ইডেন গার্ডেন্স থেকে: জয়ের জন্য শেষ ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রয়োজন ছিল ১৯ রান। ইডেন গার্ডেন্সের অনেক সমর্থকই তখন চলে গেছেন, আর কেউ যাচ্ছিলেন।
২০ ওভারের প্রথম বলেই ডিপ ব্যাক ওয়ার্ড স্কয়ার লেগ দিয়ে মাঠের উপর দিয়ে সীমানার বাইরে পাঠালেন ব্র্যাথওয়েট। জয়ের জন্য ক্যারিবীয়দের প্রয়োজন আরও ১৩ রান। হাতে আছে ৫ বল। দ্বিতীয় বলটি করতে এলেন স্টোকস সেই বলেও আবার ছয়। এভাবে টানা আরও দু’টি বলে ছয় মেরে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে জয়ের বন্দরে এনে দিয়ে শূন্যে লাফিয়ে উঠে হাত ছুড়লেন ব্র্যাথওয়েট।
এসে জড়িয়ে ধরলেন সতীর্থ স্যামুয়েলসকে। ততক্ষণে মাঠে প্রবেশ করেছেন ড্রেসিং রুমের বাকি সদস্যরা। বাধভাঙ্গা উল্লাসে মেতে উঠলো পুরো ক্যারিবীয় শিবির। হাত ধরে সার্কেল করে নাচলেন সবাই।
স্যামুয়েলস তো জার্সি খুলেই ফেললেন। খালি গায়ে চলে এলেন একেবরারে গ্যালারির সামনে। এসে নিজের বুকে টোকা দিয়ে পুরো ইডেন গার্ডেন্সের সমর্থকদের আরেকবার নিজের সঙ্গে যেন পরিচয় করিয়ে দিলেন। যেনো বলছিলেন, দ্যাখো আমরাই পারি অসাধ্য সাধন করতে। এই ভারতের মাটিতেই তাদের হারিয়ে ফাইনালে এসেছি। আর আজ আরেকবার ইংলিশদের হারিয়ে বিশ্বকাপ শিরোপা জিতলাম। আমরাদের চিনে রাখো!
ভীষণ উত্তেজিত দেখাচ্ছিলো স্যামুয়েলসকে। পরে সতীর্থরা এসে অবশ্য তাকে মাঠের ভেতরে নিয়ে গেছেন।
এরপর ঘটলো এক মজার ঘটনা। বিকেল বেলা মেয়েদের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে শিরোপা জেতা ক্যারিবীয় মেয়েরা ট্রফি হাতে মাঠে প্রবেশ করে যুক্ত হল, স্যামি গেইলদের সঙ্গে। আর অমনি শুরু হয়ে গেলো দুই ক্যারিবীয় চ্যাম্পিনের নাচ। চললো এভাবে প্রায় ৫ মিনিট।
এমন নাচ ও আনন্দের ভেতর দিয়ে ৫ মিনিট চলে গেল। ক্যারিবীয়রা স্মরণীয় করে রাখলেন ইডেন গার্ডেন্স। স্মরণীয় হয়ে থাকলো ৩ এপ্রিল রোববারের আলোকউজ্জ্বল রাতটিও।
স্থানীয় সময়: ০০১৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৩, ২০১৬
এইচএল/এসএইচ