ঢাকা: একটা সময় বহু ব্যাটসম্যানের কাছে আতঙ্কের নাম ছিলেন। তবে বিশ্বমানের বোলারদেরকেও শীর্ষ ব্যাটসম্যানদের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হয়।
গত বছরের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানান ৩৪ বছর বয়সী জনসন। বর্তমানে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের হয়ে আইপিএলে খেলছেন। যদি দলে নিয়মিত নন! অন্যদিকে, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর জার্সিতে প্রায় প্রতিটি ম্যাচেই প্রতিপক্ষের বোলারদের শাসন করছেন ডি ভিলিয়ার্স। সঙ্গে বিরাট কোহলি তো আছেনই! ক্রিস গেইলের কথা নাই বা বললাম!
৭৩ টেস্টে ৩১৩ উইকেট নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সর্বকালের সর্বোচ্চ টেস্ট উইকেট শিকারির তালিকায় কিংবদন্তি শেন ওয়ার্ন, গ্লেন ম্যাকগ্রা ও ডেনিস লিলির পেছনে থেকে ক্যারিয়ারের ইতি টানেন জনসন।
২০০৫ সালের ডিসেম্বরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রেখেছিলেন বাঁহাতি পেসার জনসন। আধুনিক ক্রিকেটে এ সময়ের মধ্যে সেরা ব্যাটনম্যানদের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছিলেন। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং জিনিয়াস ডি ভিলিয়ার্সকেই কঠিনতম চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন জনসন।
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার অফিসিয়াল সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এসব কথাই তুলে ধরেন জনসন, ‘এবি ডি ভিলিয়ার্স আসলেই আমার কঠিনতম প্রতিপক্ষ ছিল। এবি এমন একজন ব্যাটসম্যান যে লম্বা সময় ধরে সবার উপরে অবস্থান করেছে। সে কতটাই না শান্ত ছিল। তার দখলে সব ধরনের শট রয়েছে। ’
টেস্টে দ. আফ্রিকার বিপক্ষে জনসনের সাফল্যটা তৃপ্তিদায়কই বটে! প্রোটিয়াদের মুখোমুখি হয়ে ১২ টেস্টে ৬৪ উইকেট নিয়েছেন। অন্যদিকে, টেস্টে পেসারদের কীভাবে থামাতে হয় তা ডি ভিলিয়ার্স খুব ভালো করেই জানেন! ফাস্ট বোলারদের বিপক্ষে তার ব্যাটিং গড় ৬৬। টেস্ট ক্রিকেটে ২১ ইনিংসে মাত্র চারবার এবির উইকেট নিতে সক্ষম হন জনসন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪০ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০১৬
এমআরএম