ঢাকা: টি-২০ বিশ্বকাপে আইসিসির সেরা ১০টি পারফরম্যান্সে জায়গা করে নিয়েছেন বাংলাদেশের দুই ক্রিকেটার। ব্যাটিংয়ে টাইগারদের ‘ভরসার প্রতীক’ তামিম ইকবাল ও বোলিংয়ে বিশ্ব ক্রিকেটকে চমক দেখানো মুস্তাফিজুর রহমানের পারফরম্যান্স এ তালিকায় স্থান পেয়েছে।
প্রথম রাউন্ডের আবরণে করা বাছাইপর্বের শেষ ম্যাচটিতে ওমানের বিপক্ষে শতক উপহার দেন তামিম ইকবাল। বাংলাদেশের দশ বছরের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট অধ্যায়ে এটিই প্রথম সেঞ্চুরি। তামিমের অপরাজিত ১০৩ রানের ইনিংসটি আছে আইসিসির সেরা দশে।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সুপার টেনে নিজেদের শেষ ম্যাচটিতে বাংলাদেশের হতাশার বিপরীতে একাই উজ্জ্বল ছিলেন ‘কাটার মাস্টার’ মুস্তাফিজ। বল হাতে চার ওভারে ২২ রানের বিনিমেয় কিউইদের পাঁচ ব্যাটসম্যানকে সাজঘরে পাঠান ২০ বছর বয়সী এ বাঁহাতি পেসার।
ভারতের বিপক্ষে অবিশ্বাস্যভাবে ১ রানে হেরে যাওয়ার হতাশার ছাপটাই নিউজিল্যান্ড ম্যাচে প্রভাব ফেলে। ব্ল্যাক ক্যাপসদের ১৪৫ রানের জবাবে মাত্র ৭০ রানেই গুটিয়ে যায় টাইগাররা। ৭৫ রানের লজ্জাজনক পরাজয়ে মাশরাফিদের বিশ্বকাপ মিশন শেষ হয়। এমন ভরাডুবির দিনে মুস্তাফিজের অসাধারণ বোলিং নৈপুণ্যই একমাত্র প্রাপ্তি ছিল। যেটি জায়গা করে নিয়েছে সেরা দশ পারফরম্যান্সের তালিকায়।
আইসিসির সেরা ১০টি পারফরম্যান্সের মধ্যে ইংল্যান্ড ম্যাচে ক্রিস গেইলের ‘ঝড়ো’ সেঞ্চুরি, দক্ষিণ আফ্রিকার ২২৯ রানের জবাবে জো রুটের ৮৩, প্রোটিয়াদের বিপক্ষে আফগান ওপেনার মোহাম্মদ শাহজাদের ৪৪, ইংলিশদের বিপক্ষে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসের অপরাজিত ৭৩, বাংলাদেশ ম্যাচে পাকিস্তান অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদির ৪৯, অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে সেমিফাইনালের লড়াইয়ে বিরাট কোহলির ম্যাচ জেতানো ৮২ রানের (অপ.) ইনিংসটি রয়েছে।
অর্থাৎ, সেরা দশজন পারফরমারের সাতজনই ব্যাটসম্যান। মুস্তাফিজ ছাড়া বাকি দু’জন বোলার হলেন নেদারল্যান্ডসের পল ফন মিকেরেন (বৃষ্টিবিঘ্নিত আয়ারল্যান্ড ম্যাচে ৪/১১) ও ভারতের বিপক্ষে নিউজিল্যান্ডের ৪৭ রানে জয়ের নায়ক মিচেল স্যান্টনার (৪/১১)। সুপার টেনের উদ্বোধনী ম্যাচটিতে ইশ শোধির (তিন উইকেট) সঙ্গে স্যান্টনারের স্পিন ভেল্কিতে মাত্র ৭৯ রানেই গুটিয়ে যায় টিম ইন্ডিয়ার ইনিংস।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪২ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০১৬
আরএম