মিরপুর থেকে: ক্রিকেটারদের সকল রকম ডাটা সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে গত ২৪ মে মিরপুর ক্রিকেট একাডেমিতে শুরু হয় অ্যাথলেটস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম প্রশিক্ষণ। বৃহস্পতিবার (২৬ মে) এই প্রশিক্ষণের শেষদিন অতিবাহিত হয়।
অ্যাথলেটস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম হলো এমন একটি প্রযুক্তি যার মাধ্যমে ক্রিকেটারদের সকল প্রকার তথ্য এজ-১০ নামক সফটওয়্যারের মাধ্যমে সংরক্ষিত থাকবে। প্লেয়ারদের ইনজুরি থেকে শুরু করে পারফরমেন্সের যাবতীয় ইতিহাসও এখানে সংরক্ষিত হবে। এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে কোচ, প্লেয়ার ও ট্রেইনারদের মধ্যে দারুণ এক সমন্বয় সাধনও সম্ভব হবে।
প্রশিক্ষণ শেষে অ্যাথলেটস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম সম্পর্কে জানাতে গিয়ে বাংলদেশ ক্রিকেট বোর্ডের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (এমআইএস) ম্যানেজার নাসিরউদ্দিন নাসু জানান, ‘অ্যাথলেটস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম হলো প্লেয়ারস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম। এই প্রোগ্রামিংয়ের মাধ্যমে প্লেয়ারদের বিভিন্ন রকম ডাটা যেমন: যখন একজন প্লেয়ার অনূর্ধ্ব-১৫ বা ১৭তে থাকে তখন তার সমস্ত ডাটা কোচের কাছে থেকে যায়। তবে, এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে তাদের সেই ডাটা সংরক্ষণ করা সম্ভব হবে। এখন আর প্লেয়ারদের কোনো তথ্যই হারাবে না, সবই সংরক্ষিত থাকবে। এটি এমন একটি ইন্টারঅ্যাকটিভ সিস্টেম যা কোচ, প্লেয়ার ও প্রশিক্ষকদের মধ্যে কাজ করতে পারে। যেমন ধরেন কোচ একটি ড্রিল ছবিসহ পোর্টালে দিয়ে দিতে পারেন। প্লেয়াররা এটা আইফোনের মধ্যে বা ট্যাব দিয়ে অ্যাপস ব্যবহার করে কোচের নির্দেশনা, ছবি বা ভিডিওসহ দেখতে পারবে। প্লেয়াররাও আবার ওই অ্যাপসের মাধ্যমেই কোচকে জানাতে পারবে যে আমি এই এই ড্রিল করেছি। ’
সবচেয়ে উপকারী দিক হলো এই প্রযুক্তির মাধ্যমে একটি প্লেয়ারের সমস্ত ডকুমেন্ট যেমন মেডিকেল হিস্ট্রি থেকে শুরু করে স্কিল হিস্ট্রিও সংরক্ষিত থাকবে। অনেক সময়ই দেখা যায় জাতীয় দল থেকে একজন ফিজিও বা ট্রেইনার চলে গেলে একজন প্লেয়ারের ইনজুরির হিস্ট্রি বা তার পুনর্বাসনে কী কী করা হয়েছে, সেটা পাওয়া দুর্বোধ্য হয়ে যায়। যা এই প্রযুক্তির মাধ্যমে খুব সহজেই পাওয়া যাবে-যোগ করেন নাসু।
প্রশিক্ষণ দিতে আসা ইংল্যান্ডের একজন স্পোর্টস বিজ্ঞানী এই সিস্টেম সম্পর্কে জানাতে গিয়ে বলেন, ‘এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ক্রিকেটের দীর্ঘ মেয়াদে উন্নয়ন সম্ভব হবে। প্রযু্ক্তিটি ক্রীড়া জগতে একেবারেই নতুন, যা ক্রিকেটের একটি নতুন দিকের উন্মোচন করবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৮ ঘণ্টা, ২৬ মে ২০১৬
এইচএল/এমআর