সাতক্ষীরা থেকে: যশোরের মেয়ে জেসিকা মিম, ক্রিকেটভক্ত ছোটবেলা থেকেই। জ্ঞান হওয়ার পর থেকেই বাবা-চাচাদের সঙ্গে বসে টিভিতে দেখতেন ক্রিকেট ম্যাচ।
টাইগারভক্ত তো বটেই, সাতক্ষীরার দুই ক্রিকেটার সৌম্য সরকার আর মুস্তাফিজুর রহমানের দারুণ ভক্ত যশোরের বোর্ড স্কুল থেকে এসএসসি পরীক্ষা দেয়া এই তরুণী। সাতক্ষীরায় মিমের বোন-দুলাভাইয়ের বাসা। দুলাভাইকে বহুদিন আগেই বলে রেখেছেন, সৌম্য-মুস্তাফিজ বাড়িতে এলে যেন তাকে খবর দেয়া হয়। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শেষে বাংলাদেশ দল দেশে ফেরার আগেই বোন-দুলাইভাইয়ের সাতক্ষীরার বাসায় উঠেন মিম। অপেক্ষা, কবে বাড়ি ফিরবেন সৌম্য-মুস্তাফিজ।
সপ্তাহখানেক অপেক্ষার পর স্থানীয় সাংবাদিকদের সহযোগিতায় সৌম্যদের কাঠিয়ার মাঠপাড়ার বাড়িতে পৌঁছান মিম। বাসার ড্রয়িংরুমে অপেক্ষা সৌম্যের জন্য। প্রিয় ক্রিকেটারের বাড়িতে পৌঁছাতে পেরে আনন্দে চোখ ছলছল করছিল মেয়েটির। দেয়ালে টাঙানো সৌম্যের খেলার মাঠের বিশেষ কিছু মুহূর্তের ছবি, ওগুলোর সঙ্গেই সেলফি তুলছিলেন আপন মনে।
এর পর সৌম্যকে জানানো হলো, আপনার ভক্ত এই মেয়েটি যশোর থেকে এসেছে। একটা ছবি তুলতে চায়। সৌম্য হাসিমুখেই তার আবদার মেটান। সাক্ষাৎকার পর্ব শেষে যখন বাড়ির উঠোন দিয়ে বের হচ্ছি সৌম্যদের কাঁঠাল বাগানে প্রিয় ক্রিকেটারের জন্য অপেক্ষমান এক তরুণ। নাম আফরিদ আলী খান। এসেছেন কুমিল্লা থেকে। সৌম্য বের হলে তার সঙ্গে একটি ছবি তুলবেন।
আগের দিনও এসেছিলেন, তবে সেদিন খুব সকালে সৌম্য গিয়েছিলেন সুন্দরবন ভ্রমনে। ফেরেন গভীর রাতে। সকালে গনমুখী মাঠে অনুশীলন করার কথা ছিল সৌম্যের। সকাল থেকে বৃষ্টি হওয়ায় বুদ্ধি করেই সৌম্যদের ‘লাল-সবুজ’ বাড়ির দুয়ারে এসে উপস্থিত আফরিদ। সাহস করে বলতে পারছিলেন না, একটা ছবি তুলতে চাই। সৌম্য তার বাবাকে নিয়ে বাজারের উদ্দেশ্যে বাইকে চেপে বসলেন। ঠিক সে মুহূর্তেই ছেলেটি মুখ খুললো ‘কুমিল্লা থেকে এসেছি। একটা ছবি তুলতে চাই, গতকালও এসেছিলাম আপনি সুন্দরবন গিয়েছিলেন!’ সঙ্গে সঙ্গেই সৌম্য বাইক থেকে নেমে সময় নিয়ে ছবি তুললেন আফরিদের সঙ্গে।
লক্ষ্য পূরণ করেই কুমিল্লার পথ ধরেন আফরিদ। আর মিমের গন্তব্য এবার মুস্তাফিজের বাড়ি। মুস্তাফিজকে ক্যামেরাবন্দী করে তবেই যশোর ফিরবেন ক্রিকেট-ক্রিকেটার পাগল মেয়েটি!
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৫ ঘণ্টা, ০২ এপ্রিল ২০১৬
এসকে/এমআর