সাতক্ষীরা: ফজলুল হক অনার্স পড়েন। তার দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষা চলছে।
আইপিএলের চলতি আসরে এখন পর্যন্ত বিস্ময়ের নাম মুস্তাফিজুর রহমান। বৃহস্পতিবার (১২ মে) রাতেও দিল্লি ডেয়ারডেভিলস আর মুস্তাফিজের দল সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের মধ্যকার খেলা নিয়ে উৎসাহ উদ্দীপনার কমতি ছিল না সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের জিয়া হলের বিনোদন কক্ষে।
শুধু সেখানেই নয়, মুস্তাফিজের গ্রামের বাড়ি জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার তারালীসহ সমগ্র জেলার মানুষ উন্মুখ হয়ে থাকেন মুস্তাফিজের খেলা দেখার জন্য।
গতকালের ম্যাচকে ঘিরেও মুস্তাফিজের গ্রামের বাড়িতে প্রস্তুতি চলেছে সেই বিকেল থেকেই। যেদিনই মুস্তাফিজের খেলা থাকে, সেদিন স্থানীয় বিদ্যালয়ের মাঠে টানানো হয় বড় পর্দা। বিকেল থেকেই সেখানে গ্রামের লোকজন আসতে থাকেন।
শুধু মুস্তাফিজের গ্রামের বাড়ি নয়, তার খেলাকে কেন্দ্র করে বাড়তি উৎসাহ উদ্দীপনা কাজ করে জেলাবাসীর মাঝে। হাট-বাজার, হোটেল-রেস্তোঁরা কিংবা চায়ের দোকান, সব জায়গাতে সকাল থেকেই শুরু হয় আলোচনা। থাকে ম্যাচ দেখার পূর্ব প্রস্তুতি।
মুস্তাফিজের ভাই মোখলেছুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, ম্যাচের দিন মুস্তাফিজের খেলা দেখার জন্য সেই বিকেল থেকেই লোকজন অপেক্ষা করেন। গ্রামে যেন উৎসব চলে।
সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী সাইদুর রহমান জানান, পরীক্ষা কোনো বিষয় নয়, মুস্তাফিজের বোলিং মিস তো সব মিস। ম্যাচ শেষে লোকের মুখে গল্প শুনে মনের চাহিদা মেটে না। হাবিবুল্লাহ বাহার জানান, মুস্তাফিজ আমাদের ছেলে। সে অসাধারণ বোলিং করে। তার প্রতিটি বল মানেই নতুনত্ব, বৈচিত্র্য। ব্যাটসম্যানরা তার ভয়ে তটস্থ থাকেন। এগুলো না দেখলে থাকতে পারিনা।
হোটেল কর্মচারী আজিজ জানান, ‘ভাই আগে মুস্তাফিজের খেলা, পরে কাজ। এতে মালিকের গালি শুনতেও খারাপ লাগে না। ’
এ যেন এক উৎসব। মুস্তাফিজ উৎসব। সবার আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে যেন এই কাটার মাস্টার।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৫ ঘণ্টা, ১৩ মে ২০১৬
এমআর