ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

ক্যারিবীয়দের শক্তি-ই জুনিয়র টাইগারদের সাহস!

সাজ্জাদ খান, স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৬
ক্যারিবীয়দের শক্তি-ই জুনিয়র টাইগারদের সাহস! ছবি : শোয়েব মিথুন / বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রয়ারি) ওয়েস্ট ইন্ডিজের ‍মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ। জিতলেই প্রথমবারের মতো আইসিসি’র কোনো ইভেন্টের ফাইনালে লেখা হবে বাংলাদেশের নাম।

তাইতো শেষ মুহুর্তে প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলকে নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ।

বিশ্লেষণে বেরিয়ে এসেছে, ক্যারিবীয় যুবাদের শক্তির জায়গা। বরাবরের মতো কার্টলি অ্যামব্রোস, কোটনি ওয়ালসদের উত্তরসূরীদের দাপট ওই পেস অ্যাটাকেই। চেমার হোল্ডার, আলজারি জোসেফদের মতো গতিময় বোলার রয়েছে তাদের দলে।

এ নিয়ে অবশ্য মোটেও চিন্তিত নয় বাংলাদেশ শিবির। বিশ্বকাপ শুরুর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজ যুবাদের তিন ম্যাচের সিরিজে ৩-০ তে হারানোয় শিষ্যদের নিয়ে আত্মবিশ্বাসী  কোচ মিজানুর রহমান বাবুল।

ম্যাচ পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘বোলিং অ্যাটাকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হোল্ডার, জোসেফদের মতো পেসার আছে। ওপেনিংয়ে গিদরন পোপের মতো হার্ডহিটার আছে। তাই বলে আমরা মোটেও ভাবনায় নেই। ছেলেরা মাঠে ওদের মোকাবেলা করার জন্য প্রস্তুত। এর আগে তিন ম্যাচের সিরিজ খেলেছিলাম আমরা, সেখান থেকে জেনেছি ওদের শক্তি-দূর্বলতা সম্পর্কে।   ক্রিকেটারররা ওদের সবাইকে চেনে এবং জানে।

কোচের পরই সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ। ঘুরে-ফিরে মিরাজের কাছেও প্রতিপক্ষের ‘পেস অ্যাটাক’ নিয়ে  জানতে চাওয়া হয়। সবার যেখানে ভাবনা সেখানেই নাকি বাংলাদেশের শক্তি!

মিরাজের কথাতেই জানুন, ‘আমাদের কাছে গতির বল খেলতে ভালো লাগে। কম গতির বল খেললে মিস টাইমিংয়ের সম্ভাবনা বেশি থাকে। গতিময় বোলারদের বিপক্ষে খেলতে আমরা সবসময় আত্মবিশ্বাসী থাকি। আমরা দক্ষিণ আফ্রিকায় খেলে এসেছি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে খেলেছি। আমাদের ব্যাটসম্যান যারা আছে তারা বেশি গতির বোলারদের বল খেলতে পছন্দ করে। টুর্নামেন্টে আমরা ৪টি ম্যাচ খেলেছি, প্রতিপক্ষ দলে ওইরকম গতির কোনো বোলার ছিলো না। এই জন্য আমাদের ওপেনারদের কিছুটা সমস্যা হয়েছে। আশা করি, কালকের ম্যাচটা অনেক ভালো খেলবে সবাই। ’

জানতে চাওয়া হয়েছিল বাংলাদেশের শক্তির জায়গা আসলে কোনটি। জবাবে মিরাজ জানালেন, দুই দলের মধ্যে পার্থক্য করলে আমাদের স্পিনাররা অনেক ভালো। ব্যাটসম্যানও অনেক ভালো। ব্যাটসম্যানরা ভালো টোটাল করে দিলে আমাদের স্পিনারদের জন্য কাজটা সহজ হয়ে যায়। আমরা ওদের কাছ থেকে এগিয়ে আছি স্পিন আক্রমণ ও ব্যাটিংয়ে।
 
মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রয়ারি) সকাল ৯টায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ যুবাদের বিপক্ষে মাঠে নামবে মিরাজবাহিনী। আগে ব্যাটিং পেলে ২৫০ এর উপরেই স্কোর দেখতে চান মিরাজ।

তা হলে সুদৃঢ় স্পিন আক্রমণ দিয়ে প্রতিপক্ষকে এ রানের আগেই বেঁধে ফেলা সম্ভব বলে মনে করছেন জুনিয়র টাইগারদের সফল এ অধিনায়ক, ‘আগে ব্যাটিং করলে আমাদের লক্ষ্য থাকবে ২৫০ প্লাস। আমাদের দলে বেশ ভালো মানের বোলার আছে। আমার মনে হয় বোলারদের জন্য ২৫০ রান ভালো স্কোর। আমরা সবাই ভালো খেলতে মুখিয়ে আছি। যদি আমরা ভালো ক্রিকেট খেলতে পারি, অবশ্যই সফল হবো। ’ আর মিরাজদের সাফল্য দেখতে মুখিয়ে আছে পুরো দেশবাসীও।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৭ ঘণ্টা, ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬
এসকে/এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।