ঢাকা: এশিয়া কাপের পর টি-টোয়েন্টি বিশকাপেও ব্যর্থ হয় পাকিস্তান দল। ফলে, দেশটির ক্রিকেট-নীতিনির্ধারকরা তদন্ত কমিটি (ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি) গঠন করে নিষিদ্ধ করতে যাচ্ছে দলের সিনিয়র চার ক্রিকেটারকে।
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) একটি সূত্র জানায়, উমর আকমল, ওয়াহাব রিয়াজ, শোয়েব মালিক আর আহমেদ শেহজাদকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হতে পারে। এই দুই বছরে পিসিবি আয়োজিত ক্রিকেটের কোনো আসরেই তারা অংশ নিতে পারবেন না।
এশিয়া কাপ আর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ব্যর্থতার পর দেশে ফিরে বোর্ডের কাছে দলের বাজে পারফর্ম আর বিপর্যয়ের রিপোর্ট পেশ করেন কোচ ওয়াকার ইউনিস। তার রিপোর্টের প্রেক্ষিতে ‘ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি’ এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে।
ওয়াকারের রিপোর্টে আরও ছিল দলের অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদির অহেতুক সব সিদ্ধান্তের কথা। কোচ জানান, এশিয়া কাপের আসর থেকেই ক্রিকেটে মন ছিল না আফ্রিদির। দলের অনুশীলন ও টিম মিটিংয়েও উপস্থিত থাকতেন না দলপতি। এছাড়া তিনি রিপোর্টে উল্লেখ করেন, বিশ্বকাপ চলাকালীন সময়ে শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন ওপেনার আহমেদ শেহজাদ ও উমর আকমল।
এশিয়া কাপে বাংলাদেশের বিপক্ষে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নেয় পাকিস্তান। এছাড়া হেরেছিল ভারতের বিপক্ষেও। এরপর বিশ্বকাপের সুপার টেনে বাংলাদেশের বিপক্ষে জিতলেও ভারত, নিউজিল্যান্ড আর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হেরেছিল সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
ওয়াকার তার রিপোর্টে আরও জানান, অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান আহমেদ শেহজাদ তার চোটের কথা লুকিয়েছিলেন ম্যানেজমেন্টের কাছে। নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের আগে পেসার মোহাম্মদ আমিরও নাকি তার চোটের কথা গোপন করেছিলেন। এছাড়া, দলের নিয়ম মানেননি পেসার ওয়াহাব রিয়াজ। আর শোয়েব মালিকের মতো ক্রিকেটার হঠাৎ করেই তার পারফর্ম অনুযায়ী দলকে সেরাটা দিতে ব্যর্থ হন।
ওয়াকার আর দলের ম্যানেজার ইন্তিখাব আলমের এমন সব রিপোর্টের প্রেক্ষিতে খুব শিগগিরই বোর্ডের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বসবে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি। তাতে ওয়াহাব রিয়াজ, আহমেদ শেহজাদ, শোয়েব মালিক আর উমর আকমলকে দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা দিতে পারে পিসিবি-এমন খবর প্রকাশ করছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমগুলো।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৩ ঘণ্টা, ০১ এপ্রিল ২০১৬
এমআর