ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

ভারতের থেকেও টাইগারদের পেস আক্রমণ উন্নত

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২, ২০১৬
ভারতের থেকেও টাইগারদের পেস আক্রমণ উন্নত ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম(ফাইল ফটো)

ঢাকা: ২০০৪ সালে ভারতের বিপক্ষে প্রথম জয় পাওয়ার ম্যাচে বাংলাদেশের এগারোজনের চারজনই ছিলেন পেসার। সে ম্যাচে মাশরাফি বিন মুর্তজা, তাপস বৈশ্য আর নাজমুল হাসানের সঙ্গে খালেদ মাহমুদ সুজন ছিলেন পেস বোলিং অলরাউন্ডার হিসেবে।

টাইগারদের স্কোয়াডে এখন নিয়মিত পেস আক্রমণে দেখা মাশরাফি, আল আমিন, তাসকিন আহমেদের সঙ্গে বিশ্ব ক্রিকেটের বিস্ময় মুস্তাফিজুর রহমানকে।

 

বিশেষজ্ঞ এ চার পেসারের বাইরে টাইগারদের পাইপলাইনে রয়েছেন রুবেল হোসেন, শফিউল ইসলাম, কামরুল ইসলাম রাব্বি, আবু হায়দার রনি, আবুল হাসান, রবিউল ইসলাম, মোহাম্মদ শহীদরা। নতুন আরও পেসার উঠে আসবে অনূর্ধ্ব-১৯ দল থেকে। এছাড়া, পেসার হান্ট থেকেও আসবে দুর্দান্ত বোলিং আক্রমণের পেসাররা।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসরে ভারতের বিপক্ষে মাত্র এক রানে হেরেছে টাইগাররা। আগে ব্যাটিং করা ভারতের সাত উইকেটের চারটিই তুলে নিয়েছিল টাইগার পেসাররা। বাংলাদেশের নয় উইকেটের তিনটি নেয় ভারতীয় পেসার হারদিক পান্ডে আর আশিষ নেহারা। যার দুটিই এসেছিল শেষ ওভারের ট্রাজেডিতে।

ভারতের বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক কপিল দেবও মনে করেন তার উত্তরসূরিদের থেকেই পেস আক্রমণে এগিয়ে বাংলাদেশের বোলাররা। আর এই পেস অ্যাটাক দিয়েই খুব শিগগিরই টাইগাররা বিশ্ব ক্রিকেটকে চমকে দেবে বলে বিশ্বাস কপিলের।

ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং করপোরেশনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কপিল জানান, বাংলাদেশে এমন অসাধারণ সব ক্রিকেটার রয়েছে যাদের পরিপক্ক হতে অল্প সময় দরকার।

২২ বছর আগে ক্রিকেট থেকে বিদায় নেওয়া ৫৭ বছর বয়সী কপিল এখনও ক্রিকেটের সঙ্গেই যুক্ত। ভারতের সাবেক এই কোচ বর্তমানে ক্রিকেট ধারাভাষ্যকার এবং একজন ক্রিকেট বিশ্লেষক হিসেবে কাজ করে চলেছেন। ডানহাতি এই ফাস্ট মিডিয়ার বোলার টাইগারদের পেস বোলিং নিয়ে বলতে গিয়ে জানান, ‘বাংলাদেশের দলটিকে দেখে আমি অবাক হই যখন তাদের পেস বোলিং ডিপার্টমেন্টটিকে দেখতে পাই। দশ বছর আগে তারা পুরোই একটি স্পিন নির্ভর দল ছিল। কিন্তু এশিয়া কাপের আসরে দেখুন তাদের কিউরেটর স্বাগতিকদের কথা মাথায় রেখেই পেস বোলিং সহায়ক উইকেট বানিয়ে রেখেছিল। আর বাংলাদেশের পেসাররাও সেই উইকেটে প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানদের শাসন করেছে।

১৯৮৩’র বিশ্বকাপ জয়ী ভারতের এই অধিনায়ক আরও বলেন, ‘বর্তমানে বাংলাদেশের প্রধান অস্ত্র পেস বোলিং। আর ভারতের থেকেও তাদের পেস বোলিং ডিপার্টমেন্ট উন্নত। আপনাকে অবশ্যই এটা মানতে হবে এবং প্রাপ্য সম্মান জানাতে হবে। ’

ভারতের হয়ে ১৩১টি টেস্ট আর ২২৫টি ওয়ানডে খেলা কপিল আরও যোগ করেন, ‘এটা আমার কাছে অবিশ্বাস্য মনে হয়-কিভাবে তারা এতো আত্মবিশ্বাস সঙ্গী করে মাঠে নামে। তাদের কিছু ক্রিকেটার রয়েছে যারা দলের মধ্যে অসাধারণ দায়িত্ব পালন করে। বিশ্বকাপে সৌম্যের নেওয়া ক্যাচগুলো ছিল এক কথায় অসাধারণ। বাংলাদেশ তাদের ক্রিকেটকে ভিন্ন একটি মানে এগিয়ে নিতে একের পর এক দারুণসব পারফর্ম দেখিয়ে যাচ্ছে। আমি বিশ্বাস করি তারা পারবে কারণ, তাদের রয়েছে আলাদা একটি উন্মাদনা। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৫ ঘণ্টা, ০২ এপ্রিল ২০১৬
এমআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।