঠের পরিবেশ দেখে। সবার আগ্রহে তিনিও আগ্রহী। খেলা অতটা না বুঝলেও বললেন, ‘আমরা বাংলাদেশি তাই দেশের খেলা ভালো লাগে। ছেলে পাঠাইলো আসলাম। ’ বলতে বলতে মেয়ে শিউলির কপালে বেধে দিলেন বাংলাদেশের পতাকাখোচিত ব্যান্ড।
 
এই তিনজনের পেছনেই বাংলাদেশের জার্সি গায়ে বেশ কিছু তরুণ পতাকা মেলে সেলফি তুলতে ব্যস্ত। কথা হলো তাদের সঙ্গেও। রাজধানীর কাঠালবাগান থেকে আসা তরুণদের একজন মনিরুল ইসলাম জানালেন, ‘বন্ধুদের সঙ্গে দল বেধে খেলা দেখতেই বেশি পছন্দ করি। বাংলাদেশ আজ জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করবে সেটা দেখতেই এসেছি। হতে পারে প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে তারপরও যথেষ্ট রোমাঞ্চ আছে এ ম্যাচে। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৭ ঘণ্টা, ১১ নভেম্বর, ২০১৫
এসকে/এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।