ঢাকা: ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিআইপি গেট দিয়ে প্রথমেই বের হলেন তামিম ইকবাল। চোখে-মুখে ক্লান্তির ছাপ স্পষ্ট।
পাশের গেটে বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা তখন সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি। এর কিছুক্ষণ পর একে একে বেরিয়ে এলেন দলের অন্য সদস্যরা। সবার মুখই গম্ভীর। সুপার টেনে কোনো ম্যাচেই জেতেনি বাংলাদেশ। পারফরম্যান্সের দিক দিয়েও কয়েকজনের বিশ্বকাপটা ভালো যায়নি। তাই প্রায় সবার চোখেমুখেই রাজ্যের হতাশা।
ব্যতিক্রম কেবল মুস্তাফিজুর রহমান। ২২ গজের ক্রিজে প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানদের মূর্তিমান এ আতঙ্ক বেরিয়ে এলেন মাঠের সেই নির্মল হাসি নিয়েই। গাড়িতে যখন উঠছিলেন তখনও মুখে লেগে হাসি। এরমধ্যেই সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্ন। কিন্তু তার কোনো উত্তর নেই।
তাই ‘রহস্যময়’ মুস্তাফিজের এই হাসিকেই আগ্রহভরে ফ্রেমে বন্দি করতে থাকলেন ফটোসাংবাদিকরা। মাঠের খেলায় যেমন সবার নজর থাকে তার ওপর, সেই নজর তিনি কেড়ে নিলেন বিমানবন্দরেও। ফটোসাংবাদিকদের ক্যামেরার সব আলো পড়ছিলো মুস্তাফিজের হাসিমাখা মুখে।
বিশ্বকাপে প্রথমবার গিয়েই গ্রুপ পর্বের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি হয়ে গেছেন এ কাটার-মাস্টার। তাও এক ম্যাচ কম খেলে। শনিবার (২৬ মার্চ) শেষ ম্যাচেই অনবদ্য বোলিংয়ে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তুলে নেন পাঁচ উইকেট।
এই বিধ্বংসী বোলিংয়ের কারণে মুস্তাফিজ এখন কেবল বিমানবন্দরের ফটোসাংবাদিকদের ক্যামেরার আলোয় নয়, ভাসছেন প্রতিপক্ষ দলের ব্যাটসম্যান ও সাবেক গ্রেটদের প্রশংসার জোয়ারেও।
এরমধ্যে ভারতের অনিল কুম্বলে, ভিভিএস লক্ষ্মণ, নিউজিল্যান্ডের স্কট স্টাইরিশরা ইতোমধ্যেই নিজেদের মুস্তাফিজের ভক্ত বলে পরিচয় দিচ্ছেন। তাদের মতো তারকারা দারুণ সব টুইট করছেন মুস্তাফিজের বোলিং দেখে।
বিশ্বকাপের আগে দেশের মাটিতেই নিজের জাত চেনান মুস্তাফিজ। তবে জাতীয় দলের জার্সি গায়ে দেশের বাইরে গিয়ে এই প্রথমবার চিনিয়ে এলেন নিজেকে। তাও বিশ্বকাপের মঞ্চে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩২ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০১৬
এসকে/এইচএ/