খুলনা থেকে: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে একটি ম্যাচও পাননি নুরুল হাসান সোহান। তাই বলে দলের সঙ্গে ভারতে যে সময়টা খুব বাজে কেটেছে তা কিন্তু নয়।
চাপের মাঝেও দলের ক্রিকেটারদের ব্যাট হাতে নামতে দেখেছেন, বিশ্বকাপের মঞ্চে টিম মিটিংয়ে সিরিয়াস মুহুর্তের আলোচনা শুনেছেন। পরের বিশ্বকাপে নামার আগে এগুলো নিশ্চয়ই মনে পড়বে সোহানের! কাজেও লাগবে।
বিশ্বকাপে সোহানের সময় কেটেছে ড্রেসিংরুমে। একাদশে সুযোগ পাননি বলে মুখ গোমড়া করে বসে থাকেননি। আড্ডা-গল্পেই কেটেছে বিশ্বকাপ, ‘সব সময় মজা করতাম আমরা। আমরা একটা পরিবারের মতো সব সময় এক সঙ্গে ছিলাম। মাশরাফি ভাইয়ের রুমে বেশিরভাগ সময় আড্ডা হতো, গল্প করতাম, মজা করতাম। খেতে গেলে সবাই একসাথে যেতাম। হারি-জিতি সবসময় এক সাথেই ছিলাম। ’
এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপটা বেশ ঘটনাবহুল বাংলাদেশ দলের জন্য। ৬ মার্চ রাতে এশিয়া কাপের ফাইনাল শেষ করে বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের ম্যাচ ধরতে ১০ ঘন্টার ব্যবধানেই ভারত যেতে হলো বাংলাদেশকে! একেবারেই অচেনা এক কন্ডিশনে। বাংলাদেশে যখন প্রচন্ড গরম ধর্মশালা তখন বরফাচ্ছন্ন।
এসব বাধা পেরিয়ে সুপার টেনে বাংলাদেশ পৌঁছালেও ‘তাসকিন-সানি’ নিষিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় ঠিকই আঘাত পায় বাংলাদেশ দলের সকল ক্রিকেটাররা। তখন এ দুই জনের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন দলের সকল ক্রিকেটার। সোহান বলছিলেন, ‘এটা বাংলাদেশ বলেই সম্ভব। যেমন তাসকিন-সানি যখন নিষিদ্ধ হলো তখন আমরা ওনাদের পাশে ছিলাম। দলের সবাই সাথে ছিল। মন খারাপ হতে দেইনি। ’
বাংলাদেশ সময়: ১২০৬ ঘণ্টা, ০৩ এপ্রিল, ২০১৬
এসকে/এমএমএস
** লক্ষ্যটা নিজের ভেতরেই রাখতে চান সোহান