ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

‘সাবধানী’ হওয়াতেই এমন জয়

সাজ্জাদ খান, স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৫, ২০১৬
‘সাবধানী’ হওয়াতেই এমন জয় ছবি: শোয়েব মিথুন / বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

মিরপুর থেকে: ম্যাচের শেষ ক্ষণটায় মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামের চেহারাই পাল্টে গেল। জাকির-মিরাজদের ব্যাটের ঝড়ে ‘বাংলাদেশ-বাংলাদেশ’ ধ্বনিতে উত্তাল হলো গ্যালারি।

ম্যাচের পরিসমাপ্তির আগেই যেন নিশ্চিত জয় দেখে ফেলেছিলেন স্টেডিয়ামে আসা হাজার সাতেক দর্শক। জাকির হাসানের ব্যাটে জয়সূচক রান (ছক্কা) হতেই জয়োল্লাসে কেঁপে উঠলো হোম অব ক্রিকেটের সবুজ চত্ত্বর ও গ্যালারি।

ডাগআউট থেকে এক দৌড়ে মাঠের ভেতর পৌঁছে গেল পুরো স্কোয়াড। জয়ের বন্দরে নোঙর করানো জাকিরকে জড়িয়ে ধরলেন দলের সহ-অধিনায়ক নাজমুল হাসান শান্ত। এরপর মেহেদি হাসান মিরাজকে ধরে পুরো দল জয়ের উদ্যাপনে মাতলো ম্যাচের স্ট্যাম্প তুলে। এরপর গলাগলি করে মাঠ থেকে বের হলেন জুনিয়র টাইগাররা।

প্রত্যাশার প্রাপ্তি মেলায় স্বস্তি বাংলাদেশের যুব ক্রিকেটারদের চোখে-মুখে। নেপালকে ৬ উকেটেই হারিয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে প্রথমবার সেমিফাইনালে উঠলো বাংলাদেশ যুবারা। এটুকু উদযাপন তো হওয়ার কথাই!

ম্যাচ জয়ে ব্যাটসম্যানদের সঙ্গে সমান কৃতিত্ব বোলারদের। ২৫০ রানের দিকে ছুটতে থাকা নেপালের ইনিংসকে শেষমেষ ২১১ রানে নামিয়ে আনেন বোলাররা। আর ব্যাটসম্যানরা উইকেটে সাবধানী থেকে জিতিয়ে আনেন দলকে। ‘ঝুঁকি’ বলতে দুই রান নিতে গিয়ে জয়রাজের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে পিনাকের রান আউট। এটি ছাড়া পুরো ইনিংসের প্রতিটি বল সতর্ক থেকে মোকাবেলা করেছে স্বাগতিক দল।

ম্যাচের মোর অবশ্য ঘুরতে শুরু করেছিল পিনাকের ‘অদ্ভূত’ ওই রানআউটের পরেই। ওয়েলসেট পিনাকের (৩২) রান আউটের পর ইনফর্ম নাজমুল হাসান শান্ত ৮ করে  ফিরে গেলে চাপ সৃষ্টি হয় জুনিয়র টাইগার শিবিরে। দলীয় ৯৮ রানে আরেক সেট ব্যাটসম্যান জয়রাজ শেখ ৩৮ রান করে ফিরলে চাপ বেড়ে শঙ্কায় রুপ নেয়।

তবে সাবধানী থেকে চাপকে জয় করে দারুণ এক জয় উপহার দেন মেহেদি হাসান মিরাজ ও জাকির হাসান। ১০ বল বাকী থাকতে জয় পায় বাংলাদেশ অ-১৯ দল। পঞ্চম উইকেটে ১১৭ রানের অবিছিন্ন জুটিতে স্মরণীয় এক ম্যাচ হয়ে থাকলো যুব বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচটি। জাকির ৭৫ ও মিরাজ অপরাজিত থাকেন ৫৫ রানে।

নেপালকে সমীহ করাতেই এ বড় ম্যাচে ঝুঁকির মধ্যে পড়তে হয়নি বাংলাদেশ দলকে। নইলে ২১২ রানের টাগেট  মিরপুরের ‍উইকেটে কম কিসে? দু’দিন আগেই গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচে পাকিস্তানের দেওয়া ২১২ রানের টার্গেট টপকাতে পারেনি শ্রীলংকা। সেটি নিশ্চয়ই মাথাতেই রেখেছিলেন ক্রিকেটাররা।

সেমিফাইনালে হয়তো আরও বেশী কিছু মাথায় রেখেই মাঠে নামতে হবে মিরাজবাহিনীকে। সবার প্রত্যাশা যে আরও বেড়ে গেল দলটিকে নিয়ে। বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্নপূরনের পথেই কি হাঁটছে  বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল? জুনিয়র টাইগাররা সে ইঙ্গিত তো কোয়ার্টার ফাইনালে দিয়েই রাখল।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০১৬
এসকে/আরএম

** দুর্দান্ত জয়ে প্রথমবার সেমিতে টাইগার যুবারা
** ৪৬ ওভার শেষে বাংলাদেশ ১৯০/৪
** শেষ দশ ওভারে দরকার ৬৮ রান

** ৩৬ ওভারে বাংলাদেশ ১৩০/৪
** ইনফর্ম শান্তর বিদায়
** নিজেদের ভুলে রানআউট পিনাক
** ১৯ ওভারে বাংলাদেশ ৬১/১
** সাইফের বিদায়
** সেমির লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে স্বাগতিক যুবারা
** সেমিতে উঠতে যুবাদের টার্গেট ২১২ রান
** টাইগারদের হুঙ্কারে নেপালের ষষ্ঠ উইকেটের পতন
** নেপাল দলপতির বিদায়
** সাইফুদ্দিন-জয়রাজ ফেরালেন আরিফকে
** ২৬ ওভারে নেপাল ১০৫/৩
** সেট ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়েছে টাইগাররা
** উইকেটের অপেক্ষায় টাইগার যুবারা
** ১৪ ওভার শেষে নেপাল ৫১/২
** নেপালের ওপেনার সাজঘরে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।