ঢাকা: বিসিবি একাডেমি দলের সাবেক অস্ট্রেলিয়ান কোচ জিওফ লসন ঢাকায় এসে একবার বলেছিলেন, ‘খেলোয়াড়কে আত্মনির্ভরশীল করে দাও। একটা সময়ে যেন তার আর তোমার কাছে আসতে না হয়।
এবারের প্রিমিয়ার লিগে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের কোচের দায়িত্বে সালাউদ্দিন। বিপিএলের পর প্রিমিয়ার লিগের দলটাও সাদামাটা। প্লেয়ার্স বাই চয়েজে লটারির দুর্ভাগ্যে শক্তিশালী দল গড়তে পারেননি সালাউদ্দিন, ‘লটারিতে আইকন আমরা ৯ নম্বরে পেয়েছি। আমাদের দলে কিছুটা ঘাটতি রয়ে গেছে যেটা পোষানো কষ্টকর। আমাদের টিমে পাঁচজন ক্রিকেটার প্রিমিয়ার লিগে এবার নতুন। ফারুক হোসেন, মেহেদি হাসান, মুস্তাফিজুর রহমান, মোহাম্মদ ফোরকান ও ইমামুল মুস্তাকিম। যাদের মধ্যে চারজনের লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে অভিষেক হলো এবার। তবে ঢাকা লিগে পরীক্ষিত-এমন কয়েকজন ক্রিকেটার আছে দলে। ’
অভিজ্ঞ ক্রিকেটারের অভাবটা পুষিয়ে দিচ্ছেন সিনিয়র ক্রিকেটাররা। শামসুর রহমান ও বিজয় যেভাবে ব্যাট করছেন আর অলক কাপালি যেভাবে উইকেট তুলছেন তাতে অবশ্য চোখে পড়ছে না ঘাটতিগুলো। শক্তিশালী দল গড়তে না পারলেও সুপার লিগে ওঠার পথে হাঁটছে দলটি। কী জাদু জানেন এ কোচ? সেটি জানতে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের অনুশীলনে চোখ নিবদ্ধ করা।
অন্য কোচরা যখন দলীয় অনুশীলন নিয়েই ব্যস্ত, সালাউদ্দিন তখন আলাদা করে ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিংয়ের টেকনিক নিয়ে কাজ করছেন। এনামুল হক বিজয়, সোহরাওয়ার্দী শুভ, মোহাম্মদ শরিফরা একাডেমি মাঠে একদিন ছক্কা মারার অনুশীলন করছিলেন। কিন্ত বল বেশি দূরে যাচ্ছিলো না। সালাউদ্দিন এসে দেখিয়ে দিলেন বল কিভাবে সীমানাছাড়া করতে হয়। ব্যাটের সুইটপার্টে বল লাগাতে হলে কি করতে হবে। শট খেলার পর ব্যাটের সুইংটা কোন দিকে থাকবে, জুতোর টোঁ কোথায় থাকবে। প্রফেশনাল ক্রিকেটারদেরও শেখাচ্ছেন ক্রিকেটের নানা অ্যাঙ্গেল। সালাউদ্দিন মিনিট পাঁচেক সময় দিতেই ছক্কাগুলো বড় হতে লাগলো।
বল করার পর স্পিনারের ফলো-থ্রো কেমন হবে সেটি নিয়েও নিয়মিত কাজ করেন তিনি। দলের সাফল্যের চেয়ে খেলোয়াড়দের টেকনিকে স্থায়ী উন্নতি চান এ কোচ। ঠিক যেন লসনের কথার বাস্তব প্রতিফলন।
প্রিমিয়ার লিগে দল নিয়ে সালাউদ্দিনের লক্ষ্য অন্য আট-দশটা কোচের মতো নয়। এখানেও ব্যতিক্রম এ কোচ, ‘এমন টিম নিয়ে চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য ফাইট করা খুব কঠিন। চ্যাম্পিয়ন হতে হলে ভাগ্যও লাগে। আমি চাই এই টিম থেকে দুইটা প্লেয়ার যেন পরবর্তী লেভেল, যেমন এইচপি টিমে সুযোগ পায়। বিজয়, শুভ যেন তাদের আগের জায়গায় ফিরতে পারে। এটা হলে চ্যাম্পিয়নশিপের চেয়ে সন্তুষ্টির জায়গাটা বেশি থাকবে। ক্রিকেটারদের টেকনিক উন্নত হলেই আমার আনন্দ। ’
বাংলাদেশের ক্রিকেটে মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের পরিচয় ‘ক্রিকেটারদের কোচ’। সাকিব-তামিম-মুমিনুল থেকে শুরু করে বাংলাদেশের এখনকার জাতীয় দল ও দলের আশেপাশে থাকা অনেক ক্রিকেটারের তিনি ক্রিকেট গুরু। অনেকেরই তিনি ‘অভিভাবক’, ‘মেন্টর’ বা ‘গাইড’। যে কোনো টেকনিক্যাল কিংবা মানসিক সমস্যায় বাংলাদেশের অনেক ক্রিকেটার সবার আগে দ্বারস্থ হন সালাউদ্দিনের। সবচেয়ে বেশি হন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।
আইপিএলে কেকেআরের হয়ে ব্যাটিংয়ে রান পাচ্ছিলেন না সাকিব। দু’দিনের জন্য ঢাকায় এসে গুরুর সাথে দেখা করলেন। পরের ম্যাচে সাকিব নেমেই খেলেছেন আইপিএলে নিজের সর্বোচ্চ (৬৬) রানের ইনিংস! টনিকটা আর কিছুই নয়। গুরুর সঙ্গে কিছুটা সময় কাটানো, ব্যাস এটুকুই!
সাকিবের সঙ্গে সম্পর্কের গভীরতা বোঝা গেল সালাউদ্দিনের কথাতেই, ‘সাকিবের সাথে আমার বন্ধুত্বপূর্ণ একটা সম্পর্ক। দেখা যায় ওর অনেক সিদ্ধান্ত আমি নেই। আমার অনেক সিদ্ধান্ত সাকিব নেয়। এটা শুধু সাকিবের সঙ্গে না, আরও অনেক ক্রিকেটারের সঙ্গেই বন্ধুত্ব আমার। আমি তাদের গাইড করার চেষ্টা করি। ওদের কোনো সমস্যা হলে মনে করি এটা সমাধানের দায়িত্ব আমারই। ’
সাকিবকে রানে ফেরাতে ঠিক কি বলেছিলেন? উত্তরে সালাউদ্দিন জানালেন, ‘আমি সাকিবকে কিছুই বলিনি। তাকে বলার মতো কিছু নেই। পারফর্ম করার জন্য সে নিজেই উৎসাহী। ভালো করার জন্য যা কিছু করার, তাই-ই করবে সে। এই লেভেলের ছেলেদের মোটিভেট করতে হয় না। নিজ থেকেই তারা মোটিভেটেড হয়। সে হয়তো মানসিক সন্তুষ্টির জন্য আমার কাছে এসেছিল। দুইদিন ইনডোরে এক ঘণ্টা করে ব্যাটিং করেছে। এটা এমন কিছু না। এটা মেন্টাল একটা সেটিফেকশন। যা কনফিডেন্স বাড়াতে সাহায্য করে। সাকিব হয়তো ভেবেছে স্যারের কাছে গেলে ভালো লাগবে। আমি সাকিবকে যেহেতু ছোটবেলা থেকেই চিনি। তার খাওয়া-দাওয়া, চলা-ফেরা সব বুঝি। আমি তো ওর খেলা সবময়ই দেখি। এজন্য আমাদের মাঝে বোঝাপড়াটা খুব ভালো। আমাকে তার সমস্যা কথাটা বলেছে। আমরা আসলে কেবল সময় কাটিয়েছি। ’
সালাউদ্দিন যখন বিকেএসপির কোচ, সাকিবের ক্রিকেট তখন শুরু। সাকিবকে শুরু থেকেই দেখছেন সালাউদ্দিন। আবার সাকিব-তামিম-মুশফিকরা যখন জাতীয় দলে, তখন আবার জাতীয় দলের সহকারী কোচ সালাউদ্দিন। এজন্য ছাত্রদের সহযোগিতায় দায়বদ্ধতা থেকে এখনো এগিয়ে আসেন সালাউদ্দিন, ‘সাকিব, তামিম, মুশফিকরা যখন ন্যাশনাল টিমে আসে তখন আমি ন্যাশনাল টিমের কোচ ছিলাম। এজন্য বোঝাপড়াটা ভালো হয়েছে। সমস্যায় পড়লে সবাইকেই গাইড করার চেষ্টা করি। ’
শিষ্যদের খারাপ সময়ে বন্ধুর মতো হাত বাড়ান সালাউদ্দিন। নিজের খেলোয়াড়ি ক্যারিয়ারকে লম্বা করতে পারেননি বলেই হয়তো ক্রিকেটারদের বিপদে এতটা আন্তরিক। খেলোয়াড়ি জীবনে কোচের বঞ্চনার স্বীকার হয়েছিলেন সালাউদ্দিন। সে কথা বলতে গিয়ে ফিরে গেলেন ১৯৮৮ সালে, ‘ওই বছর প্রথমবার প্রিমিয়ার লিগ ওয়ারীতে খেলেছি। প্রথম ম্যাচ পারফর্ম করার পরও কোচ আমাকে পরের ম্যাচে সুযোগ দেননি। কোনো কারণ ছাড়াই। তারপর আমি ৩-৪ ম্যাচ অপেক্ষা করেছিলাম। ভেবেছিলাম হয়তো খেলতে পারবো। পরে দেখি আর সুযোগ দেয়া হচ্ছে না। ছয় বছরের ক্যারিয়ারে প্রথম দুই বছর ভালো খেলার পর ব্যাক ইনজুরিতে পড়ি। প্রথম দুই বছর ওয়ারীতে। তারপর তিন বছর ব্রাদার্সে। ওই তিন বছরই ইনজুরি ছিল, বেশি ম্যাচ খেলতে পারিনি। ইনজুরির কারণে ক্যারিয়ারটা টেনে নিতে পারছিলাম না। তখন মনে হলো আমার ক্যারিয়ারটা বুঝি এগুবে না। তখন আমি বিকেএসপিতে খন্ডকালীন কোচ হিসেবে কাজ শুরু করলাম। ’
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নকালেই বিকেএসপিতে খন্ডকালীন কোচের দায়িত্ব পান সালাউদ্দিন। বিকেলে ৩টা থেকে অনুশীলন করাতেন ক্রিকেটারদের। ১৯৯৯ সালে বিকেএসপিতে ক্রিকেট কোচ হিসেবে চাকরি স্থায়ী হয়। ২০০১ সালে ভারতের পাতিয়ালায় ক্রিকেট কোচিংয়ের উপর কোর্স করে ফাস্ট ক্লাস পান। বাংলাদেশি ক্রিকেট কোচ হিসেবে একমাত্র ফাস্ট ক্লাস পাওয়া কোচ তিনিই। ২০০২-০৩ মৌসুমে ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিং ক্লাবের হয়ে কোচের দায়িত্ব নিয়েই লিগের চ্যাম্পিয়ন করেন ক্লাবটিকে।
কোচিংয়ের মজাটা সেখান থেকেই পেতে শুরু করেন সালাউদ্দিন, ‘২০০২-০৩ মৌসুমে দৌলত ভাই মারা যাওয়ার পর লিগের মাঝখানে কোচ হিসেবে কাজ শুরু করি ভিক্টোরিয়ায়। সৌভাগ্যক্রমে ভিক্টোরিয়া সেবার চ্যাম্পিয়ন হয়। পরের মৌসুমে আবার চ্যাম্পিয়ন। তার পরের বছর লিগ হয়নি। তবে করপোরেট লিগে ভিক্টোরিয়াকে চ্যাম্পিয়ন করি। তারপর কোচিং ক্যারিয়ারের মোড় ঘুরে যায়। ’
১৯৯৯ সাল থেকে ২০০৫ পর্যন্ত বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে (বিকেএসপি) ক্রিকেট কোচের দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০০৫ সালের অক্টোবর থেকে ২০১১ বিশ্বকাপের আগ অবধি ছিলেন বাংলাদেশ দলের ফিল্ডিং ও সহকারী কোচ। এরপর ইউনিভার্সিটি অব মালেশিয়ার ক্রিকেট কোচ হিসেবে কাজ করেন ৫ বছর। দেশে ফিরে বিপিএলে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের কোচ হিসেবে কাজ শুরু করেন। আরও আগেই দেশে ফিরতে চেয়েছিলেন সালাউদ্দিন। কিন্ত তাকে ছাড়তে রাজী ছিলো না ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ। সেখানে সবার ভালোবাসা আর আকুন্ঠ শ্রদ্ধার পাত্র হয়ে উঠেছিলেন তিনি।
দেশে ফেরার পর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সঙ্গে কাজ করার ইচ্ছা ছিল সালাউদ্দিনের। অনেকদিন অপেক্ষার পরও বিসিবি কাজে লাগায়নি প্রতিভাবান এ কোচকে। লম্বা সময় অপেক্ষা না করে গাজী গ্রুপের সঙ্গে স্থায়ীভাবে যু্ক্ত হয়ে গেছেন সালাউদ্দিন। গাজী গ্রুপের ‘ডাইরেক্টর অব কোচিং’ এখন তিনি।
বিসিবির সঙ্গে কাজ করার যে ইচ্ছা ছিল সেটিও আগের মতো নেই সালাউদ্দিনের, ‘আমি আসলে অনেকদিন অপেক্ষা করেছি, বোর্ড যেহেতু আমাকে কিছু বলে নি...। আমি প্রফেশনাল কোচ, আমার তো নিজের ক্যারিয়ারও দেখতে হবে। গাজী গ্রুপে যোগ দিয়েছে। তাদের খবু বড় পরিকল্পনা আছে রুপগঞ্জে একটি একাডেমি করার। বিসিবির সঙ্গে কাজ করার আগ্রহ আর আগের মতো নেই। এখন আমার স্বপ্ন একাডেমিকে ঘিরেই। আমি চাচ্ছি ওয়ার্ল্ডের ওয়ান অব দ্য বেস্ট ক্রিকেট একাডেমি করার। ’
জাতীয় দলের ক্রিকেটাররাও যাতে এখান থেকে সুবিধা নিতে পারে সে সুবিধাও একাডেমিতে রাখবেন সালাউদ্দিন, ‘আমারও অনেক দিনের ইচ্ছা একটা একাডেমি করার। যেখান থেকে নিজের মতো করে খেলোয়াড় বের করে আনবো। ব্যক্তিগতভাবে আমি সেভাবে পারবো না, নিজস্ব জায়গা লাগবে। আমার কাছে ছেলেরা আসবে তাদের নিয়ে কাজ করবো, শেখাবে। এটা না করতে না পারলে তো আমি মজা পাবো না। আমি গাজী গ্রুপকে ধন্যবাদ জানাই। তারা আমাকে এমন সুযোগ দিয়েছে। প্রজেক্ট জমা দিয়েছি। এটা ইনশাআল্লাহ অচিরেই হবে। জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা কোনো সমস্যায় পড়লে এখানে এসে যেন কাজ করতে পারে সে সুযোগ-সুবিধাও রাখা হবে। ’
সালাউদ্দিন মনে করেন খেলোয়াড়দের কাছে গ্রহণযোগ্যতা একজন কোচের বড় শক্তি। তাছাড়া বাংলাদেশের উঠতি কোচদের আপগ্রেড থাকতে ও পরিশ্রম বাড়ানোরও পরামর্শ দেন সালাউদ্দিন, ‘আমরা নিজেদের আপডেট করে রাখি না। কোচিংয়ে উন্নতি করার অনেক জায়গা থাকে। আমরা আমাদের মূল্য যদি না বোঝাতে পারি তাহলে কোনো লাভ নেই। পড়াশোনা করে নিজেকে আপগ্রেড রাখা গুরুত্বপূর্ণ। এটা এমন একটা জায়গা যেখানে শেখার শেষ নেই। খেলোয়াড়দের কাছে গ্রহণযোগ্যতা তুলে ধরতে হবে। পড়াশোনা করতে হবে অনেক। বাইরের কোচরা আসলেই অনেক আপগ্রেডেট। আমাদের পরিশ্রম করার মানসিকতা হয়েতো আছে, কিন্তু পড়াশোনা করে কোচিংয়ের জ্ঞান বাড়ানোর আগ্রহ নেই। এই জায়গাটাতে আমাদের ঘাটতি আছে। কোচিংয়ে যারা নতুন আসছে, দেখা গেছে কেউ হয়তো জাতীয় দলে খেলেছে তাকে কোচিংয়ে একটা ভালো পজিশনে দেয়া হচ্ছে। এটা একটা ভুল কনসেপ্ট। একটা ছেলেকে গড়ে তোলা, আর নিজেকে গড়া- দুইটা ভিন্ন। যে ভালো তাকেই আসলে সুযোগটা দেয়া উচিত। যে ছেলেটা ভালো লেভেলে ক্রিকেট খেলে, ভালো কোচিং স্টাফের অধীনে কোচিং করে, তার উন্নতি একটু তাড়াতাড়ি হবে। এটা কেবল তার বাড়তি একটি সুবিধা। ’
কোচিংয়ে আসার পেছনে সালাউদ্দিন পুরো কৃতিত্ব দিলেন বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার নাজমুল আবেদিন ফাহিমকে, ‘আমাকে কোচিংয়ে আনার পুরো কৃতিত্ব তার। এক কথায় ফাহিম স্যার আমার অভিভাবক। এখনো তিনি আমাকে গাইড করেন। তিনি আসলে আমার বাবার মতো। কিভাবে কি করতে হবে এখনও তার কাছ থেকে দিক-নির্দেশনা নেই। আমি যেখানেই কোচিং করাই, এটা আমার নেশা-পেশা। যেরকম দলই দেবেন আমি সেরকম দলকে নিয়েই উপভোগ করব। ’
বাংলাদেশ সময়: ২০১৪ ঘণ্টা, ১৭ মে ২০১৬
এসকে/এমআর