সাতক্ষীরা থেকে: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপটা স্মরণীয় হয়ে থাকবে বাংলাদেশ দলের ওপেনিং ব্যাটসম্যান সৌম্য সরকারের। ব্যাটিংয়ের জন্য নয়; অসাধারণ দক্ষতায় ক্যাচ লুফে নেওয়ার কারণে।
মোহাম্মদ হাফিজের স্লগ-সুইপে উড়িয়ে মারা বল প্রায় ১৫ মিটার দৌঁড়ে আটকে দেন সৌম্য। এরপর নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পেরে বল ছুঁড়ে দেন হাওয়ায়। দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় বাউন্ডারি লাইনের বাইরে থেকে বল ভেতরে এনে দারুণ দক্ষতায় তালুবন্দি করেন সৌম্য। নিশ্চিত ছক্কাকে পরিণত করেন ক্যাচে। যা তাকে এশিয়ান ক্রিকেটার হিসেবে সেরা ক্যাচের তালিকায় জায়গা করে দিয়েছে।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এশিয়ার সেরা ফিল্ডারের তালিকায়ও সবার শীর্ষে উঠে আসেন সৌম্য। তাকে এমন স্বীকৃতি দেয় ভারতের শীর্ষ সংবাদমাধ্যম ‘টাইমস অব ইন্ডিয়া’। ভারতের বিপক্ষে ব্যাঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে ডাইভ দিয়ে নেওয়া ভারতের হারদিক পান্ডের ক্যাচটি স্থান পেয়েছে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেরা ১০ মুহূর্তের একটি হিসেবে। ক্যাচের প্রসঙ্গ তুলতেই মাথা নিচু করে মুচকি হাসলেন সৌম্য। রান-ক্ষুধা কি ক্যাচে মেটে? সেটা না মিটুক। বিশ্বকাপে সৌম্যর সুখ-স্মৃতি বলতে তো ক্যাচগুলোই!
ক্যাচ প্রসঙ্গে সৌম্য জানান, ব্যাটিং-ব্যর্থতাই নাকি অমন ফিল্ডিংয়ের কারণ, ‘আসলে ব্যাটে রান আসছিল না। বোলিংও করছি না। কী করবো..। চেয়েছিলাম ফিল্ডিংয়ে অন্তত সেরাটা দিব। চেষ্টা করেছি, হয়ে গেছে। ক্যাচ দুটি অনেক দিন মনে থাকবে আমার। ’
সীমানা দঁড়ির উপর একাধিক প্রচেষ্টায় ক্যাচ নেওয়া প্রসঙ্গে সৌম্য জানান, মাঝে মাঝে অনুশীলন করতাম সীমানার উপর ক্যাচ নিতে। এসব ক্যাচ যে অনেক কঠিন তা কিন্তু না। শরীরের ভারসাম্য ঠিক রাখতে পারলে অনেক সময়ই এমন ক্যাচ তালুবন্দি করা সম্ভব।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২০ ঘণ্টা, ০২ এপ্রিল ২০১৬
এসকে/এমআর