ঢাকা: আগেই টেস্ট ও ওয়ানডেও ছেড়েছেন পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি অধিনায়কের পদ থেকে সদ্যই সরে দাঁড়ানো শহিদ আফ্রিদি। ক্রিকেট ক্যারিয়ারের ইতি টানলে সাবেক এই দলপতি কখনো কোচ কিংবা ধারাভাষ্যকার হবেন না বলে জানিয়েছেন।
এশিয়া কাপের পর টি-টোয়েন্টি বিশকাপেও ব্যর্থ হয় পাকিস্তান দল। ফলে, দেশটির ক্রিকেট-নীতিনির্ধারকরা তদন্ত কমিটি (ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি) গঠন করে আফ্রিদিকে অধিনায়কের আসন থেকে সরিয়ে দিতে বোর্ডের কাছে সুপারিশ করে।
নিজে থেকেই দলের দায়িত্ব ছেড়ে দেন আফিদি। তবে জানিয়েছিলেন, অধিনায়কের পদ ছেড়ে দিলেও টি-টোয়েন্টিতে নিজ দেশের হয়ে খেলা চালিয়ে যাবেন। এমনকি বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে ক্রিকেটের এই ফরমেটে খেলতে চেয়েছিলেন তিনি।
পাকিস্তানের একটি টেলিভিশনের সাক্ষাৎকারে আফ্রিদি জানান, আমি ক্রিকেট জীবনের পরের জীবন নিয়ে কিছু ভাবছি না। তবে, এটা নিশ্চিত আমি ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর পরে কোচিং ক্যারিয়ার শুরু করবনা। আর ধারাভাষ্যকার? না, এটাও আমাকে দিয়ে হবেনা। আমি দেশের হয়ে আরও ক্রিকেট খেলতে চাই। আরও দেড় থেকে দুই বছর ক্রিকেট খেলতে চাই। জাতীয় দলের বাইরে লিগ ক্রিকেটেও নিজেকে জড়িয়ে রাখতে চাই।
এর আগে দলের সাবেক কোচ ওয়াকার ইউনুস ও ম্যানেজার ইন্তিখাব আলম তাদের রিপোর্টে আফ্রিদির প্রসঙ্গে অভিযোগ করার পর তিনি অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়ান। ওয়াকারের রিপোর্টে ছিল দলের অধিনায়ক হিসেবে আফ্রিদির অহেতুক সব সিদ্ধান্তের কথা, দলের অনুশীলন ও টিম মিটিংয়েও উপস্থিত থাকতেন না তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৬ ঘণ্টা, ১৯ মে ২০১৬
এমআর