ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

স্পিনে দেশসেরা ব্যাটসম্যান ম্যাশ

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৬ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০১৬
স্পিনে দেশসেরা ব্যাটসম্যান ম্যাশ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর

ঢাকা: বিশ্ব ক্রিকেট মাশরাফি বিন মর্তুজাকে চেনে দুর্দান্ত পেসার আর অসাধারণ ক্যাপ্টেন্সির জন্য। তবে, চলমান ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের (ডিপিএল) আসরে ম্যাশ জানিয়ে দিয়েছেন ব্যাট হাতেও কম যান না টাইগার এই দলপতি।

টাইগার ওপেনার তামিম ইকবাল জানালেন, ব্যাট হাতে তার অধিনায়ক কোথায় সফল আর কোথায় ব্যর্থ।

 

ডিপিএলের আসরে কলাবাগান ক্রীড়া চক্রকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন মাশরাফি। মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের শেখ জামাল ধানমন্ডির বিপক্ষে চলমান আসরের ষষ্ঠ রাউন্ডে ছয় নম্বরে ব্যাট হাতে নামেন ম্যাশ। ফতুল্লায় ছক্কার বৃষ্টি নামিয়ে তুলে নেন লিস্ট ‘এ’ ক্যারিয়ারের প্রথম শতক। ৫১ বলে ১০৪ রানের মহাকাব্যিক ইনিংস খেলেন তিনি। প্রথম কোনো বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে দ্রুততম শতক হাঁকান তিনি। আর ১১টি ছক্কা হাঁকিয়ে টাইগার ব্যাটসম্যানদের মধ্যে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ছক্কা হাঁকানোর রেকর্ড গড়েন মাশরাফি।

টাইগারদের দলপতি প্রসঙ্গে ড্যাশিং ওপেনার তামিম ইকবালের মতে, ম্যাশ শুধু অকেশনালি হার্ড-হিটার ব্যাটসম্যানই না, তিনি বাংলাদেশের সেরা ব্যাটসম্যানদের মধ্যে একজন যিনি স্পিন বোলারদের বিরুদ্ধে অন্যদের থেকেও দুর্দান্ত। তবে, তামিম এটাও জানিয়েছেন পেস বোলারদের আক্রমণ করতে মাশরাফির কিছুটা সমস্যা হয়।

তামিম জানান, ‘মাশরাফি ভাই আমার দেখা দেশের সেরা ব্যাটসম্যান যিনি অবলীলায় স্পিন বোলারদের ছক্কা হাঁকাতে পারেন। তবে, পেসারদের সামনে তিনি অতটা আগ্রাসী ভূমিকা রাখতে পারেন না। আর আমার মনে হয় না বিশ্বে এমন কোনো সেরা ব্যাটসম্যান আছেন, যারা স্পিন আর পেস বোলিংকে একই সাথে ভালোভাবে আর সহজভাবে মোকাবেলা করতে পারেন। ’

জাতীয় দলে মাশরাফি কেন তার এমন দুর্দান্ত ব্যাটিং দেখাতে পারেন না? এমন প্রশ্নের জবাবে তামিম জানান, ‘আমার ধারনা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মাশরাফি ভাইয়ের ব্যাটিংয়ে কিছু একটার অভাব রয়েছে। তিনি সব ডিপার্টমেন্টেই দুর্দান্ত খেলতে সক্ষম, তবে পূর্ণ আত্মবিশ্বাস নিয়ে ব্যাটিংয়ে এলে এখানেও নিয়মিত সফল হবেন। ’

এর আগে মাশরাফি জানিয়েছিলেন, ‘আমার ব্যাটিংটা বেশ ভালোই হচ্ছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এক সময় চাইতাম ব্যাট হাতে অসাধারণ কিছু ইনিংস খেলবো। কিন্তু, ২০০৭ সালের পরই সব কিছু চেঞ্জ হয়ে যায়। আমি ভারতের বিপক্ষে হাফ-সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছি। মুত্তিয়া মুরালিধরন আর চামিন্দা ভাসদের বিপক্ষেও আমার হাফ-সেঞ্চুরি আছে। তবে, ইনজুরিতে পরার পর আমার সব কিছু পরিবর্তন হয়ে গেছে। ইনজুরি থেকে সেরে উঠার পর থেকেই আমি শুধু ফিটনেস আর বোলিংয়ের দিকেই মনোযোগ দিয়েছি। তখন থেকেই ব্যাটিং নিয়ে কাজ করা হয়নি। আর তাই হয়তো ভালো ব্যাটসম্যান হওয়া আমার স্বপ্নই থেকে গেছে। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৪ ঘণ্টা, ১৬ মে ২০১৬
এমআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।