ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

সান্ত্বনার জয়ও পেল না পাকিস্তান

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২০২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১, ২০১৫
সান্ত্বনার জয়ও পেল না পাকিস্তান ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচ হেরে হোয়াইটওয়াশের লজ্জায় ডুবল পাকিস্তান। শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচটি টাই হলে সুপার ওভারে খেলার নিষ্পত্তি ঘটে।

১৫৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ওভার শেষে সাত উইকেটে ১৫৪ রান তোলে মালিক-আফ্রিদিরা। ব্যাট হাতে ৫৪ বলে ৭৫ রানের অসাধারণ ইনিংস উপহার দেন শোয়েব মালিক।

সুপার ওভারে ক্রিস জর্ডানের নিখুঁত বোলিংয়ে এক উইকেট হারিয়ে মাত্র ৩ রান করে পাকিস্তান। তিন বল খেলেও রানের দেখা পাননি শহীদ আফ্রিদি। দুই রানই আসে লেগ বাই থেকে। শেষ বলে আউট হওয়ার আগে ১ রান করেন ওমর আকমল।

পাকিস্তানের হয়ে বল হাতে নেন অধিনায়ক আফ্রিদি। তার নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে জয় নিশ্চিত করতে ইংলিশদের পাঁচ বল মোকাবেলা করতে হয়। ইয়ন মরগান ৩ ও জস বাটলার ১ রানে অপরাজিত থাকেন।

উল্লেখ্য, টেস্ট সিরিজ জয় (২-০) দিয়ে শুরু হলেও হারের ঘোরে থেকেই পাকিস্তানের ইংল্যান্ড সিরিজ শেষ হলো। এর আগে এগিয়ে থেকেও চার ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজটি (৩-১) হাতছাড়া করেন আজহার-হাফিজরা।

সোমবার (৩০ নভেম্বর) শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ইংলিশ অধিনায়ক ইয়ন মরগান। খেলা শুরু হয় বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায়।

জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় পাকিস্তান। দলীয় ১১ রানের মধ্যে টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যান আউট হন। পাঁচ রানের মাথায় সাজঘরে ফেরেন আহমেদ শেহজাদ (৪)। চার রান যোগ হতেই রান আউটের ফাঁদে পড়েন দলের অন্যতম নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ হাফিজ (১)। এরপর তৃতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলে পেসার ডেভিড উইলির দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন ওপেনার রাফাতুল্লাহ মোহাম্মদ (০)।

পরে চতুর্থ উইকেটে মালিক ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের (২৪) ৩৯ রানের পার্টনারশিপে দলীয় ফিফটি করে পাকিস্তান। ওমর আকমল ৪ রান করে আউট হওয়ার পরই দৃশ্যপটে হাজির হন ‘বুমবুম’ আফ্রিদি। তবে ১৮তম ওভারের তৃতীয় বলে সুইপ শট খেলতে গিয়ে উইলির স্লোয়ার ডেলিভারিটি শহীদ আফ্রিদির (২০ বলে ২৯) স্ট্যাম্পে আঘাত হানে।

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ক্যারিয়ার সর্বোচ্চ ৭৫ রানের (৫৪ বল) ঝলমলে ইনিংস উপহার দেন মালিক। শেষ ওভারে ম্যাচটি যেন চরম নাটকীয়তায় রুপ নেয়। পাকিস্তানের চাই ৬ বলে ১০ রান। দ্বিতীয় বলেই ক্রিস উকসকে লং অনে ছয় হাঁকান সোহেল তানভীর। কিন্তু জয় থেকে ২ রান দূরে থাকতে লং অনেই স্যাম বিলিংসের তালুবন্দি হয়ে মাঠ ছাড়েন মালিক। শেষ বলটি ব্যাটে ছোঁয়াতে না পারলেও বাই রান নিয়ে আমের ইয়ামিনের সঙ্গে যায়গা বদল করেন তারভীর। ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে।

ইংলিশদের হয়ে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট দখল করেন উইলি। ক্রিস উকস, আদিল রশিদ ও মঈন আলী একটি করে উইকেট নেন।

এর আগে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে রানের খাতা না খুলেই সাজঘরে ফেরেন ইংলিশ অধিনায়ক জেসন রয়। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৪৮ রান যোগ করেন জেমস ভিঞ্চি (৪৬) ও জো রুট। ষষ্ঠ ওভারের শেষ দুই বলে রুট (৩২) ও মঈন আলীকে (০) ফেরান আফ্রিদি। দলপতি মরগানকে (১৫) ক্লিন বোল্ড করেন শোয়েব মালিক।

শেষদিকে ২৪ বলে ৩৭ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে সোহেল তানভীরের বলে ওমর আকমলের তালুবন্দি হন ক্রিস উকস। আর নির্ধারিত ওভার শেষে ইংলিশদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৮ উইকেটে ১৫৪ রান।

আফ্রিদির পাশাপাশি সোহেল তানভীরও দু’টি উইকেট লাভ করেন। শোয়েব মালিকের সঙ্গে একটি করে উইকেট নেন আমের ইয়ামিন ও আনোয়ার আলী।

দল হারলেও ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন ৭৫ রানের ইনিংস খেলা মালিক। সিরিজ সেরা হন ইংলিশ ওপেনার জেমস ভিঞ্চি। তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজে ১২৫ রান করেন ২৪ বছর বয়সী এ ডানহাতি ব্যাটসম্যান। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১০১ রান আসে শোয়েব মালিকের ব্যাট থেকে।

বাংলাদেশ সময়: ০২০৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০১৫
আরএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।