ঢাকা: ২০১৫ সালে বাংলাদেশের অন্যতম সেরা আবিষ্কার সৌম্য সরকার। ব্যাট হাতে স্টাইলিশ এই টাইগার ওপেনার চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এশিয়ার সেরা ফিল্ডারের তালিকায় সবার শীর্ষে উঠে এসেছেন।
প্রতিভাবান ব্যাটসম্যান সৌম্য এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ব্যাট হাতে সেভাবে জ্বলে না উঠলেও ফিল্ডিংয়ে ছিলেন অনবদ্য। চোখ জুড়ানো ফিল্ডিংয়ে একাধিক ক্যাচ তালুবন্দি করা সৌম্যকে ক্রিকেটের নতুন সৌন্দর্য বললে একটুও ভুল হবে না। সুপার টেনে দুটি অবিশ্বাস্য ক্যাচ নিয়ে নিজের দক্ষতার প্রমাণ দিয়েছেন তিনি। বাংলাদেশের সুপার টেনের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিলেন সৌম্য। মিডঅনে বাউন্ডারি লাইনে মোহাম্মদ হাফিজের একটি ক্যাচ নিয়ে টাইমস অব ইন্ডিয়ার শীর্ষ তিনটি ক্যাচের তালিকায় সৌম্য উঠে এসেছেন এক নম্বরে।
এশিয়া কাপে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে স্লিপে দাঁড়িয়ে তাসকিনের বলে সহজ ক্যাচ মিস করে বাংলাদেশকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দিয়েছিলেন সৌম্য। ওই টুর্নামেন্টে আরও কয়েকটি ক্যাচ ছেড়ে সমালোচনার শিকার হয়েছিলেন তিনি। তারপরও টাইগার অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা বলেছিলেন, সৌম্যই দলের সেরা ফিল্ডারদের একজন। এশিয়া কাপের পর বিশ্বকাপেই সেটির প্রমাণ দিয়েছেন সৌম্য। পাকিস্তানের বিপক্ষে ইডেন গার্ডেনে সৌম্যর দুর্দান্ত ক্যাচেই ফেরেন সেট ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ হাফিজ। আরাফাত সানির বলে হাফিজের করা স্লগ সুইপটি প্রায় ১৫ মিটার দৌড়ে লাফিয়ে উঠে নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পারলে আবারো উপরে ছুঁড়ে দেন। প্রথমে সৌম্য বাউন্ডারি লাইনের বাইরে থেকে বল ভেতরে নিয়ে আসার চেষ্টা করেন। এরপর নিজে লাইনের ভেতর ঢুকে বলটি দারুণ দক্ষতায় তালুবন্দী করেন।
যা তাকে এশিয়ার সেরা ক্যাচের তালিকায় জায়গা করে দিয়েছে। এছাড়া এশিয়ার সেরা ফিল্ডারদের তালিকায় রয়েছেন ওমানের জিসান মাকসুদ এবং ভারতের রবীন্দ্র জাদেজা। আর এশিয়ার বাইরে ইংল্যান্ডের জো রুট ও অস্ট্রেলিয়ার শেন ওয়াটসনের নেওয়া ক্যাচ সেরা ক্যাচের তালিকায় স্থান পেয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৯ ঘণ্টা, ৩১ মার্চ ২০১৬
এমআর