ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

‘লাল-সবুজ’ বাড়ির বাসিন্দা সৌম্য

সাজ্জাদ খান, স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১, ২০১৬
‘লাল-সবুজ’ বাড়ির বাসিন্দা সৌম্য ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

সাতক্ষীরা থেকে: কাঠিয়ার মাঠপাড়ায় সৌম্য সরকারের বাবা কিশোরী মোহন সরকার বাড়ি করেছেন বছর পাঁচেক হলো। আশাশুনি উপজেলায় পৈতৃক বাড়ি তার।

জেলা শিক্ষা অফিসার হিসেবে কর্মরত থাকায় সাতক্ষীরা সদরের এই বাড়িতেই তার বাস।

বাড়িতে প্রবেশকালেই চোখ কেড়ে নেবে সদর গেট। বাংলাদেশের পতাকার আদলে লাল-সবুজ রঙ্গে রাঙ্গানো গেটটি। বাড়ির নামও দিয়েছেন চোখ কেড়ে নেওয়ার মতো ‘লাল-সবুজ’। দোতলায় বাড়ির ড্রয়িংরুমের তিনটি শোকেসে থরে থরে সাজানো বই। বেশিরভাগই রবীন্দ্রনাথ সমগ্র। অসংখ্য কবিতার বই। তার মধ্যে নিজের লেখা কবিতার বইও রয়েছে কয়েকটি। এছাড়া দেয়ালে টাঙানো রয়েছে টাইগারদের বিশেষ কিছু মুহূর্তের বেশ কয়েকটি ছবি। বইয়ের ফাঁকে ফাঁকে অসংখ্য মেডেল, ট্রফি। এগুলো কেবল সৌম্যের নয়। মেজো ভাই পুষ্পেন সরকারও খেলতেন ক্রিকেট। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগও খেলেছেন বেশ কয়েক বছর। জাতীয় দলে সুযোগ হয়নি- এ জন্য নাকি এখনও আফসোস বয়ে বেড়ান, জানালেন সৌম্যের বাবা। তবে, অন্য কোনো প্রফেশনে না গিয়ে ক্রিকেটের সঙ্গে থাকার চেষ্টা করে যাচ্ছেন পুষ্পেন, খেলোয়াড় নয় কোচ হিসেবে।

কিশোরী মোহন সরকারও ছাত্র জীবনে খেলতেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের হয়ে ফুটবলের মাঠ কাঁপাতেন। চাকুরি জীবনের শুরু থেকে কয়েক বছর ক্রিকেটও খেলেছেন। এ জন্য ক্রিকেট জ্ঞান তার অসাধারণ। বলছিলেন, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নিয়ে। ছোট ছেলে সৌম্য সরকারের পারফরম্যান্স ভালো না হওয়ার কারণ নিজেই বিশ্লেষণ করে বের করলেন, ‘আমার ধারণা প্রথম দিকে রান না পাওয়ায় পরের ম্যাচগুলোতে সেট হয়ে মারার পরিকল্পনা করেছিল সৌম্য। সমস্যাটা এখানেই হয়েছে। সে যে ধরনের ব্যাটসম্যান তাতে মেরে খেলাই ওর জন্য ভালো। আপনি যদি খেয়াল করে দেখেন, সৌম্য কিছু রান করে দিলে সেটা কিন্তু দলের জন্য খুব কাজে লাগে। দ্রুত কিছু রান করে দিয়ে আসলে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স আরেকটু ভালো হতে পারতো। ’

সৌম্যের বাবা আরও যোগ করেন, ‘ক্রিকেট খেলা এমন একটা খেলা, যেখানে অনেক সময় ভাগ্যের সহায়তা প্রয়োজন হয়। সেটি ঠিক আছে, কিন্তু আমি মনে করি এখানে চেষ্টাটাই মূখ্য। সৌম্যর খুব মন খারাপ বিশ্বকাপে ভালো করতে না পারায়। আশা করি, শিগগিরই সে ভালোভাবে কামব্যাক করতে পারবে। ’

সৌম্য নিজেও বুঝতে পারছেন দ্রুত তাকে কামব্যাক করতে হবে। তার উপর যে দলের প্রত্যাশা থাকে সেটা মেটাতে হবে। এ জন্য ছুটিতে বাড়িতে এসেও বসে নেই। স্থানীয় গনমুখী মাঠে সকালে দেড়-দুই ঘণ্টা ব্যাটিং অনুশীলন করছেন জাতীয় দলের এ বাঁহাতি ওপেনার।

সৌম্য জানান, ‘আবার নতুন করে শুরু করতে হবে। সামনে প্রিমিয়ার লিগ আছে, ওখানে রান করে আগের জায়গায় ফিরতে হবে। মনোবল ফেরানোর জন্য প্রিমিয়ার লিগকে টার্গেট করছি। আশা করি সব ঠিক হয়ে যাবে। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৮ ঘণ্টা, ০১ এপ্রিল ২০১৬
এসকে/এমআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।