ঢাকা: টাইগার পেসার আল আমিন হোসেন এখন পর্যন্ত টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ফরমেটে ২০১৬ সালের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি হিসেবে শীর্ষে রয়েছেন। এশিয়া কাপ টুর্নামেন্টে সবচেয়ে বেশি উইকেট নিয়ে ‘কুলেস্ট প্লেয়ার অব দ্য সিরিজ’ হওয়া এই পেসার চলতি বছর ২২টি উইকেট তুলে নিয়েছেন।
২০১৬ সালে (এক ক্যালেন্ডার ইয়ার) আল আমিনের পরেই রয়েছেন ভারতের স্পিনার রবীচন্দ্রন অশ্বিন। ২১ টি উইকেট দখল করেছেন তিনি। এ বছর অশ্বিন ১৫টি ম্যাচ খেলেছেন, যেখানে আল আমিন খেলেছেন ১৪টি ম্যাচ।
অবাক ব্যাপার হলো টি-টোয়েন্টির এ বছরে শীর্ষ দশে এশিয়ার বাইরের কোনো বোলার সর্বোচ্চ উইকেট দখলের তালিকায় নেই। শীর্ষ দশ বোলারের তালিকায় এই ফরমেটে তিনজনই বাংলাদেশি বোলার।
এই তালিকায় তিন নম্বরে আরেক বাংলাদেশি বোলার সাকিব আল হাসান। বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার টি-টোয়েন্টির ছোটো ফরমেটে ১৬ ম্যাচ খেলে এখন পর্যন্ত নিয়েছেন ২০টি উইকেট। একটি উইকেট কম নিয়ে সাকিবের পরে ভারতীয় পেসার জাসপ্রিত বুমরাহ। ১৮টি করে উইকেট নিয়ে পরের অবস্থান গুলোতে রয়েছেন আরব আমিরাতের আমজাদ জাভেদ, আফগানিস্তানের মোহাম্মদ নবী, ভারতের আশিষ নেহরা, আমিরাতের মোহাম্মদ নাভীদ, আফগানদের রশিদ খান এবং বাংলাদেশের মুস্তাফিজুর রহমান।
টাইগার পেসার মুস্তাফিজ দশ নম্বরে থাকতে নিয়েছেন ১৬টি উইকেট। মাত্র ৮ ম্যাচ খেলেছেন তিনি। সবশেষ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলা ম্যাচে নিয়েছেন ইনিংস সর্বোচ্চ ৫টি উইকেট।
এর আগে এশিয়া কাপের আসরে আল আমিন ছিলেন প্রতিপক্ষের জন্য রীতিমতো ভয়ঙ্কর বোলার। টুর্নামেন্টে সবচেয়ে বেশি ১১ উইকেট তুলে নেন ডানহাতি এই পেসার। গত বছর বিশ্বকাপে নিজের ভুলের কারণে আল আমিনের নামে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ উঠে। ফলে, বিশ্বকাপ না খেলেই তাকে দেশে ফিরে আসতে হয়। দীর্ঘ সময় দলের বাইরে থেকে গত নভেম্বরে আবারো জাতীয় দলে ফেরেন তিনি। টাইগারদের হয়ে জিম্বাবুয়ে সিরিজে মাঠে নেমেই প্রমাণ করেন নিজেকে। নিজের ছন্দে ফিরে বিপিএলের আসরে আরেববার তুলে ধরেন আল আমিন। বিপিএলের আসরে বরিশাল বুলসের হয়ে দুরন্ত বোলিং করা আল আমিন দুর্দান্ত একটি হ্যাটট্রিকও করেন।
জিম্বাবুয়ে সিরিজের দুটি ম্যাচে খুলনায় মাঠে নামেন তিনি। ২৪ রানে দুটি আর ২১ রানে একটি উইকেট নিয়ে এশিয়া কাপের আসরে জাতীয় দলের অন্যতম ভরসার নাম হয়ে উঠেন আল আমিন। ভারতের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচেই তুলে নেন টাইগারদের হয়ে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট। পরের ম্যাচে আরব আমিরাতের বিপক্ষে ৮ রান খরচায় তুলে নেন একটি উইকেট। আর তৃতীয় ম্যাচে লঙ্কানদের হারাতে আবারো তুলে নেন দলের সর্বোচ্চ ৩ উইকেট। পাকিস্তানের বিপক্ষে মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে আবারো স্বরূপে আল আমিন। পেয়ে যান আবারও সর্বোচ্চ ৩ উইকেট। ফাইনালের মঞ্চে ভারতের বিপক্ষে নেন আরও একটি উইকেট।
এশিয়া কাপ আর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দারুণ পারফর্ম করা আল আমিন এখন পর্যন্ত ২৫টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে তুলে নিয়েছেন ৩৯টি উইকেট। বিশ্বকাপের আসরে সাত ম্যাচের ছয়টিতে খেলে (আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ পরিত্যক্ত) তুলে নেন ৮টি উইকেট।
বাংলাদেশ সময়: ১২২৭ ঘণ্টা, ০৭ এপ্রিল ২০১৬
এমআর